অস্বস্তির আরেক নাম লোড শেডিং।

in hive-129948 •  2 years ago 

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



lightbulb-g1d3fe2213_1280.jpg

Image by Colin Behrens from Pixabay

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? গরমে খুবই অবস্থা খারাপ সবার। আমার তো প্রচন্ড এই গরমে শরীরে অনেক রাশ উঠেছে। অবস্থা অনেক করুন আমার। ভাবছি ছুটি নিবো অফিস থেকে। কাল বলেও এসেছিলাম। কিন্তু আমি ছাড়া সার্ভিস অচল। কারণ পার্টস থাকবেনা। তাই যেতেই হবে কষ্ট হলেও। যাক আজ কথা বলবো লোড-শেডিং নিয়ে। যা বর্তমানে ভয়াবহ আঁকার ধারন করেছে।



wires-ga913a36f6_1280.jpg

Image by Couleur from Pixabay


একে তো চারিদিকে তীব্র গরমের কষ্ট তার উপর লোড শেডিং যেনো এই কষ্টকে আরো কয়েক মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয়। এই আছে তো এই নেই। মানে কি বলবো আর এমনিতেই গরম এর জ্বালায় বাচিনা। এর উপর এখন লোড শেডিং এর প্যারা। আর ভালো লাগেনা। লোড শেডিং মারাত্নক আঁকার ধারন করেছে বর্তমানে। অথচ ২ সপ্তাহ আগেও ব্যাপারটা এমন ছিলোনা। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিলো। কিন্তু হঠাৎই পালটে গেলো সব। গত বছর একবার এমন হয়েছিলো। কিছু ডিজেল চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ঘন ঘন লোড শেডিং হতো। এরপর তো পুরো দেশ একদম ব্ল্যাক আউট হয়ে গিয়েছিলো। এরপর কিছু দিন এমন লোড শেডিং হয়েছে। তবে সেটা ঠিক হয়ে গিয়েছিলো। আমার জানা মতে আমাদের দেশে চাহিদার থেকে বেশি উৎপাদন এর সক্ষমতা রয়েছে। এ ছাড়াও আমাদের বন্ধু দেশ ভারত থেকেও বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে হঠাৎ এই লোড শেডিং এতো বৃদ্ধি পেলো কেনো। এখানে একটা কথা বলি। ধরুন আপনার পরিবারে দুধ লাগে ৫ কেজি। আপনি যে গাভী পালেন সেটা দুধ দেয় ৫ কেজির বেশি। অর্থাৎ আপনাদের যা চাহিদা। আপনাদের গাভী চাহিদার সমান দুধ প্রদান করে প্রতিদিন। সমস্যা তো হয়না। এখন ধরুন গাভীকে ঘাস দিতে পারছেন না ঠিক মতন। তখন দেখা যাবে গাভি দুধ দিচ্ছে ৩ কেজি। তো আপনার পরিবারের কিছু সদস্য আজ পেলো কিছু সদস্য কাল পেলো। মাঝে কিছু কিন্তু পায়না। অর্থাৎ আজ যারা পেয়েছে কাল আবার তারা পাবেনা।

light-bulb-g7d4dbaad1_1280.jpg

Image by Josch13 from Pixabay

লোড শেডিংটা মূলত এমনই। অর্থাৎ এখন আমাদের দেশের যা চাহিদা সে অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছেনা। এখন যদি সে পরিমান উৎপাদন না হয় তাহলে আপনার সক্ষমতা থেকেও লাভ নাই। আপনারা বেশির ভাগ মানুষই জানেন যে কয়লার মূল্য পরিশোধ করতে না পারার কারণে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পায়রা কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে পুরোপুরি। এর জন্য কিন্তু জাতীয় গ্রিডে সংকট পরেছে। এখন উৎপাদন থেকে চাহিদা বেশি হওয়ায় এই ঘন্টা এই এলাকায় বিদ্যুৎ আছে তো পরের ঘন্টায় অন্য এলাকায়। তখন এই এলাকায় লোড শেডিং থাকে। অর্থাৎ যেটুকু উৎপাদন হচ্ছে সেটুকু দিয়েই সবার চাহিদা মেটানো হচ্ছে ভাগে ভাগে। বিদ্যুৎ এর সমস্যা মারাত্নক আঁকার ধারন করেছে। বিষয়টা শীত কালে হলে কষ্ট হতোনা। আমরা গরিব আমাদের এসি নাই। জেনারেটর নাই। আমাদের কষ্ট কে দেখে। এমনিতেই গরম এর কষ্ট। তা থেকে ফ্যান ছেড়ে একটু হলেও মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু এখন সেটাও সম্ভব হয়না। কারণ এক ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে ২ ঘন্টা থাকেনা। এভাবে কি বাঁচা যায়? অনেকে হিট স্ট্রোকে মারা যায়। এই তো গত পরশু এক বাচ্চা দেখলাম হিট স্ট্রোক করেছে রাস্তায়। বাচ্চার মা কি কান্না। বাচ্চার বাবা বাচ্চাকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে দৌড়াচ্ছিলো। আসলে অবস্থা খুবই করুন বর্তমানে। এই সমস্যার সমাধান কি জানা নাই। শুধু এইটুক জানি দেশটা দুর্নীতিতে গেছে। কেউ কিন্তু বিদ্যুৎ বিল বাকি রাখেনি। কিন্তু কয়লার বিল ঠিকি বাকি রয়ে গেছে।

power-lines-g468ec5d28_1280.jpg

Image by Nicole Köhler from Pixabay

যাক ওসব বলছিনা। তবে কষ্ট হয় প্রচুর। রাতে যে শান্তি মতন একটু ঘুম দিবো। সেটা আর হয়ে উঠেনা। বার বার বিদ্যুৎ চলে যায়। এই তীব্র গরমে ঘুমানো যায় ? সম্ভব আদৌ? এই তো গতকাল রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরলাম রাত ১১ টা ২০ এ। ঘেমে আমি এক ভয়ংকর অবস্থা। বাসায় ঢুকার পর বিদ্যুৎ চলে গেলো। কেমনটা লাগে বলেন। এই গরম দিয়ে এসে ফ্যান ছেড়ে যে একটু জিরোবো সে সুযোগ পেলাম না। কি আর করা আমার মিনি ফ্যান আর হাত পাখা দিয়ে কাজ চালালাম। কিন্তু বিদ্যুৎ আসলো ২ ঘন্টার ও বেশি পর। ভাবলাম রাতে আর যাবেনা। কিন্তু আরো দুইবার গেলো। ঘুমাতেই পারিনি। গরমে আর যাই করা যাক আমি ঘুমাতে পারিনা। কোনো ভাবেই না।


তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলে সব জায়গায় এখন এরকম হয় অবস্থা হয়ে গিয়েছে। লোডশেডিং এর উপরেই থাকে সারাক্ষণ। কারেন্ট একবার যায় একবার আসে, কিছুই ভালো লাগেনা। আপনি ঠিক বলেছেন, অস্বস্তির আরেক নাম লোডশেডিং। পাখার নিচে যে একটু শান্তিতে বসব এটাও পারিনা। দিনে তিন-চার ঘন্টা ও কারেন্ট থাকে না বললে চলে। আসলে এই গরমে কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না, এরকম হলে কি যে করব বুঝতে পারি না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই বিষয়টা তুলে ধরেছেন। সম্পূর্ণটা পড়ে ভালো লাগলো।

লোড শেডিং এ আমাদের সবার অবস্থাই খারাপ অনেক আপু।

আসলে ভাই দুঃখের কথা কি বলবো বিদ্যুতের কারণে আমাদের জীবনযাত্রা খুবই অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। বিদ্যুৎ নেই বললেই চলে। বিদ্যুতের কারণে কোন কাজকর্ম এবং কোন প্রকার কমিউনিকেশন করা সম্ভব হয় না। বিদ্যুতের উপর আমাদের জীবনযাত্রার অধিকাংশ কাজকর্ম নির্ভরশীল। বিদ্যুত না থাকলে আমাদের সময় অপচয় এবং কাজ না করতে পারর যে ক্ষতি সৃষ্টি হয় তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় ‌। আর যেভাবে গরম পড়তেছে তাতে করে তো রাতের বেলা বাসায় থাকা যায় না। লোড শেডিং নিয়ে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

কথাটা এমন যে বিদ্যুৎ তো যায়না। আসলে বিদ্যুৎ তো আসেই না হিসেবে।

ভাল লিখেছেন ভাইয়া।আসলেই খুব খারাপ অবস্থা লোডশেডিং এর জন্য।রাতে ২ঘন্টাও ঠিক মত ঘুম হয়না,সারাদিন ঘেমে গোসল করার মত অবস্থা হয়। লোডশেডিং এর ব্যপারটাও বেশ ভালভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্য।

রাতের লোড শেডিং টা বেশি প্যারা দেয়।

আরে ভাই কি বলবো আর, এই লোডশেডিং এর মধ্যে বেঁচে থাকাই একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ছে। কোন কাজ তো ঠিকমতো করতে পারতেছি না ঠিকই, আবার শান্তিতে একটু রাতে ঘুমাতেও পারি না। ঠিক বলেছেন খুবই করুন অবস্থা বর্তমানে। আর এটা কখন ঠিক হবে তা কেউই বলতে পারছে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন লোডশেডিং এর এই বিষয়টা। সম্পূর্ণটা খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করে পড়লাম।

একদম ভাই। শান্তি মতন ঘুমানো ও যায়না।

ভাইয়া সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে লোডশেডিং এর কারণে আমাদের জনজীবনে এক বিপর্যয় নেমে এসেছে। লোডশেডিং এর কারণে অস্বস্তি এবং বিরক্তির কোন শেষ নেই। তবে আমাদের প্রত্যেকের প্রত্যাশা খুব দ্রুত যেন এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

আসলে এটা এখন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

বর্তমান সময়ের খুব কষ্টের একটি বিষয় লোডশেডিং নিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সত্যি ই মানুষ আজ গরমের তাপদাহে হাঁস-ফাঁস করছে।তার উপর লোডশেডিং মারাত্মক কষ্টের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে হাজারবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।মানুষ একটুও স্বস্তি পাচ্ছে না।একেই তো প্রচন্ড গরম তার উপর লোডশেডিং। সত্যি খুবই দূর্ভোগ আজ মানুষ পোহাচ্ছে।সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

জ্বি আপু। একদিকে গরম তো আরেকদিকে লোড শেডিং।

আসলে বর্তমান গরম যে রকম বেড়েছে লোডশেডিংও ঠিক সেরকমই বেড়েছে। আরে লোডশেডিং এর কারণে সবাই বেশ ভালই বিরক্ত হয়ে পড়েছে। আসলে কিছু করার নাই একটা সমস্যার কারণে দেশের সব জায়গায় এরকম পরিস্থিতি। আর গ্রামাঞ্চলে তো কোন কথাই নাই দিনে হয়তোবা দুইদিন ঘন্টায় কারেন্ট থাকে। যাইহোক এগুলো আমাদেরকে মেনে নিতে হবে। এবং এগুলো মেনে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

জ্বি ভাই। গরম আর লোড শেডিং জীবন যেনো অতিষ্ঠ করে তুলেছে।