হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমাদের চারপাশের পরিবেশের যা অবস্থা তাতে ভালো থাকা সত্যি কঠিন হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত আমাদের নিঃশ্বাসের সাথে কোটি কোটি ধূলিকণা আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে।। ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ পাকিস্তান এই তিনটি দেশে এই সমস্যাটা অত্যাধিক বেশি।
বাংলাদেশের মধ্যে গাজীপুরের পরিবেশ সবচেয়ে খারাপ। আমি কিছুদিন গাজীপুরে স্টে করেছিলাম। তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে নোংরা স্থান হলো গাজীপুর। এত পরিমাণ বিশ্রী পরিবেশ চারিদিকে বলার বাইরে। ঢাকা সিটির অবস্থাও ভালো না। কিছু নির্দিষ্ট আভিজাত এলাকা ব্যতীত সব জায়গাতেই একই অবস্থা। আমাদের ঢাকা শহরে ধুলি দূষণের অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে ইটের ভাটা, যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা, অতিরিক্ত যানবাহন। এনআইএলইউ- সুইডেন ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতে ইটভাটা থেকে ৫৮%, খোলা অবস্থায় নির্মাণ কাজের জন্য ফেলেরাখা নির্মাণ সামগ্রী থেকে ১৮% ও যানবাহনের কারণে ১০% ধূলিদুষণ হয়ে থাকে। আর বাকিটা অন্যান্য কারণে।
আমরা চাইলেই ধূলিদূষণ মুক্ত স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে পারি। আজ আমি আলোচনা করব আমাদের কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ধূলিদূষণ মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে।
শহরের ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গুলো উন্নত হলে মানুষ নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার কমিয়ে দেবে। অল্প সংখ্যক গাড়ি যখন চলাচল করবে তখন আল্টিমেটলি ধূলিদুষণ কমে আসবে। ব্যক্তিগত গাড়ি কমিয়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গুলোর মান উন্নয়ন করলে অনেক দিক থেকে সুবিধা পাওয়া যায়। বহুমুখী এই সুবিধা পেতে হলে সরকারকে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এরপর যেটা করতে হবে সেটি হচ্ছে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় পথের সাইডে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলে ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলতে হবে , এরপর সেগুলো সু নিয়ন্ত্রিতভাবে শহর থেকে অপসারণ করতে হবে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী।
পথ চলতে আপনি বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ্য করবেন নতুন কোন স্থাপনা নির্মাণের সময় নিয়ম না মেনে নির্মাণ সামগ্রী রাস্তার ধারে ফেলে রাখা হয়েছে। এই নির্মাণ সামগ্রীর পাশ দিয়ে যখন গাড়ি-ঘোড়া চলবে তখন ধুলিবালি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। এটি কঠোরভাবে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আইন যদি কঠোর করা হয় আর সেটির প্রয়োগ যদি সঠিকভাবে ঘটানো হয় তাহলে অনেকাংশেই এসব অনিয়ম কমে আসবে। সেই সাথে জনসাধারণকে সবুজায়নে উৎসাহিত করতে হবে। যে সকল জায়গায় ইতিমধ্যেই সবুজ সেই সকল জায়গা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং আরও সবুজায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শেখাতে হবে এটির গুরুত্ব।
রাষ্ট্র যতই কঠোর হোক জনসাধারণ যদি সমস্যাটি অনুধাবন না করতে পারে তাহলে এর থেকেও পরিত্রান পাওয়া সত্যিই কঠিন।
বিভিন্ন কলকারখানা , ইটের ভাটা এগুলো সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে ধূলিদূষণের জন্য। বিশেষজ্ঞদের বিশেষ গবেষণার মাধ্যমে কারখানা এবং ইটের ভাটার এরিয়া নির্ধারণ করে দেয়া উচিত। সুপরিকল্পিতভাবে এগুলো নির্মাণ না হলে জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
উপরে আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম এগুলো খুবই সাধারণ। এর বাইরে ও আরো অনেক অনেক কারণ আছে যেগুলোর জন্য প্রতিনিয়ত ধুলি দূষণ বেড়েই চলেছে আমাদের শহরে। আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হব। তাহলে পরিবর্তনটা ধীরে ধীরে হলেও আসতে শুরু করবে। তো যাই হোক এটি ছিল আজকে আমার আলোচনা। ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন, আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধূলিদূষণ, পরিবেশের যত দূষন সব এখ এখন আগের থেকে অতি মাত্রায়. হচ্ছে ৷ এটা ঠিক সবচেয়ে বেশি ইট ভাটার কারনে ৷ তাই সবার সচেতনতা খুবই জরুরি ৷
আপনি ঠিক বলেছেন যে রাষ্ট্র যতই কঠোর হোক জনসাধারণ কে এ বিষয়ে এগিয়ে ও. আলতে হবে ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন ভাই এই ধূলিকণা নোংরা পরিবেশ ঢাকা শহর ঘিরে রেখেছে। শহরে যেতে চারিপাশে শুধু ইট ভাটা দেখতে পাওয়া যায় আবার প্রচুর পরিমাণ গাড়ি যেটা অক্সিজেনকে একদম দূষিত করে ফেলে। সেজন্য ঢাকার শহর আমার পছন্দ নয় আপনি যে পদক্ষেপ গুলোর কথা বললেন সত্যি এই ধরনের চিন্তাভাবনামূলক কর্মকাণ্ডগুলো হলে আর এইরকম পরিবেশ থাকবে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চারিদিকে এখন এই অবস্থা। আর আমাদের এরিয়া গুলোতে তো বড় গাড়িগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি, বালি কেটে নিয়ে গিয়ে রাস্তার অবস্থা খারাপ করে দিচ্ছে। আর বর্তমানে এই সময়টা চারিদিকে শুধু ধুলো দিয়ে ভরে যাচ্ছে। চারদিকে যেন ধুলোতে জড়িত রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন শহরগুলোতে তো আরো বাজে অবস্থা, সেখানে না গেলে বোঝাই যাবে না। তবে গ্রাম্য পরিবেশ কিছুটা হলেও ভালো রয়েছে। কারণ এখানে সবুজায়ন বেশি। যাইহোক ভাই আমরা নিজেরা সচেতন হলে এই দূষণমুক্ত পরিবেশ গঠনে কিছুটা হলেও এগিয়ে যেতে পারবো। এজন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই বর্তমান ধুলিকানার মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ খুবই বেড়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি যদি এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে পরিমাণটা আরো অনেক বেড়ে যাবে। ধূলিকণা মুক্ত পরিবেশ গড়তে আপনার আইডিয়া গুলো খুব দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গাজীপুরে কলকারখানা বেশি হওয়াতে খারাপ অবস্থা। ঢাকার অবস্থা ও বেশ খারাপ।দিন দিন ধূলিদূষণ বাড়ছে।যার কারনে মানুষের বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। কারখানার জায়গা নির্ধারণ করবে কি যে যেখানে পারছে সেখানেই কারখানা চালু করছে।প্রতিনিয়ত ধূলি বাড়ছে,আমার মনে হয় না কোন পদক্ষেপ নিবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা।ভালো লাগলো আলোচনা।ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit