ঢাকা কম্বাইন্ড মিলিটারি হসপিটালে একদিন। পর্ব -২steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন। গত কালকের পোস্টে আমি লিখেছিলাম আমার কাকুর হার্টের তিনটে ব্লকের মধ্যে একটি ব্লক ১০০% ছিল। ডক্টর প্রথমেই ১০০ পার্সেন্ট এর ওই ব্লকটি ছাড়ানোর চেষ্টা করছিল। প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় ব্লক ছাড়ানো যায়।

1696929879321-01.jpeg

অবশেষে ব্লক ছাড়ানো গেছে এটা শুনেই কিছুটা নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। এরপর আরো কিছু সময় নিয়ে ডাক্তাররা রিং পরালেন। কিন্তু মোট তিনটে ব্লকের মধ্যে একটি ব্লকেই দুটো রিং পরিয়েছে। এই ব্লকটা অনেক বড় ছিল। আর বাকি দুটি ব্লকে এখন রিং পরানো যাবে না কারণ রোগীর ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে পারে। এক মাস পরে আবার বাকি দুটো পরাতে হবে। যাইহোক দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর রিং পরানো শেষ করে পেশেন্টকে বাইরে নিয়ে আসলো। এরপর নিয়ে যেতে হবে সিসিইউতে।

সবাই একসাথেই গেলাম সিসিইউ পর্যন্ত। এরপর আর ওখানে কাউকে এলাউ করে না। ভিতরে নিয়ে গেল এবং আমরা বাহিরে অপেক্ষা করতে লাগলাম। সাধারণত ২৪ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখে। আমার আব্বুর যখন রিং পরিয়েছিল, রিং পরানোর পরে ২৪ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখছিল। এরপর সেখান থেকে কেবিনে পাঠিয়েছিল। কিন্তু কাকুর ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা তারা অবজারভেশনে রাখতে চাচ্ছেন। কারণ অবস্থায় একটু ক্রিটিক্যাল। চাচাতো ভাইয়ের সাথে কাকুর একবার কথা হয়েছিল সিসিইউতে ঢোকানোর পর। ওই একবারই যেতে পারছিল প্রথমে। তখন জানতে পারে রিং পরানো নাকি অনেক সমস্যা হয়েছিল।

প্রথমে ব্লক ছাড়ানোর সময়ে নাকি কাকুর অনেক কষ্ট হয়েছে। এরপর হাতের রগ দিয়ে রিং পরানো সম্ভব হয়নি, পায়ের রগ দিয়ে পরানো হয়েছে। পুরো ব্যাপারটা অনেক জটিল হয়ে গেছিল। যাই হোক শেষমেষ সাকসেসফুলি রিং পরানো গেছে এটাই আলহামদুলিল্লাহ।

1696929960598-01.jpeg

1696929934512-01.jpeg

কাকুকে সি সি ইউ তে রেখে আমরা সবাই বাইরে আসলাম। শিমুল ভাইয়ের উপর অনেক প্রেসার গেছে কয়দিন। অবশেষে একটু শান্তি। ওই সময় আমাদের আবার দ্রুত বাসায় চলে আসার প্রয়োজন ছিল। আমি আর রাহুল বেরিয়ে পড়লাম হসপিটাল থেকে। ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। আসার সময় বেশি একটা সময় লাগেনি কারণ সন্ধ্যা টাইমের জ্যাম তখনো শুরু হয়নি।

1696929905715-01.jpeg

1696929924441-01.jpeg

পরের দিন যদি আবার যাওয়ার প্রয়োজন হয় আমরা আবার যাব সে রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখলাম মানসিকভাবে। তবে পরের দিন আবার যেতে হয়েছিল, মানে গতকালকে আবার গিয়েছিলাম। পরে একদিন করব সে আলোচনা। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আপনার কাকুর একটা যেটা কিনা ১০০℅ ব্লক তাতে রিং বসানো হয়েছে।যদিও ঝামেলা ছিল তারপরেও সাকসেসফুলভাবে কাজটি শেষ হলো।আজকাল অপারেশন হলেই ২৪ ঘন্টা অবজারভেশনে রাখা হয়।আপনার কাকুর যেহেতু একটু সমস্যা হয়েছিল।তাই তাকে ৪৮ ঘন্টা রাখবে।যাক দোয়া করি তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন।

আপনার কাকুর তো রিং পরানোর সময় আসলেই কষ্ট হয়ে গিয়েছে,যেহেতু পায়ের রগ দিয়ে রিং পরানো হয়েছে। যাইহোক অবশেষে রিং পরানো হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। বর্তমানে হার্ট ব্লকের রোগী প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

অনেক সময় লেগেছিল সেদিন। আমার তো বসে বসে খুব ঘুম পাচ্ছিল। তবে আসার সময় অনেক স্বাচ্ছন্দে কোন জ্যাম ছাড়াই অল্প সময়ে চলে এসেছিলাম বেশ ভালো লাগছিল তখন।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার চাচার জন্য দোয়া রইল সে যেন স্বাভাবিকভাবে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে। আগের পোস্টে যেহেতু জানতে পেরেছিলাম হার্ট ব্লক হয়ে গিয়েছে তাই অবস্থা ক্রিটিকাল হওয়া স্বাভাবিক আর অবস্থা ক্রিটিকাল হয়েছে বলেই ৪৮ ঘন্টা অবজারভেশনে রেখেছে।

Posted using SteemPro Mobile

আপনার কাকুর ১০০ % এর ব্লগটি দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ছড়ানো সম্ভব হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।একটা ব্লকেই দুইটি রিং পরানো হয়েছে যেহেতু বড়ো ছিল ব্লগটি।আর অন্যগুলোতে একমাস পর পরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডাক্তার এটা আসলেই ভালো।রোগীর জন্য ক্ষতি হতে পারতো একবারে এতো রিং পরালে।আপনার শিমুল ভাই একটু স্বস্তিতে এখন।ভালো লেগেছে পোস্টটি ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile