বরগুনায় ফিরে
অবশেষে ময়মনসিংহ থেকে আবারো সেই পড়াশোনার টানে বরগুনায় ফিরে এলাম। দীর্ঘ যাত্রার পর ময়মনসিংহ থেকে রওনা হয়ে সকালবেলায় বরগুনায় এসে পৌঁছালাম।এসে প্রথমেই গোসল করে হালকা নাস্তা সেরে নিলাম, তারপর ক্লান্ত শরীর নিয়ে বিশ্রাম নিতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
একটানা ঘুমিয়ে দুপুর ২ টায় উঠলাম। মনে হচ্ছিল যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছি। ঘুম থেকে উঠে কিছুটা সময় ফ্রি ছিলাম, পড়াশোনার চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার এই সময়টুকু খুবই প্রয়োজনীয়। কিছুক্ষণ বই পড়লাম, হঠাৎ করেই বন্ধুদের ফোন আসতে শুরু করলো। তারা জানালো, বিকেলে মাঠে খেলতে আসবে এবং আমাকেও আমন্ত্রণ জানালো।
বাড়ির কাছেই সেই মাঠ, আমি বললাম, "ঠিক আছে তোরা আয়।" বিকাল ৪টার মধ্যে সবাই এসে হাজির। মাঠে গিয়ে দেখি, তারা ফুটবল খেলবে এবং সেই মাঠে ইউনিয়ন ভিত্তিক একটি টুর্নামেন্টও চলছিলো।
আমি ফুটবল খেলা পছন্দ করিনা এবং আমার পায়ে কিছুটা সমস্যা আছে, তাই খেলায় অংশগ্রহণ করলাম না। তবে বন্ধুরা আমাকে তাদের ফোন দিয়ে খেলতে নেমে পড়লো। আমি সাইডলাইন থেকে তাদের খেলা উপভোগ করলাম। মাঠে বসে খেলা দেখতে দেখতে পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ছিলো। ফুটবল খেলার উত্তেজনা, বন্ধুত্বের হাসি-ঠাট্টা, সবকিছুই মনে করিয়ে দিচ্ছিলো আমাদের ছোটবেলার দিনগুলো।
মাঠে দিনটি ছিল অত্যন্ত প্রাণবন্ত। ইউনিয়ন ভিত্তিক খেলা চলছিলো, তাই মাঠে দর্শকদের ভিড়ও ছিল বেশি। সবাই তাদের প্রিয় দলের জন্য চিৎকার করছিলো, তালি দিচ্ছিলো। এমন উৎসবমুখর পরিবেশে বসে সময় কাটানো সত্যিই আনন্দের। আমি খেলা না খেলেও, বন্ধুরা আমাকে সঙ্গ দিতে লাগলো। তাদের খেলার মধ্যে আমারও যেন এক অংশীদারিত্ব ছিল।
বন্ধুদের খেলা দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো। খেলাধুলা শেষে সবাই মিলে একসাথে কিছুক্ষণ গল্প করলাম। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানোর এই মুহূর্তগুলো ছিল অত্যন্ত মূল্যবান। জীবনের ব্যস্ততার মাঝে এই সামান্য সময়টুকু আমাদের নতুন করে বাঁচার উৎসাহ দেয়।
আজকের দিনটা বেশ আনন্দে কাটলো। কিন্তু আগামীকাল থেকে শুরু করবো নতুন সেমিস্টারের ক্লাস যদিও ক্লাস শুরু হওয়ার বেশ কয়েকদিন হয়। পড়াশোনার নতুন অধ্যায়ের জন্য মনকে প্রস্তুত করতে হবে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী, যেন নতুন সেমিস্টারটা ভালোভাবে শুরু করতে পারি এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারি।
সবার দোয়া এবং আশীর্বাদ নিয়ে আগামীকাল থেকে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু করবো। আশা করি, আগামীর দিনগুলোও এমনই আনন্দময় এবং সফল হবে। ধন্যবাদ সবাইকে, যারা আমার এই যাত্রার অংশ হয়েছেন এবং যারা আমার এই ব্লগটি পড়ছেন। আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন আমার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপকে আরও বেশি অর্থবহ করে তুলছে
আমি রিদওয়ান হোসাইন। পরিবারের শেষ সন্তানটি আমি। পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। ভ্রমণ করা, গান গাওয়া ও শোনা এবং ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই পছন্দ। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে লেখা শুরু করি, তাই "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব, আমার ভালোবাসা। নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার মুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে নিজের মনের ভেতর জমে থাকা হাজারো কথা তুলে ধরা যায়।