হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমার খুব প্যারার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্রথমত গরমে অবস্থা খারাপ। আর দ্বিতীয়ত অফিসে প্রচন্ড চাপ। এমন চাপে একদম আমি পৃষ্ঠ হয়ে গিয়েছি। আগে তো মাঝে মাঝে স্টিমিট এ আসার সময় পেতাম। এখন সেটাও পাচ্ছিনা বলা চলে। কি করবো বুঝতেই পারছিনা। এইদিকে সবাই অনেক অনেক এসবিডি বানাই ফেলতেছে আর আমি অফিসের প্যারা কামাচ্ছি। হেহে যাক। যেটা কপালে নাই সেটা বলে আর কি লাভ।
রমজান মাসের শুরুর দিন গুলো খুব ভালোই কেটেছিলো। রমজান বলে তেমন একটা প্রেশার ছিলোনা। সারাদিন বসে বসে গেম খেলে কাটাতাম প্রথম দিন গুলো। আগে ভাগে বাসায় ও যাওয়া যেতো এই কয়দিন। তবে দিন যত যাচ্ছিলো প্রেশার ও তত বৃদ্ধি পাচ্ছিলো ধিরে ধিরে। আসলে প্রেশার বাড়ারই কথা। কারন মানুষ ঈদে বাইক নিয়ে বিভিন্ন যায়গায় যাবে ঘুরতে। এ জন্য ছোট খাট সার্ভিস দিয়ে নিচ্ছে। আসলে কেউ রাস্তায় প্যারা খাইতে চায়না। এটাই হচ্ছে আসল কথা। তবে প্রেশার সব যাচ্ছে আমাদের সকলের উপর দিয়ে। আগে যেমন ইফতারি করেই সবাই দৌড় মারতাম বাসার উদ্দেশ্যে। অবশ্য আগে চাইলেও যাওয়া যেতো। অর্থাৎ আমাদের ছুটি ছিলো ৫ টা ৩০ এ। কিন্তু আমার বেলায় যদি ঐ সময় বের হই তাহলে রাস্তায় মাগরিব এর আযান দিয়ে দিবে। রাস্তায় তো আর বাইকে বসে ইফতারি করতে পারবোনা। তাই অফিসে সবার সাথে ইফতারি করে তারপর রউনা দিতাম। এতে করে ইফতারির পর দ্রুতো বাসায় যাওয়া যেতো। কারন রাস্তা একদম ফাকা থাকে ইফতারির পরপর। তবে কয়দিন পরই শুরু হলো গাড়ির প্রেশার। অনেক অনেক গাড়ি আসতেছে। ফলে প্রেশার এর পরিমান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা গেলো যথাযত সময়ে আমাদের সার্ভিস শেষ হচ্ছেনা ফলে আমাদের অনেক দেড়ি হয়। ইফতারির পর ও গাড়ির সার্ভিস হতে থাকে। এতে করে দেড়ি হয়।
এরই মাঝে আমার আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্যারা ছিলো। যাক সেটাও শেষ হলো ভালো ভালোয়। তবে একটা পরীক্ষা ঈদ এর পর হবে। আমি আগের দিন গুলো মিস করি খুব। আগে ঈদ আসলেই ঈদের একটা আমেজ কাজ করতো। শপিং করা হতো। কেউ যেনো ঈদ এর জামা কাপড় না দেখে এ জন্য। তখন তো ভাবতাম ঈদ এর জামা দেখে ফেললেই ঈদ পুরাণ হয়ে যাবে। আর লুকিয়ে লুকিয়ে বন্ধুদের গুলো দেখার চেষ্টা থাকতো এখন। তো এখন সে মজা গুলো খুব একটা হয়না। যে পরিমান প্রেশার। ছুটি যেখানে ৫ টা ৩০ মিনিটে সেখানে ইফতারির পরও ১ ঘণ্টা ২ ঘন্টা থাকতে হছে। কি আর করা। কিছুই তো করার নাই। সবাই ঈদে একটু শান্তিতে ঘুরবে তাই সার্ভিস দিয়ে নিচ্ছে। মানুষ রে কি বলবো আমার নিজের বাইক ও সেদিন সার্ভিস করালাম। ভাবছি টাকা লাগবে না। কিন্তু অনেক গুলো টাকা লেগে গেলো। অবশ্য লাগবেই। দরকারি জিনিশ গুলো বদলিয়েছি। আমাদের এখানে গাড়ি গুলোর যে বিল আসে সে হিসেবে অনেক কমই খরচ হয়েছে আমার।
যাক কাস্টমার দের খুশি মানে আমাদের খুশি। যদিও ইদানিং চাপটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে। তবে কি আর করা। মেনে নিতেই হবে। আসলে কোম্পানি ওনাদের স্যাটিস্ফেকশনটাই বেশি গুরুত্ব দেয়। মুখে মুখে অফিস ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা হলেও। আদতে অফিস শুরু হয় সকাল ৯ টায়। আর শেষ হয় রাত ৮ টায়। মাঝে মাঝে ৮ টার উপর ও বেজে যায়। এভাবেই চলছে। যাক সেল বেশি হওয়ার জন্য আমরা তেমন কিছু বলছিও না। কারণ ঈদে বোনাস দিয়েছে বেতন দিয়েছে। সামনে পোড়া ইঞ্জিন অয়েল এর টাকাও পাবো সম্ভবত। তাই হাসি মুখে কষ্ট করে যাচ্ছি। এ জন্যই ইদানিং পোস্ট করা হচ্ছেনা আমার।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি বলতে আমার অবস্থা সেইম আপনার মতো। অফিসের চাপে ভর্তা হয়ে যাচ্ছি। সকাল নয়টার সময় কাজ শুরু করে রাত নয়টা দশটা বেজে যাচ্ছে। যাইহোক ঈদের আগ পর্যন্ত চাপটা থাকবে, ইনশাআল্লাহ ঈদের পর স্বাভাবিক হবে। আশাকরি চাপ কমলে আবারো স্টিমিটে ভালোভাবে সময় দিতে পারবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাই অফিসের চাপ সহ্য করার মতন নয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঈদের এই সময়টা গাড়ি মোটরসাইকেল সবাই সার্ভিসিং করাতে চায়। ঈদের সময় এগুলো অনেক বেশি চালায় সবাই। আমাদের গাড়ি ও সার্ভিসিং করে তারপরে রংপুরে আসলাম। কি আর করবেন বেসরকারি অফিস মানে টাইম টেবিলের কোন ঠিক ঠিকানা থাকে না। যেহেতু প্রথম দিকে আরাম করেছেন এখন একটু কষ্ট হলেও পুষিয়ে নিতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম সবাই লং টুর এ যাবে তাই আগে আগেই সার্ভিস করিয়ে নেয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি অফিসে প্রায় ১১ ঘন্টা থাকেন এখন। আপনার কর্মক্ষেত্র যেটা দেখলাম সেখানে এখন বেশ চাপ। এইজন্য আপনার উপরেও বেশ চাপ হয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলাই এই থিওরী টা খুব বেশি করে স্মরণে রাখতাম কেউ ঈদের মার্কেট দেখে ফেললেই ঈদ শেষ হা হা। আশাকরি আপনি খুব দ্রুতই এই চাপ থেকে মুক্ত হবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জ্বি ভাই। অনেক্ষন থাকতে হয় অফিসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এখন সকলেরই অনেক বেশি পরিমাণে কাজের চাপ৷ এই কাজের চাপের কারণে অনেকে অনেক ধরনের যে নিজের কাজগুলো রয়েছে সেগুলো করতে পারে না৷ আপনিও কাজের চাপের কারণে একেবারে খারাপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে গিয়েছেন৷ তবে আশা করি এই কাজের চাপ অতি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে এবং আপনি আবারো সময় পাবেন এবং আপনার সবগুলো নিজস্ব কাজ শুরু করতে পারবেন৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের আগে চাপটা একটি বেশি বৃদ্ধি পায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বুঝতে পারছি ভাই, আপনার উপর দিয়ে অনেক কাজের প্রেসার যাচ্ছে। আসলে ঈদ যেহেতু খুব কাছাকাছি চলে এসেছে, এজন্য আপনার কাজের প্রেসার বেশ খানিকটা বেড়ে গেছে। তার উপর আবার আপনার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার চাপ ছিল। তবে আশা করি, ঈদ বেরিয়ে গেলে হয়তো আপনার চাপ কিছুটা কমবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ভাই। প্রচুর চাপে আছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান পরিস্থিতিতে চাপের ওপর নাম জীবন, এই বিষয়টা সবার জন্যই সত্যি । জীবনে চাপ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তা বাস্তব বলেছেন। সব কিছু মিলিয়েই এগিয়ে চলছে আমাদের জীবন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবকিছু মিলিয়ে জীবন এগিয়ে চলবে, এটাই আমাদের জীবনের প্রকৃতি ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit