হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। শীত শীত একটা ভাব এর কারনে আরো বেশি ভালো লাগছে। কারণ শীতের এই আবহাওয়া আমার কাছে চরম লাগে । আমি গরম আবহাওয়া যতটা বেশি ঘৃণা করি তার থেকে বেশি ভালোবাসি এই শীতের আবহাওয়া কে। শীত আসলেই মাওয়া যেতে মন চায়। যদিও এখনো গত বছর এর মাওয়া যাওয়ার ঘটনাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। সেটা করে ফেলবো সময় করে একদিন।
শুক্রবার দিনটা আমার জন্য কেমন জানি। সারা সপ্তাহ অফিস করে শুক্রবার একটু বিশ্রাম নিবো সে সুযোগ নাই আমার জন্য । কারন সেদিন আমার ভার্সিটির ক্লাস থাকে। জীবন এভাবেই চলছে। এই শুক্রবার ও এর ব্যাতিক্রম ছিলোনা। ক্লাস ছিলো পরীক্ষা ছিলো সাথে এসাইনমেন্ট সাবমিশন তো রয়েছেই। গত সপ্তাহে এসাইনমেন্ট দেইনি। তাই এই সপ্তাহে যাই হোক এসাইনমেন্ট দিতেই হবে। আমি তো বৃহস্পতিবার থেকে লেখা শুরু করি। কারণ জানতাম যে না লিখতে পারবোনা কোনো ভাবেই। অফিসে স্যার এর রুম এ যেয়ে লেখা শুরু করি। কিন্তু লেখা আর শেষ হয়না যেনো। কতো লিখলাম। কিন্তু তবুও লেখা রয়েই গেলো। বৃহস্পতিবার একটা প্রোগ্রাম ছিলো ফিসে। সেটা শেষ করতে করতে রাত ১০ টা বেজে যায়। তখন আমি অফিসেই ছিলাম। বের হওয়ার আগে শুনি এসাইনমেন্ট আরো একটা রয়ে গিয়েছে। কি আর করা দ্রুতো বাইক টেনে বাসায় এসে পরলাম। বাসায় এসে তো আর শরীর চলেনা। তবুও এসাইনমেন্ট যেহেতু করতেই হবে। রাতে অনেকটাই শেষ করলাম। শেষে আর এক পাতা আছে দেখে ভাবলাম সেটা সকালে ঘুম থেকে উঠে করবো।
আমি করলাম ও তাই। সকালে ভোরে ঘুম থেকে উথে লেখা শুরু করলাম। কিন্তু ঘুম চোখে নিয়ে লেখার কারণে খুব একটা স্পিডে লিখতে পারছিলাম না। ফলে দেখি ৭ টা ২০ বেজে যায়। এইদিকে আমার ক্লাস ৮ টা থেকে। দ্রুতো চলে গেলাম গোসল করতে। গোসল করে এসে সব কিছু নিয়ে মারলাম দৌড়। তখনো আমার এসাইনমেন্ট এর কিছুটা লেখা বাকি। ভার্সিটি পৌঁছাতে পৌঁছাতে দেখলাম ৮ টা ৩০ বেজে গিয়েছে। কি আর করা দেড়ি করে ক্লাসে ঢুকে আগে আমার এসাইমেন্ট করা শুরু করলাম। কারণ পরের ক্লাসে ওটা জমা দিতে হবে। যাক শেশ করে ফেললাম সব। ক্লাসে খুব বিরক্ত লাগতে ছিলো। আসলে এক এক ক্লাস ২ ঘন্টা করে। আর এ ক্লাস গুলো করতে ভালোই বিরক্ত লাগে। বিশেষ করে একটা স্যার আছেন আমাদের ডিপার্ট্মেন্ট হেড। উনি ক্লাসে পড়ায় দারুণ। কিন্তু উনি ২ ঘন্টার দুই ঘন্টাই পড়াবে। প্রথমে ভালো লাগলেও শেষে দিয়ে বিরক্ত লেগে যায়। একটার পর একটা টপিক এ লেগেই থাকেন স্যার। যাক সে ক্লাস শেষ করে নিচে গেলাম। সেখানে সিঙ্গারা ও চমুচা খেলাম। এরপর আবার ক্লাসে ব্যাক করি। এসে দেখি আরেক ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ক্লাস আবার আমাদের কেউ বুঝেনা। যাক সেই ক্লাস ও শেষ করলাম।
এবার শেষে আরো একটা ক্লাস ছিলো। তবে হঠাৎ আমাদে সিআর জিজ্ঞেস করলেন পরের ক্লাস করতে চান না কে কে। আমি তো সবার আগে উঠে লাফ দিয়ে বললাম করবোনা। এতো ক্লাস ভালো লাগেনা ভাই। জীবন ধংশ মনে হয়। যদিও স্যার আগে থেকেই সিআর কে বলে রেখেছিলেন যে শেষের ক্লাসটা হবেনা। এমনিতেও আমরা শেষের ক্লাস না করেই চলে যেতাম। কারণ শেষের ক্লাস ছিলো জুম্মার নামাজের পর। পরে সবাই খুশিতে খুশিতে বের হয়ে গেলাম ক্লাস থেকে। এরপর আমি বাসায় চলে আসি। এসে খেয়ে দেয়ে দেই এক ঘুম।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
twitter: https://x.com/razuahmed788/status/1860744355545489784
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
CMC তে কমেন্ট
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু শো করেনি কেন জেনো। অনেক খুজেও পাইনি। পরে এভাবেই সস নিয়েছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit