আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- লড়াই
- ১৯, এপ্রিল ,২০২২
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি লড়াই গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ছোট বারান্দার কোণাঘেঁষে ইজি চেয়ারে বসে আছেন ইকবাল সাহেব । বাম হাতে পিরিচ , ডান হাতে চায়ের কাপ , খানিক পর পরই চুমুক দিচ্ছেন । শীত এখনও তেমনটা পড়েনি , তবু ও বারান্দার রোদ আসা এই জায়গাটায় বসেছেন তিনি । চা দিয়ে গেছে নীলু , ইকবাল সাহেবের একমাত্র মেয়ে । বড় ছেলের পর যখন নীলু জন্ম নেয় , খুশিতে সেদিন আত্মহারা হয়েছিলেন ইকবাল সাহেব , পুরো এলাকায় নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিষ্টি বিলিয়েছেন । আজ সেই নীলুকে দেখতে আসছে বরপক্ষ । কলেজ থেকে আজকের দিনটা ছুটিও নিয়েছিলেন তাই ।
বিয়ের কথা মোটামুটি হয়ে গেছে । ছেলে ভালো চাকরি করে , বংশও ভালো । এমন ছেলেকে মেয়ের জামাই করতে যা খরচ হয় , সে হিসাবটা ঠিকঠাক হয়ে গেলেই বিয়ে পাকাপাকি হয়ে যাবে । এজন্যই সন্ধ্যায় আসবে বরপক্ষ । সকাল থেকে তিনবার বাজারে গেছেন ইকবাল সাহেব । বারবারই মনে হয়েছে , কিছু একটা বাদ পড়ে যাচ্ছে । ইকবাল সাহেবের কুঞ্চিত কপালে কয়েকটা ঘাম বিন্দু , নীলুর বিয়েটা এখনই দিয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে কী ?
নীরব , ইকবাল সাহেবের বড় ছেলে । পড়ালেখা শেষ চাকরি খুঁজছে । অদ্ভুতভাবে প্রায় সব ইন্টারভিউতে টিকে গিয়ে পরে বাদ যাচ্ছে সে । নীরব চাকরি কেন পাচ্ছে না , তা খুব ভালো ভাবেই জানেন ইকবাল । ব্যাংকে কিছু টাকা জমানো আছে । টাকাগুলো নীরবকে দেবেন , নাকি নীলুর বিয়েতে খরচ করবেন , এ নিয়ে দোটানায় ছিলেন বেশ কয়েকদিন । নীরব ছেলে , কিছু একটা যে করে নিতে পারবে । ‘ মেয়েকে পরের ঘরের করে দেওয়াটাই মুক্তির এ ভাবনা থেকেই শেষ পর্যন্ত নীলুর বিয়ের কথাতেই আগালেন ইকবাল সাহেব ।
ইকবাল সাহেবের চিন্তায় ছেদ পড়ে মুঠোফোনের স্বরে কলেজ থেকে খবর এসেছে , প্রফেসর সাহেব ডেকেছেন । ছুটির দিনেও কেন প্রফেসর স্যার ডেকে পাঠালেন ? কোন সমস্যা নয় তো ? না , সমস্যা তেমন কিছু না , কলেজের ছোট একটা কাজে শিক্ষাবোর্ডে যেতে হবে । বোর্ডে যাওয়ার প্রয়োজন হলে ইকবাল সাহেবই কলেজ থেকে যান , এ জন্য ছুটির দিনেও তলব । প্রফেসর স্যারের রুম থেকে ফাইল হাতে বেরিয়ে এলেন ইকবাল সাহেব । নীলুর বিয়ের কথাটা প্রফেসর স্যারকে বলা যেত , প্রফেসর স্যার রাগী মানুষ , সামান্য কেরানির সমস্যার কথা শুনে তিনি রেগে যেতে পারেন , ইকবাল সাহেব তাই চুপচাপ বেরিয়ে এলেন ।
বাস্তব জীবন নিয়ে গল্প লেখার জন্য প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ।।আপনার গল্পটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।আসলে মানুষের জীবনী এরকমই হয়ে থাকে ।।
নেক্সট পর্বের আশায় থাকলাম।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ গল্পটি বাস্তব জীবনের সাদৃশ্যপূর্ণ গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মজার একটা বিষয় এই সকল ব্লগে কমেন্ট খুব কম পরে ,কেননা কেউ পড়ার সময় পায় না , তাই কি না কি মন্তব্য করবে তাই নিয়ে বিপাকে।
আপনার গল্পটা ভালো লাগল এরকম ইকবাল সাহে্বের গল্প অনেক আছে কেউ তুলে ধরে কেউ ধরে না।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছি।কেননা এই গল্পে মজার সময় শেষ হয়ে গেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মতামতের সাথে আমি একমত। আসলে যে কোন ধরনের গল্প শেয়ার করলে সেটা খুব কম মানুষই পড়ে কারণ সেটা পড়ে কমেন্ট করতে অনেক সময় লাগবে। যেটা একজন ব্লগারের জন্য কোনোভাবেই কাম্য নয় ।যাইহোক, আপনি গল্পটি পড়েছেন দ্বিতীয় পর্ব 2 দিন আগেই শেয়ার করেছি পড়তে পারেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইকবাল সাহবের মতো নিরুপায় বাবা নিরবের মতো বেকার ছেলে যেন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে আছে। এটা যেন কোনো মানুষের জীবনের সংগ্রাম। দারুণভাবে বাস্তবতার সাপেক্ষে গল্প টা ফুটিয়ে তুলেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ইকবাল সাহেবের মত নিরূপায় বাবা ও নিরব এর মত বেকার ছেলে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে রয়েছে। যেটা ভবিষ্যতের জন্য খুবই খারাপ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এত সুন্দর একটি গল্প আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করতে গিয়ে মাঝপথে ব্রেক করলেন! খারাপ লাগলো। আশা করেছিলাম গল্পটি আরো বেশি হবে। পড়তে ভালো লাগবে। তবে খুবই সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এই রকমই হয় গল্প পড়ার সময় যদি গল্পটি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত না পড়তে পারি তাহলে মনের অপূর্ণতা থেকে যায় ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit