বগুড়ার মহাস্থান গড় ভ্রমন [পর্ব ১]

in hive-129948 •  10 months ago 

আপনার সবাই জানেন বাংলাদেশে যতোগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যার মধ্যে বগুড়ার মহাস্থান গড় অন্যতম। এর সৌন্দর্য আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না।এক কথায় এর সৌন্দর্য অতুলনীয় ও অপরুপ। আপনারা যারা ইতিমধ্যে ভ্রমন করেছেন তারা তো জানেন এর সৌন্দর্য সম্পর্কে।
তো আজকে আমি নতুন যারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ করতে আসতে চান কিভাবে আসবেন সে সম্পর্কে জানাবো এবং স্থান মহাস্থান গড়ের অনেক গুলো দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি স্থান সম্পর্কে আপনাদের জানাবো..

mohasthan 13.jpg

ভ্রমণ গাইড:

যারা বগুড়া বা বগুড়ার আসেপাশে জেলা থেকে আছেন তাঁরা তো আগে থেকেই জানেন কিভাবে কোথায় থেকে আসতে হবে।
আজকে নতুন যারা বগুড়ার মহাস্থান গড় ভ্রমনের জন্য আসতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য বলছি প্রথমেই আপনারা নিজ নিজ জেলা থেকে বগুড়ায় বাস বা কারের মাধ্যমে আসতে পারেন। অনান্য ট্রান্সপোর্ট এর মাধ্যমেও আসতে পারেন তবে তা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। তাই আমার মতে বাস বা কারে করে চলে আসতে পারেন। বগুড়ায় পৌঁছানোর পর এর যে কোন স্থান থেকে আপনারা রিক্সা, অটোরিকশা বা সিএনজি তে করে চলে আসতে পারেন। ভারাও কিন্তু অত্যন্ত কম ৫০-৬০ টাকা অর্থাৎ ১০০ টাকা মধ্যেই।

আসার পথে আপনারা বগুড়ার সবচেয়ে বড় ও সুন্দর ৫ তারকা বিশিষ্ট হোটেল এবং ইকোপার্ক মমইন দেখতে পাবেন।এর সাথে বিভিন্ন নার্সারি দেখতে পাবেন যেগুলো ফুলে ফুলে ভরা। এগুলোর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।

hotel momoinn.jpg

আজকে আমি বগুড়ায় অবস্থিত বেহুলার বাসর ঘর সম্পর্কে আপনাদের জানাবো
গোকুলমেধ (বেহুলার বাসরঘর):

বগুড়া শহর থেকে ১০কিঃমিঃ উত্তরে এবং মহাস্থান গড় থেকে ২কিঃ মিঃ দক্ষিণে গোকুল গ্রামের দক্ষিন পশ্চিম প্রান্তে যে স্মৃতি স্তপটি যুগযুগ ধরে অতীতের অসংখ্য ঘটনাবলীর নিদর্শন বুকে জড়িয়ে শির উঁচু করে দাড়িয়ে আছে এটিই বেহুলার বাসর ঘর নামে পরিচিত।

mohasthan 1.jpg

তবে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মতে আনুমানিক খৃস্টাব্দ সপ্তম শতাব্দি থেকে ১২০০ শতাব্দির মধ্যে এটা নির্মিত।ইস্টক নির্মিত এ স্ত্তপটি পূর্ব পশ্চিমে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ এবং ত্রিকোনবিশিষ্ট ১৭২টি কক্ষ, অকল্পনীয় এ কক্ষগুলোর অসমতা এবং এলোমেলো বুনিয়াদ এর বোধগম্যতাকে আরো দুর্বোধ করে তুলেছে। বেহুলার কাহিনী সেনযুগের অনেকপূর্বেকার ঘটনা। বেহুলার বাসরঘর একটি অকল্পনীয় মনুমেন্ট। বর্তমান গবেষকদের মতে এ মনুমেন্ট ৮০৯ থেকে ৮৪৭ খৃস্টাব্দে দেবপাল নির্মিত একটি বৈদ্যমঠ। এই স্ত্তপটিই বাসরঘর নয়। এই স্ত্তপটির পশ্চিমার্ধে আছে বাসর ঘরের প্রবাদ স্মৃতিচিহ্ন। পূর্বার্ধে রয়েছে ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি বাথরুম।উক্ত বাথরুমের মধ্যে ছিল ৮ফুট গভীর একটি কুপ। কুপটিতে বেহুলা লক্ষিনদর মধুনিশি যাপনের পর কুপে রক্ষিত জলে স্নান করে তাতে শুদ্ধতা লাভ করতে সক্ষম হতেন।

IMG_20231207_171358.jpg

যারা বগুড়ার বাইরে থেকে ভ্রমণ করতে আসবেন তাদের থাকার সুবিধার্থে বেস কিছু পরিচিত হোটেল এর নাম ও ঠিকানা দিয়ে দিলাম...

বগুড়ায় থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোটেল ও মোটেল। এগুলোর মধ্যে হোটেল নাজ গার্ডেন, পর্যটন মোটেল, সেফওয়ে মোটেল, নর্থওয়ে মোটেল, সেঞ্চুরি মোটেল, মোটেল ক্যাসল এমএইচ, হোটেল আকবরিয়া উল্লেখযোগ্য।

আপনি এখানে চার তারকা হোটেলও পেয়ে যাবেন। বগুড়ায় উন্নত মানের থাকার জায়গার মধ্যে আছেঃ

১। হোটেল নাজ গার্ডেনঃ সিলিমপুর, বগুড়া-৫৮০০, বাংলাদেশ।

naz garden.webp

২। পর্যটন মোটেলঃ বনানী মোড়, বগুড়া।
৩। আকবরিয়া হোটেলঃ কাজী নজরুল ইসলাম রোড, থানারোড, বগুড়া, ফোনঃ ০১৭১৬-১৭৯৯৮২

ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য
পরের পর্বের জন্য কমেন্ট ও শেয়ার করুন।
@rimon1

Write by AR RIMON.............

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!