হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। দেরিতে হলেও সবাইকে প্রথমে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। সবাইকে ঈদ মোবারক। ঈদের আগে অফিসে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম তাই একটিভ হতে পারিনি। আর ঈদের ছুটি পেয়ে গ্রামে চলে আসি। এই কয়দিন পরিবারের সাথে খুব ভালো সময় কাটাই তাই একটিভ হতে পারিনি। আজ একটু ফ্রী সময় আছে তাই ভাবলাম পোস্ট করে নেই। আজ আপনাদের সাথে আমার ঈদের অনুভুতি শেয়ার করব
আপনার আগেই জেনেছেন ঈদের আগে দুই সপ্তাহ আমি কি পরিমাণ ব্যস্ত ছিলাম। ঈদে অফিসে ঝামেলা লেগেছিল প্রচুর। মূলত ঈদের ছুটি নিয়ে এই ঝামেলা। ঈদের ছুটি কবে দিবে এই নিয়ে একটা গন্ডগোল লেগে গিয়েছিল। তারা বলছিল যে চাঁদ রাতে ছুটি দিবে। কিন্তু সেদিন ছুটি দিলে গ্রামে আসবো কবে। অবশ্য ডিসিশন হয়েছিল আমাদের পক্ষ্যেই। আমাদের ২৯ রোজায় ছুটি দিয়ে দিয়েছিল। আমি ৩০ রোজায় অর্থাৎ চাঁদ রাতে গ্রামে চলে আসি। গ্রামে আসা নিয়ে অন্য পোস্টে শেয়ার করব। আজ ঈদের অনুভূতিগুলো শেয়ার করি । ঈদ এর দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি। অবশ্য আব্বু ঘুম থেকে ডেকে তুলে। তো প্রথমে ফজরের নামাজ পড়ে নেই। এরপর আবার কিছুক্ষণ ঘুমাই। যেহেতু আমাদের এদিকে ঈদের জামাত হবে সকাল আটটা বাজে তাই একটু ঘুমিয়ে নিলাম। আর এই কয়দিন আমার উপর দিয়ে ভালো প্রেসার গিয়েছে ওইভাবে ঘুমাইতে পারিনি। তাই শুধু ঘুমাইতে মন চায় ঘুমাইতে মন চায়। তো যেহেতু ঈদের নামাজ পড়তে হবে এবার উঠে গোসল করে নিলাম সাতটার দিকে। তারপর অপেক্ষা করতে থাকলাম। সবাই রেডি হলো এক এক করে আমিও আমার আগের একটি পাঞ্জাবি পরে রেডি হয়ে নিলাম। এরপর সবাই মিলে হালকা-পাতলা সেমাই খেয়ে নিলাম। এবার খুব সুন্দর করে আতর মেখে আমরা চলে গেলাম ঈদের নামাজ আদায় করতে।
ঈদের জামাত আদায় করব দিঘীরপাড় মসজিদে। তাই আমরা সে দিকে রওনা দিলামম গিয়ে দেখি স্কুলের মাঠে ঈদগা মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এবার নামাজ সেদিকেই হবে। ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম আমি, আমার আব্বু, আমার মামা এবং আমার মামাতো বোন। ও তো খুব পিচ্চি তাই আমাদের সাথে এসেছিল। ও মাঝে বলতে ভুলে গেছি নামাজে আসার আগে কিছুক্ষণ ওদের সাথে ছবি তুলি। অনেকগুলো ছবি তুলি। আমার ছোট কাজিনটা তো বায়না ধরে যে ওরে নিয়ে বাইকে করে ঘুরতে যেতাম। ও কান্নাই করে ফেলতেছিল তবে এক্ষেত্রে আমি একটু বুদ্ধি খাটিয়েছি। আমি বাইক স্টার্ট করি। ও তখন ভয় পেয়ে যায়। তখন খালি বারবার বলে যে স্টার্ট বন্ধ করে দিতে। তো আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম। ওখানে গিয়ে আমরা একপাশে বসে পড়লাম। সেখানে হুজুর কিছুক্ষণ বয়ান করলেন। মনোযোগ দিয়ে তার বয়ান শুনলাম। ইতিমধ্যেই আমার কাজিন আর আমার মামা একটু বাইরে গেল। মামা জুস কিনে দিল। এরপরে যথারীতি ইমাম সাহেব ঈদের নামাজ কিভাবে পড়বো একটু ধারণা দিলেন। কারণ যেহেতু বছরে মাত্র দুইবার পড়া হয় অনেকের মনে থাকে না। কিভাবে তাকবীরগুলো দিতে হয় শিখিয়ে পরিয়ে দিলেন।
এরপর যথারীতি নামাজ শেষ হলো। এরপর খুতবা করার পরে আমরা বাসার দিকে চলে গেলাম। সবাই মিলে বাসায় আসার পর ঈদের আমেজ আরো ভালোমতো শুরু হলো। প্রথমেই আব্বুর সাথে কোলাকুলি করলাম এরপর মামার সাথে কোলাকুলি করলাম। এরপর সবাইকে সালাম দিলাম। যেহেতু বড় হয়ে গিয়েছি এবার আর তেমন সালামি পাব না জানি। এবার আরো সালামি দিতে হবে। প্রথমে আমার একদম নতুন ছোট মামাতো ভাইকে ঈদের সালামি দিলাম। এরপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করতে বসে গেলাম। এরপর আমি এক ঘুম দিই। এক লম্বা ঘুমের পরে বিকালে ঘুম থেকে উঠলে আব্বু বলল দাদুকে দেখতে যাবে। তাই আমি বাইক নিয়ে বের হলাম। আব্বু আর আমি বাইকে করে আমার কাকার বাসায় চলে গেলাম সেখানে তাদের সাথে দেখা হল। একটু পরে দেখি আমার কাজিন মুক্তা চলে আসলো। সাথে ওর মেয়ে। ওর মেয়েও হইছে বেশিদিন হয়নি। ওর মেয়েকেও কোলে নিলাম সেখানেও বকশিশ দিলাম। যেহেতু আমি এই গুষ্টির বড় মামা সেক্ষেত্রে একটা দায়িত্ব আছে না। তারপর আমার কাজিন মুক্তাকে ওদের বাড়ি তে নামিয়ে দিয়ে আসলাম। তারপর আমি আর আমার আব্বু বাড়ি চলে আসি। এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া করে দেই ঘুম এভাবেই আমার ঈদের দিন কেটে যায় খুবই ভালো লাগে ঈদের দিন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাইয়া। আমরা সবাই এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। ৩০ টা রোজা রাখার পর এই দিনটা আমাদের কাছে অনেকটাই ভালোলাগার এবং আনন্দের। আর গ্রামে ঈদ করার তো মজাই আলাদা। আপনার ঈদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বাচ্চা গুলোকে মাশাল্লাহ অনেক কিউট লাগছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। দোয়া রাখবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদ অনুভূতিকে কেন্দ্র করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তবে মসজিদে ঈদের জামাত আদায় করাচ্ছে ঈদগাহ ময়দানে ঈদের সালাত আদায় করার মজা অন্যরকম। যাই হোক খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই ঈদের দিনটা আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা ঠিক বলেছেন ঈদ্গাহ মাঠে সালাত আদায় এর মজাই আলাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের আগে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করেছেন। আসলে পরিবারের সাথে যখন এত ব্যস্ততার পার করে এসে ঈদের সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে পারা যায় সকল কষ্ট মুছে যায়। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন যেটা সবাই প্রত্যাশা করে । ভালো লাগলো এরকম ঈদ উদযাপন আমিও করেছি। এখনো পোস্ট করিনি আগামী কাল করব ভাবছি। আমাদের সাথে সেই মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি কয়টা দিন দারুণ ব্যস্ততায় কেটেছিলো আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ঈদের মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি, আর ঈদের মুহূর্তগুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। বাচ্চাদের সাথে নিয়ে ভ্রমণ করা মুহূর্তটা খুবই ভালো লেগেছে। আসলে ঈদের দিনে বিকেলবেলা আমরা কোথাও না কোথাও ভ্রমণ করতে যায়। এই ভ্রমণটা অনেক আনন্দের হয়ে থাকে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই বাচ্চাদের সাথে ভ্রমন করতে খুব ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে গ্রামে না আসলে ঈদের আনন্দটা বোঝা যায় না তাছাড়া গ্রামে যেহেতু বাবা-মা সহ সবাই থাকে তাই ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হলে অবশ্যই গ্রামে আসতে হবে। ঈদের দিনে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন। আমিও ভাই ঈদের দিন টা সারাদিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পার করে দিয়েছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাস্তব ভাই। ঢাকায় ঈদ কেমন যেনো লাগে। গ্রামেই ভালো লাগে বেশি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের আগের দুই সপ্তাহ ব্যস্ত সময় পার করলেও পরবর্তীতে গ্রামে এসে নিশ্চয়ই ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আর ঈদের দিন তো দেখছি খুব আনন্দঘন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। যেহেতু আপনার মামাতো বোন অনেক ছোট তাই আপনাদের সাথে নামাজ পড়ার জন্য যেতে আবদার ধরেছিল। ছোট বাচ্চা দুটোই কিন্তু অনেক কিউট মাশআল্লাহ। আসলে এখন আমরা যেহেতু বড় তাই আমাদেরকেই সালামি দিতে হবে, আমাদের তো সালামি পাওয়ার কোন আশাই নেই। আপনার কাটানো মুহূর্তটা অনেক সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দারুণ সময় অতিবাহিত করেছিলাম কয়দিন ভাই। মনে পরে এখনো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার খুবই ভালো লাগলো ভাই আপনার লেখাগুলো পড়ে। আপনার প্রত্যেক সমস্ত লেখাগুলো পড়ে আমি বুঝতে পারলাম অত্যন্ত আনন্দের সাথে ঈদ উদযাপন করেছেন। আমাদের সকলের উচিত এভাবে এদের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া এবং সকলের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কমেন্ট পড়ে আমার ও অনেক ভালো লেগেছে ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit