সাবধানতা।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আসলে ভালো থাকা অনেক বড় একটি পাওয়া। দিনশেষে ভালো কয়জন থাকতে পারে? জীবন তো একটাই। আর এই জীবনে ভালো থাকার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। গাড়ি-বাড়ি, ধন-সম্পদ অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছি আমরা। সবকিছুর কারণে রয়েছে ভালো থাকার আকাঙ্ক্ষা।

প্রকৃতপক্ষে "ভালো আছি" কথাটা কিছু মানুষই বলতে পারে । বেশিরভাগ মানুষকেই প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যাবে "ভালো নেই"। অস্থিরতা, অশান্তি, অসুস্থতা সবকিছু যেন আমাদেরকে ছেয়ে ধরেছে। আমরাই আমাদের অশান্তির কারণ। আমরা মানুষ জাতি। আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে পতিত করছি। প্রত্যেকটা সেক্টরে আমরা খুবই অসাবধানতা অবলম্বন করি। আমাদের মাঝে সাবধানতার আজ বড়ই অভাব। এই যুগে এসে কোন মানুষটি সুস্থ আছে আপনি বলতে পারবেন? প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো রোগ বাসা বেঁধে আছে। আজ আমাদের প্রত্যেকটি খাবারের মধ্যে ভেজাল। আপনি সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করেও এটা থেকে রক্ষা পেতে পারবেন না যদি না রাষ্ট্র এখানে সাবধানতা অবলম্বন না করে।

প্রাথমিক বিষয় হলো আমাদের চলার পথে আমাদের নিজেদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জনসচেতনতা হলো প্রাথমিক বিষয়। এরপর রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা সেক্টরে রাষ্ট্রকে সাবধানতার সাথে আইন প্রয়োগ করে সেগুলো কার্যকর করতে হবে। তবেই সব কিছু ঠিকঠাক চলতে শুরু করবে। এইতো সবেমাত্র আমরা করোনা মহামারীর সমুদ্র পেরিয়ে ডাঙ্গার দিকে ভিরেছি। আমরা মানব জাতি এতটাই অসাবধানতা অবলম্বন করেছি এবং কিছু রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা এতটাই দুর্বল ছিল যে এটি সারা পৃথিবীতে তুমুলভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। এখানেও সাবধানতার ত্রুটি ছিল।

ধরুন আপনি খুব কালারফুল লাইফ লিড করছেন। আপনার পরিবারের সবার সাথে খুব আনন্দ উল্লাসে আপনার সময় কেটে যাচ্ছে। আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল অনেক বড়। আপনার সঙ্গী সাথী আপনার মনের মত। আপনার জীবনটা বাহারি রঙে সজ্জিত। আপনি একদিন রাস্তায় বাইক নিয়ে বেরোলেন। অসাবধানতার সাথে বাইক রাইড করছেন। হঠাৎ আপনার অসাবধানতার কারণে আপনার বাইকটি আপনার কন্ট্রোলের বাইরে চলে যায়। তখন সর্বোচ্চ খারাপ কিছু ও কিন্তু হয়ে যেতে পারে। আপনার এত সুন্দর সাত রঙে রাঙানো জীবন, মুহূর্তেই মলিন হয়ে যেতে পারে। দুঃখিত এভাবে বলার জন্য৷ তবে এটাই আসলে বাস্তব। আপনাদেরকে শুধু বিষয়টা অনুভব করার জন্য বললাম। আসলে নিজে সাবধানতার আওতায় থাকলেও অনেক সময় অন্যের অসাবধানতার কারণে নিজের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু নিজের ক্ষতি কমানোর জন্য হলেও সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত।

অনেক সময় পথে-ঘাটে আপনি নিজে সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা করবেন কিন্তু অন্য জনের খামখেয়ালীপনার জন্য আপনার বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে। এজন্য প্রত্যেকটা মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। আমাদের প্রত্যেকেরই নিজের লাইফস্টাইল, নিজের কাজ কর্ম, নিজের স্বাস্থ্য, সবকিছুতেই নিজের কন্ট্রোল রাখতে হবে। আমরা আমাদের নিজেদের শরীর খারাপ করি ফেলি আমাদের নিজেদের কিছু বদভ্যাসের কারণে আবার অনেক সময় কিছু অসাবধানতার কারণে। পরিবেশ বুঝে আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে কোন জিনিসটা আমাদের জন্য ভালো এবং কোনটা খারাপ এবং এটা বোঝার পরেই সাবধানতার সাথে আমাদের পথ চলতে হবে। এটাই।

যাই হোক এ সাবধানতার ব্যাপারটা হঠাৎ আমার মাথায় আসলো এ জন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সারাদিন তেমন কিছু লিখতে পারিনি। জানিনা এই বিষয়টা আপনাদের মাঝে কতটুকু গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পেরেছি। হয়তোবা ভালোভাবে পারিনি। কারণ এমনিতেই আজকে আমার মন ভালো নেই। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।।

nature-4851004_1280.jpg
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই যুগে এসে কোন মানুষটি সুস্থ আছে আপনি বলতে পারবেন?

ভাইয়া আজকে আপনার মন ভালো নেই জেনে খারাপ লাগলো। আশা করছি খুব শীঘ্রই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। হয়তো আমাদের চারপাশের মানুষজন কেউ সুস্থ নেই। আমরা যে যার জায়গা থেকে ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে আমরা কতটুকু ভালো থাকতে পেয়েছি তা আমরা নিজেরাই হয়তো জানি না। তবে আমরা হয়তো ভালো থাকার প্রতিযোগিতার মাঝে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কখন যে অসাবধানতার কবলে পড়েছি তা আমরা নিজেও জানিনা। হয়তো ভালো থাকার এই প্রতিযোগিতার মাঝে অনেক সময় বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। আমাদের জীবনযাত্রা ও চলাফেরা সব কিছুই হয়ত পাল্টে গেছে। অনেক সময় অসাবধানতাবশত জীবনের সব রঙিন স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরে যেতে পারে। তাই সকলকে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এবং নিজের জায়গা থেকে ভালো থাকার চেষ্টা করা উচিত। অনেক সুন্দর ভাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️

আসলে আমাদের চাহিদা এত বেশি যে অল্পতে আমাদের ভালো থাকা হয় না। যত পেতে থাকি চাহিদা ততই বাড়তে থাকে। এ কারণে দিন শেষে আমাদের আর ভালো থাকি না।
বাইকের সাবধানতার বিষয়টি কিন্তু আপনার মাথায় বেশি রাখতে হবে। আসলে আমাদেরকে সব বিষয়ে খুব ভেবে চিন্তে চলা উচিৎ। খুব সুন্দর টপিক নিয়ে লিখেছেন ভাইয়া।

আসলেই কোন মানুষেই পুরোপুরি সুস্থ নয়।আসলে সাবধনতার দরকার আছে,কিন্তু আসলেই চাইলেও সব সময়ই সাবধান থাকা যায় না।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

আসলে নিজে সাবধানতার আওতায় থাকলেও অনেক সময় অন্যের অসাবধানতার কারণে নিজের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কিন্তু নিজের ক্ষতি কমানোর জন্য হলেও সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত।

আপনার বিষয়গুলোর সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত আসলে জগৎটা বড় বৈচিত্রময়। এখানে অনেক সময় অন্যের ভুলের জন্য নিজেকে খেসারত দিতে হয়। রাস্তায় চলাফেরা করার সময় নিজের সর্বোচ্চ সাবধানে থাকিও অন্যের ভুলেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তারপরও আমাদের সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত কারণ বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ।

ভাইয়া, আপনার সাবধানতা মেসেজটি আসলেই সবার জীবনে একান্ত প্রয়োজন। কথায় আছে সতর্কতার মাইর(মিস) নেই। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারপরও যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। ধন্যবাদ।

সাবধানতা অবলম্বন করার ক্ষেত্রে আপনি প্রাথমিক যে বিষয়টার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন সেটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে জনসচেতনতা আমাদের যে কোন বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার মূল মন্ত্র। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের নিজেদের অসাবধানতার কারণে আমরা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছি এটাই আমাদের বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। অনেক সময় নিজেরা সাবধান থাকালেও অন্যের অসাবধানতার কারণে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। তার পরেও সবার আগে নিজেকে সাবধান থাকতে হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলেই ভাইয়া আমরা মানুষ এমনই যদি কিছু পাই। তাহলে তার থেকে বেশি পাওয়ার চেষ্টা করি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমাদের লোভ হিংসা এগুলো আমাদের জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। যাই যত কিছু পায়। সে চিন্তা করে এর থেকে বেশী আর কীভাবে পাওয়া যায়। মানুষের চাওয়ার কোন শেষ নেই। সেজন্য আমাদের জীবনে অশান্তি রোগ বিভিন্ন পেরেশানী।কাউকে জিজ্ঞাসা করলে বলে আমি ভালো নেই। এটাই সত্যি নিজের জীবনকে নিজেই সেটেল করে নিতে হয়। কারণে এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে জায়গা দেয় না জায়গা করে নিতে হয়। খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ❤️❤️❤️

ব্যাক্তিগত চিন্তাভাবনাঃ
প্রথম কথা হলো আমরা যে সুখের পিছে দৌড়াদৌড়ি করছি তা কখনো পাওয়া সম্ভব না। সুখ দুঃখ সব সময় হলো ক্ষনস্থায়ী একের পর এক পালাবদল হতেই থাকবে।
আমাদের জীবনে সব চাইতে বেশি প্রয়োজন সন্তুষ্ট থাকা।

তবে সাবধানতা অবলম্বন করা হতে পারে চলার পথকে সুগম করে দেবে।
আর সাবধানতার পরেও যদি কোন বিপদে পতিত হয়। তবে মানুষ তার জন্য দোয়াও করবে।

যারা ভালো আছি বলে তাদের বেশিরভাগই কষ্ট বুকে চেপে ধরে মুখে হাসি নিয়ে বলে ভালো আছি। সত্যি কারের ভালো কয়জনই বা আছে। সমস্যা হলো আমাদের যা আছে তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারি না। আর তাই ভালোটাও থাকতে পারিনা আমরা।
দুর্ঘটনা হঠাৎ ই আসেনা। মানুষের অসাবধানতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর জন্য মানুষকে সচেতন না হয় তাহলে কঠোর বিধিনিষেধও দুর্ঘটনা ঠেকাতে পারবে না। সর্বপ্রথম নিজেকে ঠিক হতে হবে।
চমৎকার গুছিয়ে কথা লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

কিন্তু অন্য জনের খামখেয়ালীপনার জন্য আপনার বড় ধরনের খেসারত দিতে হতে পারে।

ভাই এই বিষয়টা ঘটে ঈদের সময়, রাস্তায় থাকে অসংখ্য পাগলা বাইক রাইডার যারা একদিনের জন্য বাইক ভাড়া করে পুরো দেশ ভ্রমণ করতে চায়। যার কারণে অনেক ভালো পাকা রাইড়ার বিপদে পড়ে যায়। আমাদের সব সময় সাবধানে চলা উচিত। আপনার কথার সাথে আমি একমত পোষণ করছি।