আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- স্কুল জীবনের গল্প
- ১৯, জানুয়ারি ,২০২৫
- রবিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " স্কুল জীবনের গল্প " শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজকে আবার স্কুল জীবনের গল্প নিয়ে হাজির হলাম। এর আগে চারটি পর্ব শেয়ার করেছি । সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেই মুহূর্তগুলো এখনো মনে পড়লে মনে হয় আবার যদি সে অনুভূতি গুলো ফিরে পেতাম সত্যিই অনেক ভালোলাগা কাজ করতো।
যেহেতু আমরা সবাই হাফপ্যান্ট পড়ে নৌকার উপর বসে ছিলাম যখন আমরা শিলাইদাহ ঘাটে গিয়ে পৌঁছায়। তখন নৌকা রেখে রবীন্দ্রনাথ এর কুঠিবাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ঝামেলায় পড়ে যাই। যাইহোক, নদীর তীরে অনেকগুলো দোকান ছিল তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে সেই সময় ৫০ টাকা দিয়ে তাদের আমানতে নৌকা রেখে যাই। সেখানে একটি দারুন ঘটনা ঘটেছিল । আমাদের সকলের পোশাক বন্ধু আহাদের কাছে রেখে দিয়েছিলাম । সে নৌকার ভিতর থাকা পানি সেখানে ফেলে দিয়েছিল। যাইহোক, নিচের গুলো ভিজে গিয়েছিল উপরের গুলো ভালো ছিল। নিচের পোশাক ছিল সেটা বন্ধু সোহেলের তার তো মন খারাপ হয়ে গেল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তার। আমরা তাকে অনেক বুঝিয়ে বললাম সেখানে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের দিঘিতে গোসল করব পোশাক ভিজলে কোন সমস্যা নেই। তারপর সে রাজি হয়ে গেল। পদ্মা নদীর তীর থেকে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি হেঁটে যেতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম হেঁটে হেঁটে যাবো। রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে যাওয়ার প্রথম অনুভূতিটাই অন্যরকম ছিল। যখন আমরা দূর থেকে দেখতে পেলাম রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি সবাই আনন্দ উৎফুল্ল ছিলাম। তখন টিকিটের মূল্য কত ছিল সেটা আমাদের মনে নেই। বন্ধু পলাশ সে আমাদের সমস্ত টিকিট কেটে ফেললো। আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম অনেক বড় বড় আম গাছ। এখনো আছে যারা গিয়েছেন হয়তো সেখানকার পরিবেশ ভালই উপভোগ করেছেন।
সেখানে প্রবেশ করার পর প্রথমেই আমরা রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িরর ভেতর প্রবেশ করলাম। তার স্মৃতি বিজড়িত অনেক জিনিসপত্র রয়েছে সেগুলো একে একে পরিদর্শন করলাম। সেই সময় অনেক ছবি তুলেছিলাম যেগুলো হয়তো বন্ধুদের কাছে এখনো আছে। সেখানে গিয়ে ভিতরের সমস্ত জায়গায় ঘুরাঘুরি করার পর। রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির পাশেই একটি পুকুর আছে যেটা অনেক গভীর সেখানে কয়েকটি নৌকা এবং লঞ্চ ছিল ছোট্ট। পুকুরটি অনেক বড় ছিল সেখানকার একজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম অনেক গভীর। তার পাশেই দুই বিঘা জমি যেটা নিয়ে কবিতা রয়েছে। আমরা ঘুরতে আসার আগেই প্লান করেছিলাম রবীন্দ্রনাথের এই পুকুরে আমরা গোসল করব সবাই মিলে। প্রথমে অনেককে রাজি ছিল না সেই সময় কিছু বন্ধুর জোরাজুরিতে সবাই রাজি হয়ে যায়।
বন্ধুদের সাথে যেখানেই যাওয়া যায় অনেক মজা অনেক বিনোদন। আমরা প্ল্যান করলাম গোসল করার মাধ্যমে সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়ে যাবে। সবাই রাজি হয়ে গেল পুকুরের চারপাশে চারটি ঘাট রয়েছে সিঁড়ির। যেহেতু দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে অনেক বড় তাই আমরা প্রস্থ বরাবর সাঁতার প্রতিযোগিতা দেব। পশ্চিম দিকের বাধা ঘাট সেখান থেকে সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু করলাম পূর্ব দিকের ঘাটে গিয়ে উঠলাম। অনেকে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার সাথে সাথে পরাজয় মেনে নিয়ে আবার ফিরে আসলো। আমরা কয়েকজন পূর্ব ঘাটে গিয়ে উঠলাম। সেই সাঁতার প্রতিযোগিতায় আমি ফার্স্ট হয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই অনেক ভালো সাঁতার দিতে পারতাম। তারপর আমার কিছু বন্ধুরা দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল পুকুরের তলদেশ থেকে মাটি তুলতে হবে ডুব দিয়ে।
আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম আরো দুই একজন গ্রহণ করেছিল। প্রথমে আমি মাটি তোলার জন্য ডুব দিলাম প্রথমবার ব্যর্থ হলাম। প্রথমবার অনেক ভয় ভয় করছিল বলে তলদেশের খুব কাছাকাছি গিয়ে ফিরে আসি। আর দুই বন্ধু তারা চেষ্টা করলেও তারাও ব্যর্থ। আমি তাদের কাছে বললাম এবার শেষ চেষ্টা। অবশেষে শেষবারে মাটি তুলতে সফল হয় তখন সবাই উল্লাস করতে থাকে এখনো সেই কথা মনে পড়লে মনে হয় সেই সময়ে ফিরে যাই। দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করেছিলাম প্রায় এক ঘন্টা যাবত। তারপর সবাই পুকুর থেকে উঠে রেডি হয়ে সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করে আমরা আবার ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ।পরবর্তী পর্বে আরো সুন্দর কিছু মজার ঘটনা শেয়ার করার চেষ্টা করব। আশা করি এই পর্ব আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের সবার জীবনে স্কুল লাইফের সুন্দর ঘটনা রয়েছে। আমরা যদি সেই স্মৃতিগুলো স্মরণ করি তাহলে বেশ ভালো লাগে। হয়তো অনেক আগে আমরা সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো হারিয়ে ফেলেছি। তবে স্মৃতিতে রয়ে গেছে এমন অনেক ঘটনা। খুব ভালো লেগেছে আপনার লেখা ঘটনা পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit