হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আসলে একটু ঠান্ডা আবহাওয়া পরতেছে তো তাই একটু চমৎকার আছি বলা চলে। গরম শুরু হলে আবার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। ইশ যদি আমার গাছ লাগিয়ে বড় করে দেওয়ার সুপার পাওয়ার থাকতো তাইলে কোটি কোটি গাছ লাগিয়ে ফেলতাম। এতে যদি আবহাওয়া আবার আগের মতন হইতো। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার বাইকের জন্য বায়োমেট্রিক আর ছবি তুলতে যাওয়ার গল্প।
আমি আমার বর্তমান যে বাইকটি আছে সেটি নিয়েছিলাম। গত জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ। তো জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ আমি মালিকানা পরিবর্তন এর জন্য আবেদন করি। সব কিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পর একটা স্বীকৃত রশিদ পাই। যা দিয়ে এতো দিন বাইক চলাচল করেছি। অর্থাৎ সেটিই আপাদত ছিলো গাড়ির রেজিস্ট্রেশন এর কাগজ। তো সেই কাগজে একটা মেয়াদ ছিলো। সেখানে বলা ছিলো মে মাসের ১২ তারিখ এসে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এর জন্য রশিদ নিয়ে যেতে। তবে সমস্যা হচ্ছে আমার বায়োমেট্রিক এর জন্য এসএমএস আসেনি। তাই আমারো মাঝে আর বিআরটিএ তে যাওয়া হয়নি। তো যেহেতু স্বীকৃত রশিদ এর মেয়াদ ছিলো কাল পর্যন্ত তো এটির জন্য কিছু একটা করা দরকার। নাইলে ট্রাফিক সার্জেন্ট বাগে পেলে দিবে মামলা। মামলা না দিলেও রেকার বিল ধরাই দিবে। আমি ঝামেলাবিহীন মানুষ তাই এসব ঝামেলায় যেতে চাইনা একদমই। শুধু শুধু প্যারা নিতে যাবে কে। তো আমার পরিচিত এক কলিগ যিনি এখন মিরপুর বিআরটিএ তে চাকরী করেন। তাকে কল করলাম। আর আমার স্লিপ এর ছবি দিলাম। বললাম এখনো বায়োমেট্রিক দেইনি। উনি বললেন চলে যেতে। ব্যবস্থা করে দিবে সব। আমিও রাস্তায় ঝামেলা হওয়ার ভয়ে অফিস থেকে অর্ধবেলা ছুটি নিলাম। রাতে বাসায় এসে আগেই বলে রেখেছিলাম সকালে যেনো ঘুম থেকে না উঠায়। দেড়ি করে অফিস যাবো।
)
সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ও দেড়ি করে। দেড়ি মানে অনেক দেড়ি। প্রতিদিন যেখানে ঘুম থেকে উঠি ৭ টায় আজ উঠেছিলাম ৯ টা ৪০ এর পর। ঘুম থেকে উঠেই ট্রিমার নিয়ে ওয়াশ রুম এ চলে গেলাম। যেহেতু ছবি তুলবে সেহেতু একটু দাড়ি ছাটাই করে নিলাম। এরপর সকালের নাস্তা করে রওনা করি। রাস্তা পুরো পুরো চিনিনা। তবে ৪ ভাগ করলে ৩ ভাগ আমার চেনা। তাই প্রথমে সেই ৩ ভাগ অতিক্রম করে এবার গুগল মামার হেল্প নিলাম। যেহতু বাইকে ফোন এর স্ট্যান্ড আছে সেখানে ফোন রেখে গুগল মামার নির্দেশনা অনুযায়ী মিরপুর বিআরটিএ তে পৌঁছে গেলাম। বাইরেই দেখি দালাল এর দৌড়াত্ব। প্রথমে একজন আমাকে ডাকে। আমি পাত্তা দেইনি। তবে একটু সামনে যেতে আরো একজন ডাক দিলো। ভাবলাম বাইক হয়তো এইদিক দিয়ে ঢোকাতে হবে। কিন্তু দাড়াতেই উনি জিজ্ঞেস করলো মালিকানা পরিবর্তন কিনা। আমি বললাম না আমার আজ বায়োমেট্রিক দিতে হবে। উনি বললেন চলেন আমি ব্যবস্থা করে দেই। লাইন ধরতে হবেনা আর ৫ মিনিটে সব কাজ হয়ে যাবে। আমি মনে মনে বললাম "ধুর ব্যাটা পাগল। ভেতরে আমার ভাই আছে।" আমি আর কথা না বলে বাইক টান মেরে সামনে চলে গেলাম। এরপর ভেতরে ঢুকলাম। বাইক পার্ক করলাম একটা যায়গায়। ভালো মতন সব লক করে ২২০ নাম্বার রুম এর দিকে যাই। যেখানে আমার সেই ভাই বসে।
ওনার রুম এর সামনে যেয়ে দেখি খুবই ব্যাস্ত উনি। সবাই লাইন ধরে কাজ করাচ্ছেন ওনার কাছে। আমি ব্যস্ততা দেখে আর ডাক দেইনি। উনি কতক্ষন পর আমাকে দেখে বললেন আরে রাজু তুই কখন আসলো। উনি আমার বড় ভাই এর মতন তাই আদর করে তুই করে ডাকে আর যেটা ভালো লাগে খুব আমার। এরপর উনি বললেন একটু অপেক্ষা করতে। বের হবেন এখনই। একটু পর বের হলেন আমার জন্য। এরপর আমাকে বললেন কাগজ গুলো দিতে। আমি এনআইডি আর স্লিপ এর ফটোকপি দিলাম। সাথে মেইন কপি ও দিলাম। এবার উনি একটা রুম এ নিয়ে গেলেন। সকাল সকাল যাওয়াতে ভিড় ছিলোনা। ওখানে কাজ শেষ করার পর এবার গেলাম আরেক রুম এ । সেখানে ছবি তুললাম এরপর বায়োমেট্রিক দিলাম। এরপর সাইন করে বের হলাম সেখান থেকে। পুরো কাজেই ভাই পাশে ছিলেন। পাশে বলতে উনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সব কাজ করিয়ে দিয়েছেন। এরপর ওনার সাথে বাইরে গেলাম। সেখানে শসা খেলাম দুজন। এরপর ওনার কাজ দেখে বিদায় নিলাম। আমিও অফিস চলে আসি।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেকোনো জায়গাতেই পরিচিত লোক থাকলে অনেকটাই সুবিধা পাওয়া যায় যেমন আপনার পরিচিত বড় ভাইয়ের জন্য অনেকটা সুবিধা পেয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় কথা আসল কাজটা কমপ্লিট হয়েছে যাই হোক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ভাই। পরিচিত লোক থাকলে খুবি সুবিধা হয়। ২ ঘন্টার কাজ ৫ মিনিট ও লাগেনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit