হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। শীত তো বেশ রেগে গিয়েছে দেখা যায়। আহা কি যে শীত। তবে আমার ভালো লাগে যদিও। সকালে বাইক চালানোর সময়টা বাদ দিলে শীত টা বেশ উপভোগ করা যায়। আহ যদি বউ থাকতো তাইলে শীত আরো জমে যেতো। হেহে। যাক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার হেলমেট এর ভাইজর গ্লাস পাল্টানোর গল্প।
আমার বাইকের মতন হেলমেটটিও খুবই সখের। ব্যাক্তিগত ভাবে হেলমেটটি খুবই পছন্দের আমার। এর আগে একবার আপনাদের সাথে হেলমেট পরিষ্কার করার গল্প শুনিয়েছিলাম। প্রতিদিনই বাইকের সাথে হেলমেটটির ও অনেক যত্ন নেই আমি। যখনই রাইড এ যাই তখনই খুবই নরম একটা কাপর দিয়ে মুছে নেই। তো এই হেলমেটটির সাথে আমি একটি মিরর ভাইজর ফ্রি পেয়েছিলাম। আমার খুব ইচ্ছা ছিলো মিরর ভাইজরটি লাগিয়ে দেখতে কেমন হয়। সচারাচর মিরর ভাইজর ব্যবহার করা হয় দিনের বেলাতে। স্পেশালি দুপুরে। রোদ এর আলো যেনো চোখে না লাগে আরকি। তবে দিনে আলো কমে আসলে তখন আর এই ভাইজর ব্যবহার করা যায়না। আর আমি যেহেতু সকালে অফিস যাই আর রাতে ফিরে আসি এমনিতেও এই ভাইজর আপাদত আমার জন্য না। তবে ঐযে লাগিয়ে দেখার একটা ইচ্ছা আছেনা। তাই ভাবলাম একবার লাগিয়ে দেখাই যাক। তবে মনে পরে গেলো সেদিন ভাইজর খোলার কষ্ট। খুবই ঝামেলায় পরেছিলাম ভাইজর খুলতে যেয়ে। আমার হাত এর আঙ্গুল গুলো একদম অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।
তবে সখ যেহেতু জেগেছে তাই হাতে ব্যাথা পেলেও আমি আজ এটা পালটিয়ে দেখবোই। তো যেই কথা সেই কাজ। আমি প্রথমেই আগে হেলমেট ক্লিন করে নিলাম। যেহেতু ধুলো বালি রাস্তা দিয়ে চলাচল করলেই ঢুকে। যদিও নিয়মিত পরিষ্কার করে থাকি আমি। তো একটু বাতাস ও মেরে নিলাম। যেনো আলগা ধুলা গুলো পরিষ্কার হয়ে যায়। এবার পালা ভাইজর খোলার। বহু কষ্টে ভাইজর এর লক গুলো আলগা করলাম। আবারো আঙ্গুলে ব্যাথা পেলাম। যাক অনেক যুদ্ধের পর ভাইজর খুলতে সক্ষম হলাম। তবে বিপাকে পরলাম অন্য কারনে। যেহেতু মিরর ভাইজর ছিলো তাই অপর পাশের কিছু দেখতে পেলাম না। যে ভাইজর লক আদতে লেগেছে কি লাগেনি। তবুও জোড় এর উপর দিলাম চাপ। দেখলাম বসে গিয়েছে। তবে স্টিকারটি উঠাইনি আমি। যেহেতু আপাদত ব্যবহার করার ইচ্ছা নাই। কোথাও বাইক নিয়ে ডে টূর দিলে তখন চেক করে দেখা যাবে নে। ভাইজরটি স্টিকার থাকতেই যে সুন্দর লাগছিলো। ভাবছিলাম এটা পরে যদি রাস্তায় বের হই অনেক মেয়ের মা পাগল হয়ে মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিবে। হাহাহা 🤣🤣🤣।
তো আমি হেলমেট টি পরে দেখলাম কেমন লাগে। মোটা মুটি ভিজিবিলিটি ছিলো ভালই। তবে এটা বেশি কাজে আসবে রোদ এ গেলে। ধরুন বিয়ের পর দিনের বেলায় শ্বশুর বাড়ি গেলাম। তখন এটা ভালো কাজে দিবে। আমার মুখ সূর্যের আলো থেকে বেচে যাবে কিছুটা হলেও। যাক দেখা শেষ এবার ভাইজর খুলে রাখার পালা। কিন্তু এবার যেনো আরো বেশি বিপাকে পরলাম। যেহেতু লক এর কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা। আমি তো লক টেনে কতো জোড়াজুড়ি করছি। কিন্তু কোনো কাজই হলোনা। বহু যুদ্ধের পর ভাইজর খুলতে পারলাম। এরপর চটজলদি আগের ভাইজর লাগিয়ে ফেললাম। এরপর মিরর ভাইজর প্যাক করে আবার রেখে দিলাম আগের যায়গায়।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বুঝেছি মন শুধু বিয়ে বিয়ে করে এইজন্য পোষ্টের মধ্যে বারবার বিয়ের কথা উল্লেখ করেছেন হি হি হি। তবে ভাই আপনার হেলমেট টা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, হ্যাঁ দুপুরবেলায় প্রচন্ড রোদে বাইক চালিয়ে বেশ মজা পাবেন। চোখে সূর্যের আলোর কোন প্রভাবই পড়বে না। হেলমেট কত নিয়েছিল ভাই??
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ ভাই ঠিক ধরেছেন। বিয়েটা এবার করতেই হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া বিয়ের পরে দিনের বেলা হেলমেট এর ভাইজর পড়ে শশুর বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদি চাকরি অবস্থায় বিয়ে করেন, তাহলে দিনের বেলা শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ভুলে যান। কারণ যারা চাকরি করে তারা এমন চাপের মধ্যে থাকে যে, দিনের বেলা তো দূরে থাক, রাতের বেলা শ্বশুর বাড়ি যাই আবার সূর্য উঠার আগেই শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসতে হয়। বিশ্বাস না হলে বিয়ের পরে বাস্তব প্রমাণ দেখতে পাবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাই। একটা ভাবসাব আছে না?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit