হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমি আছি কোনো রকম। সামনে ঈদ তাই অফিসে প্রচুর চাপ যাচ্ছে। স্পেশালি আজ শনিবার সরকারি সব অফিস ছুটি। তাই অনেক বাইক সার্ভিস নিয়ে এসেছে ফলে সারাদিন দম ফেলানোর সুযোগ পাইনি বলতে গেলে। এই প্রেশার ঈদ এর আগ পর্যন্ত থাকবে। আহ তারপর ঈদের ছুটি। কয়টা দিন অনেক শান্তি। তো আজ শেয়ার করবো কালকের কাহিনী। কাল আমার ভার্সিটির মিডটার্ম পরীক্ষা ছিলো। তা নিয়েই লিখবো আজ।
আমি যেহেতু ফ্রাইডে ব্যাচ এর ছাত্র তাই আমার ক্লাস এবং পরীক্ষা সব শুক্রবারেই থাকে। অফিস থেকে বন্ধ পাই অই একদিনই। তো এই ৭ তারিখ থেকেই আমাদের পরীক্ষা। এবার আমাদের থিউরি কোর্স ছিলো ৪ টা। আর ৩ টা ছিলো প্র্যাকটিকাল। তো পরিক্ষা হবে শুধু থিউরি ৪ টা। যেহেতু মিডটার্ম। ফাইনালে সব গুলারই পরীক্ষা হয়। তো যাই হোক এই শুক্রবার ২ টা আর ঈদের পর ২৮ জুন শুক্রবার বাকি দুইটা পরীক্ষা হবে। গতকাল ২ টা বিষয় পরীক্ষা হয়েছিলো। একটি ছিলো মেটালিক ম্যাটেরিয়ালস আর আরেকটা ছিলো মেশিন ডিজাইন -২। আমি পরীক্ষা বসার আগ পর্যন্ত জানতাম না কোন সাবজেক্ট কখন পরীক্ষা। শুধু জানি দুইটা পরীক্ষা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে হ্যাং আউট শেষে ভাবলাম একটু পড়তে বসি। কি পড়বো জানিনা । তখন এক বন্ধুরে নক দিলাম। বললাম কি ম্যাথ করেছে আমাকে দিতে। ও দুইটা পিডিএফ দিলো। যেখানে ১০ টার মতন বিশাল বিশাল অংক। কিন্তু রাতে আর ম্যাথ করতে ভালো লাগছিলোনা। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম সকালে ভোর বেলায় উঠে পড়বো। কারণ পরীক্ষা ৮ টা থেকে সকাল। উঠবো ৫ টায়। ৬ টা ৩০ পর্যন্ত ম্যাথ করে ৭ টায় বাসা থেকে বের হয়ে যাবো।
কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ৬ টা বেজে যায়। তখন ম্যাথ করা শুরু করলাম। একটা পিডিএফ শেষ করলাম। এখান থেকে আসলে পারবো নাইলে বাদ। এরপর গোসল করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। গ্যারেজে যাবো বাইক আনতে। সকাল সকাল বের হয়ে দেখি রাস্তায় কুত্তা গ্যাং। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এতো গুলা কুকুর দেখে। এক সাথে ১২ টার মতন হবে। তো সাহস নিয়ে সেগুলো পার করে বাইক নিয়ে চলে গেলাম ভার্সিটি। ভার্সিটি যেয়ে রুম নম্বর দেখার জন্য এডমিট কার্ড বের করি। হঠাৎ চোখ যায় সাবজেক্ট কোড এর দিকে। দেখি অন্য রকম কোড। মেশিন ডিজাইন পরীক্ষা হওয়ার কথা। কিন্তু এই কোর্সের কোড তো আলাদা। পরে রুটিন বের করে দেখি এখন মেটালিক ম্যাটেরিয়ালস পরীক্ষা হবে। আমার তো মাথায় হাত। আমি তো এই কোর্সের ক ও পড়িনি। আর সময় ও নাই পড়ার। কি আর করা শুন্য প্রস্তুতিতে পরীক্ষা দিতে ঢুকলাম। প্রশ্ন দেখে শিহরিত। কিছুই পারিনা। একটা প্রশ্নর উত্তর দিলাম। তাও সেটা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ বাংলায় পড়েছিলাম। সেটাই ইংরেজিতে মেরে দিলাম। এরপর বন্ধুর থেকে দেখে আরেকটার উত্তর দিলাম। এরপর সবাই বের হয়ে গেলাম।
এবার পরের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পালা। যদিও অর্ধেক পড়েছিলাম আমি। বাকি পিডিএফ টার ম্যাথ করা শুরু করলাম। বন্ধু একটা আমাকে বুঝিয়ে দিলো সব। যেনো পরীক্ষার সময় ওকে সাহাজ্য করতে পারি সূত্র দিয়ে। এবার প্রস্তুতি শেষ করে ১১ টা ৩০ এর দিকে বের হয়ে গেলাম। কিছু খেয়ে মসজিদ চলে যাবো যেহেতু শুক্রবার। এরপর একটা হোটেলে খেয়ে আমরা মসজিদ এ গেলাম। সেখান থেকে নামাজ শেষ করে পরীক্ষার হলে গেলাম। এবার পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে খুব আনন্দ লাগলো। মেশিন ডিজাইনের ৪ টা ম্যাথ এর মধ্যে সব গুলাই পাড়ি। দিতে হবে তিনটা। একটায় চিত্রের ভেজাল আছে দেখে সেটা বাদ দিয়ে বাকি গুলা দিলাম। যে বন্ধু আমারে ম্যাথ শিখাইলো ও নিজেও আমার টা দেখে লিখলো। মজা লাগছে বিষয়টা। এরপর পরীক্ষা শেষ করে বাসায় চলে যাই।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit