হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। অফিস এর কাজে ব্যস্ততায় সময় কেটে যাচ্ছে। সব সময় চেষ্টা করি ভালো থাকার। তবে যদিও ভালো থাকা নির্ভর করে পারিপার্শিক বিষয় গুলোর উপর। তবে যতটা ভালো থাকা যায় সে চেষ্টাই করে যেতে হয়। চাইলেও আপনি ইচ্ছে করে ভালো থাকতে পারবেন না আবার চাইলেও আপনি ইচ্ছে করে খারাপ থাকতে পারবেন না। তো যাই হোক আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার বৃষ্টির দিনে অফিসে আসার অনুভুতি।
ঘটনাটা বেশ কিছু দিন আগের। তখন নিয়মিত বৃষ্টি হতো সকাল বেলা। সেদিনও তাই ভোর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিলো। বৃষ্টিময় আবহাওয়া আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। কারন এ সময় পরিবেশ খুব ঠান্ডা থাকে। আর ঠান্ডা পরিবেশ সবারই ভালো লাগে। বিশেষ করে আমার কাছে তো দারুণ লাগে। অন্য দিন তো সেই গরম থাকে। আর রোদ উঠলে তো গরমে অবস্থা খারাপ হয়ে যায় আমার। তাই ঠান্ডা আবহাওয়াই আমার কাছে বেস্ট। অনেকের নাকি গরম আবহাওয়া ভালো লাগে। আমি শুধু চিন্তা করি কিভাবে মানুষ এর গরম আবহাওয়া ভালো লাগতে পারে। গরম তো অসহ্য লাগে। ঘেমে শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আর আমার মতো বাইকার যারা আছে। তাদের অবস্থা যে গরমে কি হাল হয় তা না বললেই নয়। তখন তো রাত থেকে সোজা দুপুর হয়ে যায়। সকাল আর হয়না। ঘুম থেকে উঠলেই রোদ। কি যে কষ্ট। তো সেদিন বাসা থেকে বের হয়ে দেখলাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। যেটা গায়েই লাগছেনা বলা চলে। তাই আর রেইন কোট পড়লাম না। একটু পর বৃষ্টি নাই হয়ে গেলো। আমিও গ্যারেজ থেকে বাইক বের করে রউনা দিলাম। আকাশে মেঘ নাই তখনো। তবে সূর্য ও দেখা যাচ্ছেনা। আমি তো চালিয়ে যাচ্ছি। মাঝে দেখলাম আমার ফুয়েল ইন্ডিকেটর লাফাচ্ছে। এটা এখন মাঝে মাঝেই এমন করে। এটা ঠিক করাতে হবে। তাই আমি বাইক সাইড করে স্টার্ট অফ করে আবার অন করলাম। তখন আবার ফুয়েল ইন্ডিকেটর ঠিক হয়ে গেলো।
তখন কয়েকটা ছবিও তুলে নিলাম। ভাবলাম স্টিমিটে আপ দেওয়া যাবে। এরপর আবার রাইড শুরু করলাম। এবার আকাশ দেখলাম ধিরে ধিরে কালো হচ্ছে। পরা গেলো বিপদে। যদিও তখনো বৃষ্টির নাম গন্ধ নেই। তবে বাইক চালাতে চালাতে বুঝতেছিলাম যে সামনে বৃষ্টি হচ্ছে। কারণ যত সামনে এগোচ্ছিলাম ঠান্ডা বাতাস আসতেছিলো। আর গরম এর সময় এটা হয় সামনে কোথাও বৃষ্টি হলে। আর এটা হয়েছেও। সামনে যেতেই বৃষ্টি শুরু। তখন আমি সবে বনানী পার হয়েছি। তো ভাগ্য ভালো ছিলো। সামনেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গিয়েছে। সেটার নিচে দাড়ালাম। মোটামুটি ১০ মিনিট বৃষ্টি হলো দেখলাম। এরপর কমলো। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি পরতেছিলো। তবে এবার যেতেই হবে ভিজে হলেও। কারণ নাহলে অফিসে দেড়ি হয়ে যাবে। আর প্রতিদিনের মতন আমি অফিসে যেতে চাই সঠিক সময়ের আগেই। লেট খাইতে চাইনা আরকি। দুইদিন লেট কাউন্ট হলে একদিন এর স্যালারি কাট হয়ে যাবে। যদিও ব্যাগ এ রেইন কোট ছিলো। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে রাইড করার মজাই আলাদা। তাই এভাবেই রেইন কোট ছাড়া রউনা দিলাম। রাস্তায় দেখলাম ভালোই জ্যাম লেগে গিয়েছে। তবে বাইক হওয়ার কারণে চিপা চাপা দিয়ে টেনে বের হয়ে গেলাম। এরপর একটু একটু ভিজতে ভিজতে অফিসে এসে পৌছালাম।
অফিসে আসার পর দেখি তখনো গেট খুলে নি। এবার পড়লাম বিপদে। কারণ বৃষ্টিতে প্রায় ভিজেই যাচ্ছিলাম। তাই বাইক রেখে চলে গেলাম আমি চায়ের দোকানে। সেখানে একটা রঙ চা অর্ডার করলাম। এরপর তা পান করা শুরু করলাম। একটু পরই আমাদের সার্ভিস সেন্টার এর গেট খোলা হলো। আমি এরপর ভেতরে চলে যাই। এরপর বাইকের ডাস্ট কাভার দিয়ে শুরু হয় আমার ডিউটি টাইম। সেদিন বৃষ্টি হওয়াতে খুব একটা চাপ ছিলোনা। সন্ধ্যার পর তো আমরা মুড়ি পার্টিও করি। তবে সেগুলোর ছবি তোলা হয়নি আর। কারণ সবাই খাওয়াতে ব্যস্ত ছিলো।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit