হঠাৎ চাঁদপুর যাওয়া!!!!

in hive-129948 •  2 months ago 

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



_1730402761864.jpg

ক্যানভা প্রো দিয়ে তৈরি।

কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও ভালো আছি। আসলে দিন গুলো অনেক ব্যস্ততার মাঝে কেটে যাচ্ছে। গত কিছু দিন একটিভ থাকতে পারিনি। একটু গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। সব কিছু ছেড়ে একটু শান্তিতে থাকতে চেয়েছিলাম। তাই ফোন থেকে দূরেই ছিলাম বলাচলে। পিচ্চি কাজিন গুলারে নিয়ে দিন গুলো ও কেটেছে বেশ আমার।

IMG_20241029_090112.jpg

বাড়ি যাওয়ার প্ল্যান তেমন ছিলোনা। আসলে ভাবিও নি এমন হঠাৎ করে বাড়ি যাওয়া হবে। কারণ আমি সাধারনত অফিস থেকে ছুটি নেইনা একদমই। তো যেহেতু বিয়ের জন্য পাত্রি দেখতেছে বাসা থেকে তাই ধরেই নিয়েছিলাম হঠাৎ বাড়ি যাওয়া লাগতেও পারে। মানে প্রস্তুতি ছিলো মনে মনে আগে থেকেই। হলো ও তাই। হঠাৎ একদিন আব্বু জিজ্ঞেস করে অফিস থেকে ছুটি নিতে পারবো কিনা। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম কেনো। তখন বললো দুটো পাত্রী আছে তা দেখতে যাবে আমাকে নিয়ে । আমি আর আব্বুই যাবো আপাদত। পছন্দ হলে আম্মু আর আমার ছোট ভাই চলে যাবো। আমি বললাম হ্যা পারবো। কারণ আমি অফিস থেকে বেশি ছুটি নেইনা তাই চাইলেই ছুটি পাবো আমি। যদিও বলেছিলো শুক্রবার যাইতে। তবে আমি না করে দিলাম। কারণ ঐ শুক্রবার আমার মিডটার্ম পরীক্ষা ছিলো দুইটা। তাই ঠিক করলাম সোমবার বিকেলে রউনা দিবো। মঙ্গোলবার এক যায়গায় দেখবো। সেটা ফাইনাল না হলে পরের দিন আরেকটা দেখতে যাবো। রবিবার রাতেই আমি আমার বাইক সার্ভিস করিয়ে রাখলাম। যেহেতু বাইক নিয়েই যাবো। আর আমার সাথে যাবে আমার ছোট ভাই। আব্বু যাবে বাসে করে।

IMG_20241029_165602.jpg

IMG_20241029_165535.jpg

তো সোমবার এসে গেলো। আমার তো তর সইছে না যে কখন বাড়ি যাবো। আর সেদিন যেনো সময় ও কাটতেছিলোনা। তার উপর ছিলো ওয়ারেন্টি রিলেটেড কিছু ঝামেলা। সেগুলো শেষ করে এসিসট্যান্ট দিয়ে সেগুলো আবার ওয়্যার হাউজে পৌঁছে দিলাম। এরপর আমি ফ্রি হলাম। এইদিকে আমার ছোট ভাই চলে আসলো। ওরে আমার অফিসেই ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করতে বললাম। এরপর শুরু দুই ভাই এর চাঁদপুর যাওয়ার রাইডিং। বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়ে ছিলো। ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে উঠতে উঠতে আলো ভালোই পরে গিয়েছে। এইদিকে ভয় ছিলোনা। টেনে পার হয়ে যাই। এরপর দাউদকান্দি হতে শ্রি রায়ের চর দিয়ে যেতে হয়। আর সে রাস্তাটা খুব ভয়ের। কারণ অনেকটা নিশ্চুপ একটা রাস্তা সেটা। দাউদকান্দি পৌঁছে একটা চায়ের ব্রেক নেই। দুধ চায়ের সাথে একটা রুটিও খেয়ে নেই। কারণ খুদা পেয়েছিলো খুব আমার। এরপর আবার যাত্রা শুরু। ধীরে ধীরে চালাচ্ছিলাম। রাতের রাস্তা আর অচেনা রাস্তা বলে। বাইকের হেড লাইটের আলোতে রাস্তা দেখতে সমস্যা হচ্ছিলোনা কোনো। এরপর এভাবে বাড়ি পৌঁছে যাই। বাড়ি পৌঁছে দেখি আমার কাজিন আয়শা মনি আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি ওর জন্য চিপস, ললিপপ, জুস নিয়ে যাই।

IMG_20241028_190500.jpg

আয়শা মনি আমার খুব আদরের। ওর এখন ৪ বছর। আর আমি আদর করি বেশি দেখে আমার কাছেই আসে বেশির ভাগ। ভিডিও কলে কারো সাথে কথা বলেনা সে। আর আমি ডাক দিলে বা আমার নাম শুনলেই চলে আসে কথা বলতে। তো ওরে কলে নিয়ে ছিলাম অনেক্ষন। সাথে কিছু ছবিও তুলি। ছবিতে দুষ্টামি করে অনেক। ওর ছোট ভাই আছে একটা। ওর বয়স ১ বছর হয়নি এখনো। ওরে নিয়ে কাহিনী গুলো পরের পোষ্ট এ শেয়ার করবো। আজ এ পর্যন্তই থাক।

IMG_20241028_210658.jpg

IMG_20241028_210651.jpg



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png