পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি।

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই একটা কমন প্রবলেম থাকে সেটা হচ্ছে কঠিন কাজ থেকে একটু দূরে থাকার চেষ্টা করা। কিন্তু কঠিন কাজ দেখে যারা পিছু হটেনা এবং সমস্ত বিপদ আপদ ওভারকাম করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় তারাই দিনশেষে সফলতার মুখ দেখে। আর যারা পিছিয়ে পড়ে তারা হতাশ হয়।

মানুষ চেষ্টা করলে অনেক কিছুই সম্ভব। এক সময় মানুষ ভাবতো আমরা কখনোই আকাশে উড়তে পারব না। এটা নিছক স্বপ্নই থেকে যাবে। কিন্তু এটা এখন আর স্বপ্ন নেই। বহুত আগেই এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। মানুষ আকাশ জয় তো করেছেই আরো বিভিন্ন ধরনের ইনোভেশন প্রযুক্তি সামনে আসছে প্রতিনিয়ত। বহু বছরের চেষ্টার ফল এগুলো। মানুষ হুট করেই এগুলো করতে পারেনি। অনেক সাধনা করতে হয়েছে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, অনেক প্রাণহানি ঘটেছে, অনেক সম্পদ নষ্ট হয়েছে এরপর সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির স্বপ্ন তখনই পূরণ করে যখন তার সৃষ্টি কঠোর পরিশ্রম করে। পরিশ্রম ছাড়া কখনই সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যেকটা ব্যর্থতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।

আমরা আমাদের নিজেদের সাথে সবসময় প্রতারণা করি। আমরা নিজেদেরকে অনেক বেশি অলস বানিয়ে ফেলেছি। মানুষ চেষ্টা করলে অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু আমাদের অলসতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা কেন ব্যর্থ হই? আমাদের ব্যর্থ হওয়া কাজ যখন অন্য কেউ এসে করে ফেলে তখন আমরা আমাদের ভাগ্যের দোষ দিই, আর বলি ওর ভাগ্য ভাল ছিল এজন্য করতে পারছে। এটা নিছক আমাদের দুর্বলতা ঢাকতে আমরা করে থাকি। আর এটা আমাদের অভ্যাসের এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এটা আমরা সত্য সত্যই ভেবে বসে থাকি যে এগুলো ভাগ্যের উপরে নির্ভরশীল।

আমরা আসলে বারবার চেষ্টা করা কে ভয় পাই। আপনি একটা বিষয় লক্ষ্য করুন একটা কাঠের উপর যখন পেরেক ঢুকনো হয় তখন কী হাতুড়ির এক বাড়িতেই পেরেক ঢুকে যায়?? বারবার আঘাত করতে হয়। আর বারবার আঘাত করার ফলেই একসময় পুরো পেরেক কাঠের মধ্যে ঢুকে যায়। প্রত্যেকটা কাজেই আসলে এমন রিপিটেড টাইম চেষ্টা করতে হবে। একবারে সফলতা না পেলে বারবার চেষ্টা করে যেতে হবে। একসময় সফলতা আসবেই আর এইটা আমি আপনি সবাই ভুলে যাই। আমাদের প্রধান সমস্যা এটা।

চেষ্টা না করতে করতে আমাদের মস্তিষ্ক একসময় এটা ভেবে বসে থাকে যে আমার দ্বারা এসব কিছু করা সম্ভব না। আর এখানে আমাদের প্রথমেই হেরে যেতে হয়। যেকোনো কিছু অ্যাচিভ করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন শক্ত মনোবল এর। মনোবল ভেঙে গেলে আপনি অনেক ছোট টাস্ক ও পুরন করতে পারবেন না। মনোবল কঠিন হলে আপনি অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন খুব সহজেই। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই কিন্তু প্রথমে মাইন্ডসেট করাটা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মাইন্ড ঠিকঠাক মত কাজ না করলে কখনোই সার্ভাইভ করা পসিবল হয় না। আমার মধ্যে বহু দুর্বলতা আছে। আমি প্রতিনিয়তই চেষ্টা করেছি সেগুলো ওভারকাম করতে।

লিখলে আসলে অনেক কিছুই লিখা যায়। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা এতটাও সহজ নয়। অনেক কঠিন কঠিন মুহূর্তে নিজের মনোবলকে অটুট রাখা টা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে সবাই উর্ত্তীন্ন হতে পারে না। কিছু সংখ্যক মানুষই উর্ত্তীন্ন হতে পারে। আর তারাই শেষবেলার হাসিটা হাসে। যাইহোক, নিজের অবস্থানকে শক্ত করুন মনোবল সবসময় অটুট রাখুন। আপনাদের জন্য শুভকামনা। আমি আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে ইনশাহ আল্লাহ। আল্লাহ্ হাফেজ।

job-5243951_1280.webp
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জি ভাইয়া পরিশ্রমই সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। তবে পরিশ্রমটা করতে হবে যথাস্থানে এবং যথাযথভাবে। যথাস্থানে পরিশ্রম করতে গিয়ে প্রথমে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাদের উচিত হবে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে পুনরায় আবার চেষ্টা করতে থাকা তাহলে দেখা যাবে একপর্যায়ে ঠিকই সাফল্য অর্জন করা সম্ভবপর হচ্ছে।

ভাইয়া আপনার এই অনুপ্রেরণামূলক কথাগুলো শুনে আমার ভেতরে স্পৃহা জেগেছে। আসলেই আমরা আমাদের নিজেদের কারণেই ব্যর্থ হই আর ব্যর্থ হয়ে তখন আমরা অনায়াসেই ভাগ্যকে দোষ দিয়ে ফেলি। অথচ বারবার চেষ্টা করার কথা আমরা ছোটবেলায় কবিতার মাঝে পড়েছি। আপনার এই উদাহরণটি আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে একটি কাঠের মধ্যে পেরেক ঢুকালে এক বাড়িতে ঢুকে যায় না বারবার চেষ্টা করতে হয় আসলেই জীবনের প্রতিটি কাজই এমন।

আমাদের প্রত্যেকটা ব্যর্থতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।

আমাদের জীবনের ব্যর্থতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা নিজের ব্যর্থতাকে নিজেই ডেকে এনেছি। আমরা যদি পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার পথে এগিয়ে যেতাম তাহলে অবশ্যই সফল হতে পারতাম। আসলে আমরা যে কোন কাজ দেখেই ভয় পাই। কিংবা কোন কাজ করার আগেই আমাদের মনের মাঝে আলাদা রকমের ভয় তৈরি হয়। তাই সহজ কাজটিও কঠিন করে ফেলি। আসলে মুখে অনেক কিছুই হয়তো বলা যায় কিন্তু করতে গেলে সেই কাজটির দিকে এগিয়ে যাওয়ার বদল দু পা পিছিয়ে যাই আমরা। ভাইয়া আপনার এই লেখাগুলো পড়ার মাধ্যমে সবার মাঝেই নিজেকে প্রস্তুত করার উৎসাহ তৈরি হবে। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।

আসলে ভাইয়া সত্যি বলতে পরিশ্রমই সৌভাগ্যের চাবিকাঠি. যে পরিশ্রম করতে ভয় পায় যারা কঠিন কাজকে ভয় পায়, তারা জীবনে কখনো উন্নতি করতে পারে না. এই জন্যই তো কবি বলেছেন -অলস অবউৎ যারা কিছুই পারেন না তারা

আমিও বিশ্বাস করি চেষ্টা করলে সব হয়,এমনকি সবাই বিশ্বাস করে।কিন্তু ওই জে হাতুড়ি দিয়ে যদি পেরেকের উপরে অংশে না মেরে নিচের অংশে মারি তাহলে ফলাফল পেরেক বাকা।এই জন্য চেষ্টা করতে হবে নিজের কমফোর্ট জোনকে বেজ করে।আগে নিজেকে বুঝতে হবে,আসলে আমি কি এবং কি করতে পারবো তাহলে না চেষ্টাটা সার্থক হবে।

আমি ঘরে বসে থাকব আর কেউ এসে আমাকে সাফল্য ঘরে এনে দিয়ে যাবে এটা সম্পুর্ন ভুল। জীবনে বড় কিছু হতে গেলে উদ্দ্যেশ্য ঠিক করে পরিশ্রমের মাধ্যমে তাকে পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা কি কখনো আকাশে উড়ব তা চিন্তা করেছি? এখন ঠিকই বিমান রকেট হেলিকপ্টার, স্পেসশিপ এ করে আকাশে উড়ছি। এমনি এমনি হয়ে গেল? অনেক চেষ্টা, পরিশ্রম, অধ্যবসায় এর পিছনে আছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে আমাদের দেশে অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমাদের সমাজ ব্যবস্থা, জীবিকা নির্বাহের পিছনে ছুটে চলা, পর্যাপ্ত সুযোগের অভাব এই সব কারনে পারছে না। ধন্যবাদ ভাইয়া।

জি দাদা
যে ব্যক্তি বা জাতি যত বেশি প্ররিশ্রমী সে জাতি তত উন্নতি ৷
যাই হোক দাদা এটা একটা বাংলা ব্যাকরণে ভাব সম্প্রসারণ পড়েছি৷
দাদা ঠিক বলেছেন যে মানুষ বড় অলস তারা কখনো কঠিন কাজ করবে না ৷তারা শুধু সহজ চায় ৷কিন্তু এটা ভুলে যায় যে যদি একটু পরিশ্রম আর মনোবল ঠিক থেকে কাজ করা যায় ৷তবে সফলতা অর্জন সম্ভব ৷
আমরা প্রতিনিয়ত তা দেখছি বর্তমান যে আধুনিক সেটা এমনি এমনি আসে নি ৷তা হয়েছে পরিশ্রমের ফলেই ৷
চমৎকার ছিল অনুপ্রেরণা মূলক পোষ্টটি ৷

সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টির স্বপ্ন তখনই পূরণ করে যখন তার সৃষ্টি কঠোর পরিশ্রম করে।

কথাটা দারুণ বলেছেন ভাই। কথাটার যুক্তি আছে। অনেকেই আছে যারা একবার ব‍্যর্থ হওয়ার পর পূণরায় চেষ্টা করতে চাই। কিন্তু সমাজের মানুষের কথা হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় বাঁধা। বেশ ভালো এবং শিক্ষনীয় একটা ব্লগ ছিল।।

একদম ঠিক।পরিশ্রম ছাড়া জীবনে উন্নতি নেই,আর ভাগ্যও পরিশ্রমীদের কেই সাহায্য করে।যখনই আমার মনে এরকম কিছু আসে তখন টমাস আলভা এডিসনের বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের কথা মনে করি।ধন্যবাদ ভাই মোটিভেশনাল পোস্ট দিয়ে সবার মনবল বাড়ানোর জন্য।

আসলে ভাইয়া পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পরিশ্রম না করলে কখনো সফলতা অর্জন করা যায় না। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুধু প্রার্থনা করলেই হবে না সৃষ্টিকর্তা সেই প্রার্থনা কবুল করে যে প্রার্থনার সাথে চেষ্টা থাকে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনাও করতে হবে।

পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি একদম চিরন্তন সত্য কথা ‌। পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছে তাদের সফলতার গল্প এর মধ্যে রয়েছে তাদের পরিশ্রম তাদের চেষ্টা। একমাত্র পরিশ্রম চেষ্টাই মানুষকে স্বপ্নের উপরে উঠাইতে পারে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল কথা বলেছেন ভাই পড়ে ভালো লাগলো।

পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি এই উক্তিটি যুগ যুগ ধরে পাঠ্যপুস্তকে এবং লোকালয়ে প্রবাদ দেখার এ চলে আসছে। এ পৃথিবীতে যে ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান পরিশ্রম করেছে তারাই আজ সফলতার সিঁড়িতে পৌঁছে গেছে। ব্যক্তি জীবনের উপর সাফল্য ও সফলতার অসাধারন একটি আলোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

সময় উপযোগী কিছু কথা লিখেছেন ভাইয়া ,সত্যি বলতে আমরা অভ্যাসের দাস ,যখন যা শিখায় তাই করে আমাদের মন আর শরীর,তবে জীবনে উন্নতি করতে গেলে অবশ্যই নিজের এই অভ্যাসকে পরিবর্তন করতে হবে ,তবে বলতে যতটা সহজ করতে কিন্তু ততটা না। এই নিজেও এক অভ্যাস যন্ত্রের মানুষ। তবে চেষ্টায় আছি।

কথাগুলো যখন করছিলাম নিজের মধ্যে একটা উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছিল। আসলে একটা কাজ একবারই করা সম্ভব নয় ঠিক যেমন টি উদাহরণ দেওয়া হয়েছে হাতুড়ি এবং পেরে ক এর উদাহরণ।

তবে দিন শেষে একটা বিষয় আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আর তা হলো সঠিক জায়গায় পরিশ্রম।

দাদা,অনেক সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন।আসলে নিজেদের চেষ্টা, মনোবল আত্মবিশ্বাস না থাকলে জীবনে সফল হওয়া যায় না।কিন্তু আমরা অনেক সময় অলস জীবনযাপন করে ভাগ্যকে দোষ দিই যেটা মোটে ও ঠিক নয়।নিজেদের মধ্যে দুর্বলতা চিহ্নিত করে সেগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পারলেই সফলতা অর্জন করা যাবে।ধন্যবাদ দাদা।

আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আমরা অলসতা করে কোন কাজ ফেলে রাখি,আর সেটা যখন অন্য কেউ করে ফেলে তখন নিজের ভাগ্যের দুষ দিয়ে বসে থাকি। বিশেষ করে বাঙ্গালী জাতি একটু বেশি অলস। তারা পরিশ্রম করতে চাই না। তারা কষ্ট ছাড়াই ফল ভোগ করতে চাই। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি পোষ্ট করেছেন।