হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? তীব্র গরমে ভালো থাকার কথা না। তবুও আমাদের ভালো থাকতেই হবে। আসলে আমাদের জীবনটাই এমন। সব কিছুর পরও আমাদের ভালো থাকতেই হবে। তো যাই হোক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার বন্ধুর বাসার এক ঝামেলার ঘটনা। আশা করি ভালো লাগবে।
আমি ৬ রোজা রাখতেছিলাম। আজ ছিলো শেষ রোজা। তাই অফিসে বসেই ভাবলাম আজ ছুটি নিয়ে আগে আগে এসে বাসায় ইফতারি করবো। সে অনুযায়ী আব্বুকেও বলে দিলাম শরবত বানাই রাখতে। আসলে এই তীব্র গরমের ভিতর শরবতই বেস্ট। অন্তত আমার মতে। গলা শুকাই কাঠ হয়ে যায়। যাক আজ শেষ রোজা তাই আমার কাছে চাঁদরাত এর মতই। অফিস থেকে বের হলাম বিকেল ৪ টা ২০ এর দিকে। বাসায় আসতে আমার জান বের হয়ে যায় বলতে গেলে। রোদ ছিলো। তার থেকে বেশি খারাপ লাগছিলো রাস্তায় ভেপসা একটা গরম। পিচ ঢালাই এর রাস্তা গুলো যেনো সুর্য থেকে সব তাপ চুষে নিয়েছে। যাক অনেক কষ্টে বাসায় আসলাম। এরপর দিলাম এক ঘুম। ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম ইফতারির সময় হয়ে গিয়েছে। ছোট ভাই কে বললাম শরবত বানিয়েছে কিনা? ও ফ্রিজ থেকে এক গ্লাস শরবত বের করে দিলো। একটু পর আম্মু ইফতারি বানিয়ে নিয়ে আসলো। আর ফ্রিজ থেকে তরমুজ দিলো। ইফতারি শেষ করলাম। এক মগ শরবত খেয়ে একটু শান্তি লাগছিলো। এরপর শুয়ে ফেসবুক ব্রাউজ করছিলাম ফোনে। হঠাৎই বন্ধুর কল। বললো ওদের বাসার ওখানে কি এক ঝামেলা হয়েছে। আমাদের থাকতে হবে। ও আবার পরীক্ষা দিতে গ্রামে গিয়েছে। যেহেতু বন্ধুর পরিবারের বিপদ আমাদের থাকতেই হবে।
আমি ফোন দিলাম আমার বন্ধু প্লাবন কে। আরো কিছু বন্ধু ওরা যাচ্ছে। প্লাবন বললো দ্রুতো বাইক নিয়ে চলে আসতে। ও আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো। ও কিছুক্ষন আগেই কোট থেকে ফিরেছে। আমি বাইক নিয়ে চলে গেলাম। একটু সামনে যেতেই দেখি প্লাবন দাঁড়িয়ে আছে। এরপর ওরে নিয়ে রউনা দিলাম শুভদের বাড়ির ওখানে। ওদের নতুন বাড়ি করতেছে। আমি ভেবেছিলাম এলাকার মাস্তান বা কোনো গ্যাং চাঁদা নিয়ে ঝামেলা করেছে। পরে প্লাবন এর কাছে শুনলাম অন্য কাহিনী। ওই সাইটের একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং ওই সাইটের শেয়ার হোল্ডার একজন এর গায়ে সামনের বাসার একজন হাত তুলেছে। সামনে বাইক রাখা নিয়ে ঝামেলার মধ্যে কোনো কথা ছাড়াই হাত তুলেছে। শুনে তো আমার ও মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছে। গায়ে হাত কেন তুলবে। তাও সে সেই বাড়িতে ভাড়া থাকে। এতো সাহস হয় কিভাবে? তো আমরা চলে গেলাম। বন্ধুর ভাই দেখলাম সেখানে আছে। সেখানে যেয়ে তাদের সাথে হ্যান্ডশেক করে নিলাম। এরপর আমরা অন্য বন্ধুদের আসার অপেক্ষা করছিলাম। এক এক করে আমাদের আরো কিছু বন্ধু চলে আসলো। শুনেছি বিচার এর মতন হবে। তাই আমরা এসেছি। যেনো তাদের একা মনে না হয়। আমাদের এলাকার একজন সম্মানিত ব্যাক্তির অফিসে বিচার বসলো। আমরা ওনার কক্ষে সবাই ঢুকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনেক মানুষ হয়ে যাওয়াতে এটা সম্ভব হয়নি। দুর্ভাগ্য আমার তাই বাইরে দাড়াতে হয়েছিলো। তবে অপেক্ষা করছিলাম সুযোগের। সুযোগ পেলেই ভিতরে ঢুকবো।
এইদিকে আমার তো গরমে অবস্থা খারাপ। ওই অফিসের এক ভাই এসি ছেড়ে দিলেন। হাফ ছেড়ে বাচলাম যেনো। একটু পর আমার বন্ধু প্লাবন এর কল। এর আগে এক দফা চিল্লা চিল্লি হয়েছে। তখন ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করেছি। তবে এবার ও ব্যার্থ আমি। যাক অবশেষে ভিতরে ঢুকেছিলাম আমি। এরপর তো যা শুনলাম তা শুনে রাগে শরীর ফেটে যাচ্ছিলো। যে লোক ইঞ্জিনিয়ার এর গায়ে হাত তুলেছিলো উনি নাকি নেশা করে। মাতাল অবস্থায় এই কাজ করে ফেলে। তাই অনেক আকুতি মিনতি করে ক্ষমা চাচ্ছিলো। আমাদের ছেলেপেলেরা সব খুব রেগে ছিলো। কিন্তু ওখানে কিছু পাতি নেতা ছিলো যাদের কারণে কিছু সম্ভব হচ্ছিলোনা। ওই মাতাল লোকটা আগেই টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছিলো যা বুঝলাম। পরে আমরা রেগে বের হয়ে যাই সেখান থেকে। আমাদের পক্ষের একজন ভিতু ছিলো তাই বিচারে আমরাই ঠকেছি। আমাদের হিসাব ছিলো যে মেরেছে আগে তাকে সবার সামনে থাপ্পর মারা হবে। এরপর ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা চেয়েছে কিন্তু এতে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না। পরে এভাবেই চলে আসি আমরা।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মোটামুটি ভদ্র শিক্ষিত ছেলেদের এটাই সমস্যা। আর ঐ পাতি নেতারাই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমার আপনার মতো ছেলেরা এইসব ঝামেলা একটু এড়িয়েই যেতে চাই। তবে গায়ে হাত তোলার ব্যাপার টা সত্যি খারাপ। অপরাধ করলে বুঝিয়ে বলা যায় কিন্তু গায়ে হাত তোলা মোটেই ভালো কথা না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক ভাই পাতি নেতাদের জন্য সমাজের আজ এই অবস্থ্যা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই মানুষ ছোট খাটো বিষয়কে কেন্দ্র করে বড় আকারে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করে ফেলে। আর বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে যেন মনে হয় কোন ছাড় নেই। এজন্য আরো যত প্রকার মারামারি হানাহানি সৃষ্টি হয়। তবে যাই হোক আপনার এই পোষ্টের মধ্য থেকে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। একজন ভাড়াটিয়া হয়ে কিভাবে গায়ের জোর খাটায় সত্যি আশ্চর্যের বিষয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মনুষ্যত্বের বড় অভাব ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রোজা রেখে রাস্তায় ভ্যাপসা গরমে আপনার অবস্থা কতোটা খারাপ হয়েছিলো বুঝতে পারছি।বাসায় এসে ঘুমানোর কারণে ও ঘুম থেকে উঠে শরবত খেয়ে সস্তুি পেয়েছেন অনেকটা।বন্ধুর ফোনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ঝামেলা মেটাতে। বন্ধুর বিপদে বন্ধুকে পাশে পাওয়াটাই উচিত। ছোট ছোট বিষয় গুলো মাঝে মাঝে জটিল আকার ধারণ করে।ঐ লোক মাতাল অবস্থায় গায়ে হাত তুলেছিলো তবে ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং ক্ষমা চেয়েছিলেন সেখানে আর কোন কথা থাকতে পারে না।ধন্যবাদ ভাইয়া কথা গুলো পোস্টের মাধ্যমে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ঘুম থেকে উঠে দারুণ স্বস্তি কাজ করছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit