সখ পূরণে পরিবার বাধ্য হলো আর সে সখই জীবন নিলো !!!!!

in hive-129948 •  11 months ago 

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



motorbike-407186_1280.jpg

Image by Monoar Rahman Rony from Pixabay

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? দেখতে দেখতে কিন্তু ৮ রোজা চলে গেলো। রোজার দিন গুলো আশা করি ভালোই যাচ্ছে। তো আমার পোস্ট টাইটেল টা দেখে হয়তো একটু অবাকই হয়েছেন। এ কেমন সখ যা জীবন নিয়ে নেয়। আসলেই হয়েছিল তাই। সে নিয়েই কথা বলবো আজ আপনাদের সাথে।



hands-1345059_1280.jpg

Image by John Hain from Pixabay


'সখ' যে কোনো মানুষ এর জীবনেই এটির গুরুত্ব অনেক। এমন মানুষ হয়তো খুজে পেতে কষ্ট হবে যার কোনো সখ নেই। কম বেশি সবারই কিছু না কিছু সখ থাকে। সখ থাকা অবশ্যই ভালো। তবে সে সখ পূরণ করা কারো উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবেনা। সব সময় চেষ্টা করা উচিৎ নিজের সখ নিজেই পূর্ণ করা। উদাহরণ হিসেবে আমি নিজের কথাই বলবো। আমি সব সময় নিজের সখ নিজে পূরণ করার চেষ্টা করি। আমার পরিবারের উপর এক বিন্দুও চাপ দেইনা। যে আমার ওটা লাগবেই। নিজের সখ নিজের মধ্যেই লালন করি। নিজেই চেষ্টা করি সখ গুলো পূরণ করার। নিজের সখ নিজে পূরণ করার যে অনুভূতি সেটা আপনি নিজে পূরণ না করলে কখনোই বুঝবেন না। নিজের সখ নিজে পূরণ করা যেনো আনন্দের। যাক এবার আসি মূল কথায়। বর্তমান জেনারেশন এর অধিকাংশ কিশোর/কিশোরিকেই দেখা যায় তাদের সখ পূরণে পরিবারের উপর একটা চাপ সৃষ্টি করে। যেটা কখনই ঠিক না। অন্তত আমার চোখে। হ্যা আপনি আপনার ফ্যামিলির সক্ষমতা থাকলে অবশ্যই নিজের সখ পূরণের আবদার করতে পারেন। তবে বাধ্য করা টা অনুচিত। সামর্থের বাইরে থাকলে আপনার ছোট একটি সখও আপনার পরিবারের জন্য অনেক বড় এক বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

Hobby_Express_-_.png

Source

আপনার পরিবার হয়তো হাসি মুখে আপনার সখ পূরণ করবে। কিন্তু সে সখ দিয়ে আদৌ আপনার মন ভরবে? এইতো কিছু দিন আগে, এক ছেলে অনেক বায়না ধরেছে তার বাইক লাগবে। কিন্তু তার গরিব বাবা কিভাবে বাইক কিনে দিবে? তাই নাকি সে আত্নহত্যা করতে চেয়েছিলো। বাবার মন তো বুঝেনা। তাই ধার দেনা করে ছেলেকে বাইক কিনে দিলো। দু দিন পর সেই বাইক দিয়েই অই ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ভাবুন একবার বিষয়টা ওই ছেলের বাবার জন্য কতটা বেদনাদায়ক। সখ তো পূরণ হলো ছেলেটির। কিন্তু সে সখই কিন্তু দিন শেষে তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই বাবা ছেলেকে ভালোবেসে ধার দেনা করে কিনে দিয়েছিলেন বাইকটি। আর সে বাইক তার ছেলের প্রাণ নিলো। আসলে মাঝে মাঝে আমরা অবুঝ এর মতন কিছুর বায়না ধরে পরিবারে চাপ সৃষ্টি করি। এটা একদমই উচিৎ না। আপনার পরিবারের খবর আপনার থেকে ভালো কে জানে? বাবারা কতো কষ্ট করে দেখতে পান না? মায়ে রা কতো কষ্ট করে তা দেখতে পান না? আমার কাছে এমন সখ গুলো মূল্যহীন যার জন্য পরিবারের কষ্ট না বুঝে তাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দিতে হয়।

fear-4208770_1280.jpg

Image by Mohamed Hassan from Pixabay

সখ থাকা ভালো তবে সেটা নিজে পূরণ করার সক্ষমতা অর্জন করুন। দরকার হয় সেই সখ অনেকদিন পরই বা পূরণ হলো। যেমন আমার একটা সখ ছিলো একদিন ওয়ানপ্লাস ফোন চালাবো। সে সময় কেবল মার্কেটে ওয়ানপ্লাস থ্রি টি ফোন রিলিজ হয়েছিলো। সেই সখ পুষতে পুষতে ৫ বছর পর এসে পূরণ হয়। চাইলেই কিন্তু পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে অনেক আগেই ফোন নিতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি আমি। অনেকটা সময় গেলেও ধীরে ধীরে টাকা জমিয়ে নিজের সখ ঠিকি নিজে পূরণ করেছি আমি। এটাই করা উচিৎ সবার। আমার আজকের পোস্ট এর মূল বিষয়ই হচ্ছে নিজের সখ পূরণে কখনো আমরা যেনো পরিবার কে বাধ্য না করি। আশা করি বিষয়টা মাথায় রাখবেন সবাই।


তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

বাইক না কিনে দিলে মরে যাব, ফোন না কিনে দিলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাব, এইসব কথা বলা ছেলে মেয়েরা সমাজে কম নেই। আমাদের এখানেও এরকম প্রচুর ঘটনা আছে, যে বাড়ি থেকে ঝগড়া করে বাবা-মায়ের উপর প্রেসার দিয়ে বাইক কিনে নিয়েছে এবং কিছুদিন পর সেই বাইক নিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট করে ওই ছেলে মারা গেছে। আমি নিজেও আসলে কখনো চাই না বাবা মায়ের উপর প্রেসার দিয়ে এসব করাতে। একজন দায়িত্ববান সন্তান কখনোই এই ধরনের কাজ করতে পারে না। সবসময় উচিত বাবা মায়ের উপর প্রেসার না দিয়ে নিজের শখগুলো নিজেই পূরণ করা।

একদম ভাই। নিজের সখ নিজে পূরণ করার মজাই আলাদা।

ভাই আমাদের এদিকেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। জেদ করে বাবা মায়ের কাছ থেকে মোটর বাইক কিনে নিয়ে এক্সিডেন্ট করে মৃত্যুবরণ করেছে। সত্যি ভাই, সখই অনেক সময় মানুষের জীবন কেড়ে নেয়। বাবার আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না থাকা সত্ত্বেও, ধার দেনা করে জোর করে মোটরবাইক কিনে এমন করুন পরিস্থিতি সত্যিই বেদনাদায়ক।

জ্বি ভাই। এমন সন্তান রা যে কি করে এমনটা করতে পারে বুঝিনা আমি।

আমি কি বলেছি মন্তব্য করব তার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ভাইয়া। আসলে আমাদের সমাজের এমন কিছু কিছু ছেলে রয়েছে যারা পরিবারের অবস্থান না বুঝেই পরিবারের উপর বাড়তি একটা চাপ সৃষ্টি করে দেয় যেটার জন্য পরিবার অনেক ভোগান্তির মধ্যে দিন অতিবাহিত করে। যেমন আপনার পোস্টে বর্ণনা করা সেই ছেলেটি তার বাবার থেকে বাবা তার পরিবারকে কষ্ট দিয়ে বাইক কিনে নেয় কিন্তু সেই বাইকটি তার জীবননাশের কারণ হয়। সত্যি এটা তার বাবার কাছে একদম মর্মাহতকর বিষয় ছিল। অপরদিকে আপনি একটি ওয়ান প্লাস ফোন চালাতে চেয়েছিলেন যেটি আপনি নিজেই ৫ বছর পর হলেও পুরন করেছেন। আপনি এবং ওই ছেলের দুজনের মধ্যেই আকাশ জমিন তফাৎ। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের নিজেদের শখ আমাদের নিজেদেরকেই পূরণ করতে হবে। আপনি দারুন একটি শিখনের বিষয়ে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন যেটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

ঠিক বলেছেন ভাই। এমন ছেলেদের ধিক্কার জানাই।

আসলে এখনকার ছেলে মেয়েরা এমন শখ করে বসে, বাবা-মা তাদেরকে না কিনে দিয়েও পারেনা। কারণ এখনকার ছেলেমেয়েরা আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে থাকে। অনেক কিছুই করে বসার হুমকি দেয়। আর এরকম ভাবে তো ওই ছেলেটাকেও তার বাবা কিনে দিয়েছিল বাইক। কিন্তু তার দুইদিন পরে যে এরকম কিছু হবে এটা কেউ জানতো না। আসলে আমাদের এমন কিছু করা উচিত না, যেটার জন্য আমাদেরও ক্ষতি হবে। আর আমাদের ফ্যামিলির লোকজনও খুব কষ্ট পাবে। ছেলেটার কথাটা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। এমন অনেক ছেলে রয়েছে যারা বাইকের জন্য ফ্যামিলিকে প্রচুর চাপ দেয়। আর কয়েকদিন পর দেখা যায় তারা এই পৃথিবীতে নেই, বাইক এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে। সেই টাকাগুলো দিয়ে যদি ছেলেটা ভালো কিছু করার চেষ্টা করত, তাহলে একসময় দেখা যেত ছেলেটা সফল হয়ে এসেছে।

হুম আপু। আসলে একটা প্রেশার ক্রিয়েট করে এসব করে তারা।

এরকমই একটি ঘটনা কিছুদিন আগে খবরের মধ্যে দেখেছিলাম যে, একটি ছেলে তার পিতা মাতাকে অনেক জোর দিচ্ছিল যাতে করে তারা তাকে বাইক কিনে দেয়৷ সে এতটাই যে জোর প্রদান করার পর তার পিতা-মাতা তাকে বাইক কিনে দিল। এর পরের দিন সে বাইক এক্সিডেন্ট হয়ে গেল৷ তার মা-বাবা এতটাই কষ্ট পেয়েছিল যা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবেনা৷ তাদের একমাত্র সন্তান যেভাবে মারা গেল তা কখনো কেউ মেনে নিতে পারবে না৷ আসলে এরকম ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে৷ সন্তান তাদের পিতা মাতাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রদান করছে৷ যাতে করে পিতা-মাতা তাদের সবগুলো চাহিদা পূরণ করা এবং এই শখ পুরন করতে করতে একসময় তাদেরকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়৷ যার ফলে পিতা মাতাকেই সারা জীবন এই কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়৷

হ্যা ভাই সে ঘটনার সাপেক্ষেই লিখেছিলাম।

আমিও তা পড়ে বুঝতে পেরেছিলাম যে এই ঘটনার সাপেক্ষে লিখা হয়েছে।

Posted using SteemPro Mobile

বর্তমানে সমাজের অবস্থা ঠিক এরকমটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলে মেয়েরা নিজেদের ইচ্ছা মতোই থাকতে এখন পছন্দ করে। তাদের যা লাগবে তারা সেটা অবশ্যই নিবে। কিন্তু এটার জন্য যে তাদের অনেক ক্ষতি হবে তারা তারা বুঝতেই পারে না, একরকম জেদ ধরে বসে থাকে। কিছু কিছু স্বপ্নকে ত্যাগ করা লাগে কারণ সব স্বপ্ন আমাদের জন্য ভালো হয় না। আর কোন ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই চাহিদা অনুযায়ী চাইতে হবে বাবা-মায়ের কাছে। ফ্যামিলির অবস্থা কিরকম এটা না বুঝেই যদি আমরা কোন কিছু আবদার করি তাহলে পাবো না। আর এরকম আবদারের থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে। ছেলেরা বাইকের জন্য বেশি আবদার করে আর এটাই একেবারে উচিত নয়। কারণ এগুলো নিজের জন্যই ক্ষতিকর।

তা বলেছেন ঠিক ভাই। বর্তমান ছেলে মেয়েরা পরিবারের অবস্থা খুব একটা বুঝতে চায়না।