অল্প বয়সে বিয়ে যেন রাকিবের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো এর শেষ পর্ব। আশা করি আপনারা সকলে দেখবেন |
---|
তারা এক ভাবে বসবাস করতে পারত। অতিরিক্ত রাগের কারণ ও জেদের কারণে আজকে এই অবস্থা
তারপর হঠাৎ করে রাকিব এর বউ বলে উঠলো যে আমি আপনাদের মুখ দেখব না। আমাকে আলাদা করে দিন। আমি একা খাব কিন্তু আসলে এক জায়গায় বসবাস করতে হলে একটু ঝগড়া হবেই সাধারণত কয়েকদিন পর ঠিক হয়ে যায় কিন্তু বউ কোন কথাই শোনে না। কারো কথাই শুনে না একা খাবে কিন্তু ছেলেটা ভয় পাচ্ছে যে আমি এত অল্প বয়সে বেকার থাকা অবস্থায় আমি কি করব🥺 আমি কিভাবে চলব। অতঃপর এই ঝগড়ার উৎপত্তি হয় যেভাবে |
---|
আসলে মানুষ এতটা নিষ্ঠুর হলে কিভাবে এই কাজ করে রাকিবের বউ একজনার বাড়ি গরুর দুধ আনতে গিয়েছিল এবং সেখানে গিয়ে ওই বাড়ির মহিলারা তাকে বলেছে যে তোকে কোন ভালবাসে না। মেজো বউকে ভালবাসে। তোকে খালি কাজ করায় নেই। এভাবে তার মনে একটু ব্যথা লাগল। সে সারাদিন এটা নিয়ে ভাবতে থাকলো দিয়ে হঠাৎ তার শাশুড়ি বলেছেন ভাতটা চুলায় দাও কিন্তু সে বলল আমি পারব না অন্য ছেলের বউকে বলেন কারণ সে আগে থেকে একদম ফুলে আছে মানুষ যদি একটু ভালো কথা বলে তাহলে কিন্তু এই সমস্যাটা হয় না আসলে গীবত, পরনিন্দা আমাদের সমাজে এখন এটা প্রচলিত হয়ে গেছে এটা ধ্বংসের মূল কারণ সমাজ 🥺
তারপর তখন থেকেই বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি হয়ে গেল।আসলে একটি বাড়িতে অশান্তি হলে কোন কিছুই ভালো লাগে না। এভাবে একের পর এক রাগের মাথায় অনেক কথা হয় এরপর যখন বলল যে আমি মুখ দেখবো না তখন বাড়ি আলাদা করে দিল।এভাবেই ছেলে আর বউ এর মধ্যে অল টাইম ঝগড়া হচ্ছিল।বউ এর কাছে আসলে কিছু দিয়ে মারতে যাচ্ছিল অলটাইম অশান্তির ভেতর সময় কাটাচ্ছিল রাকিব । |
---|
তারপর হঠাৎ করে তারা এভাবেই চলে যাচ্ছিল তারপর রাকিব টাকা-পয়সা কোথাও পাচ্ছি না। তো কি করবে সে চাচ্ছে আবার এক হতে কিন্তু বাবা মাকে যেভাবে অপমান করছে। বাবা মার মনে কষ্ট দিয়েছে বাবা-মা ভুলতে পারবে কিন্তু বাবা-মার মনে ব্যথা দিয়ে কোন সন্তান কোনদিন মানুষের মতো মানুষ হতে পারে না।তারপর আরও এক অশান্তি বয়ে আনলো সকলে ঘুমিয়ে পড়ছিল কিন্তু রাকিব চাচ্ছে যে আমরা আবার এক ভাবে বসবাস করবো বাবা মার সাথে চলবো কিন্তু তার বউ কোনমতেই শুনছে না তাকে জোর করার জন্য তার হাত ধরে টান দিলো জোরে জোরে |
---|
যখন বউ কোনমতে কথা শুনছিল না যখন হাত মুচড়ে দিয়েছিল অতঃপর হাতটা ভাঙ্গার মত অবস্থা হয়ে গেল তারপর বউ কি কান্না কান্না। বাড়ির লোকজন সবাই একত্র হলো তখন রাকিব কে মারতে যাচ্ছিল ওর আব্বু। বউয়ের গায়ে কেন হাত দিলিবাবা-মা তো সারাজীবন খেতে দেবে না। এটা মেনে নেবে এটাই তো বাস্তব।আলাদা হলেই যে সন্তানের ওপর মা-বাবার মহব্বত কমে যাবে এমনটা নয়। জাস্ট আলাদা হয়ে যাবে কারণ নিজের ছেলে আর পরের মেয়ে অনেক তফাৎ।
তারপর হাত ভেঙ্গে যাওয়ার মত অবস্থা সকালে ডাক্তারখানা নিয়ে গেল। ডাক্তার একমাস রেস্ট নিতে বলল এখন রাকিবের পরিবারে কাজ করবে কে। তার একটি ছোট্ট মেয়ে আছে কস্ট। কি করবে সে এতো কম বয়সে এতো অশান্তি কিভাবে সাম্লাবে। আসলেই অল্প বয়সে বিয়া🥺 জীবনে বেঁচে থাকতে হলে টাকার প্রয়োজন আছে।টাকা ছাড়া কোনদিন কোন কিছু সম্ভব হয় না। ভালোবাসাটা যেমন প্রয়োজন আছে তো টাকার ও প্রয়োজন আছে |
---|
আসলে রাকিবের জীবন কি এভাবেই অশান্তিতে কেটে যাবে। জানিনা ওর জীবনে কি রাখছে ওর কপালটাই খারাপ। প্রথম বিয়ে হলো তাও এমন বউ কপালে জীবনটা শেষ করে দিল দ্বিতীয় বিয়ে করল তাও তার পুরা কপাল। অশান্তির মধ্য দিয়েই সে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিয়েছে।
এই ভাবে তাদের কাহিনী অশান্তির ভিতরে জীবন কাটাতে লাগলো। এখন যদি তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় হয়তো সামনে একটু শান্তি পাবে আসলে বাড়ির বউ যদি খারাপ হয় তাহলে কোনদিন এসব সংসারের উন্নতি সম্ভব না |
---|
আসলে অল্প বয়সে বিয়ে করএ তার যেন এই অবস্থা হলো আসলেই জীবনে বেকার থেকে বিয়ে করা এটা সত্যি সব ক্ষেত্রে ঠিক আবার সবকিছু ঠিক না কিন্তু বাবা-মা ঠিক আছে দায়িত্ব নেবে কিন্তু সারা জীবন তো দায়িত্ব নেবে না। নিজের পায়ের মাটি নিজেকে শক্ত করতে হয় এটাই বাস্তবতা। এখানে কেউ কাউকে জায়গা করে দেয় না। নিজের অবস্থান নিজেকে শক্ত করতে হয় তাই ভেবে চিন্তে বিয়েটা করা উচিত।। আমার জানামতে সকলে ভাল থাকবেন এখানেই শেষ করছি আমি আজকের মত।
Twitter link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই গল্পের প্রতিটি পর্ব ভালো লাগলো ভাইয়া। তবে শেষ পর্ব ভেবেছিলাম রাকিব এর জীবনে শান্তি আসবে কন্তু হয়নি। আসলে বিয়ে অনেক কঠিন ব্যাপার এই যুগে। ভাগ্য করে সঠিক স্বামী অথবা স্ত্রী পাওয়া যায়৷ এই ঘটনা গুলো রোজ ঘটে যাচ্ছে প্রতিটি পরিবার এ এখন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু প্রায়ই ঘটে যাচ্ছে এমন ঘটনা। আসলে এগুলো খুবই কষ্টকর। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে। আসলে অল্প বয়সে বিয়ে করার চেয়েও ইম্পর্ট্যান্ট হলো আগে নিজের পায়ের মাটি শক্ত করে এরপর বিয়ে করা কারণ নিজের বেকার থাকলেও বিয়ে করার পর ঝামেলা হয় ই। সুন্দর লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু আপনি ঠিক কথা বলেছেন। নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করা উত্তম।আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমি অপেক্ষায় ছিলাম হয়তোবা শেষ পর্যন্ত রাকিব এর জীবনে শান্তি আসবে কিন্তু শান্তি এলোনা। এর গল্প থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা নেওয়া উচিত অল্প বয়সের ছেলে এবং মেয়ে বিয়ে না দেয় ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাইয়া বাস্তবতা খুবই কঠিন। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অল্প বয়সে বিয়ে করার পরিণতি অনেক ভয়াবহ। যা আপনি গল্পের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা সাধারণত কোন বিষয় খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেনা। মানুষের কথায় কান দিয়ে তারা যা বলে তাই শুনে। আপনার এই গল্প থেকে আমাদের কমিউনিটির সকলের শিক্ষা নেয়া উচিত। সুন্দর একটি শিক্ষামূলক গল্প আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া অল্প বয়সে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনি দারুন একটি মন্তব্য করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই সুন্দর গল্পটি ,বাস্তবধর্মী।সত্যিই অল্প বয়সে বিয়ে কোনো কিছুই ভালো হয় না।কারণ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের জীবন নষ্ট হয়ে যায়।আগের পর্বগুলিও ভালো লিখেছেন,ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু কিছু বোঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। দারুন ছিল মন্তব্যটি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit