জেনারেল রাইটিং : হাসপাতাল জীবনের গল্প ||by ripon40

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক


  • হাসপাতাল জীবনের গল্প
  • ১৮, জুলাই ,২০২৩
  • মঙ্গলবার


আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি " হাসপাতাল জীবনের গল্প " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।



stethoscope-840125_1280.jpg

Source

জীবনের এই চলার পথে কখন কোন পরিস্থিতির শিকার হবেন সেটা আপনি বুঝতেই পারবেন না। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন যেটা মানুষের জীবনে স্বাভাবিকভাবেই ঘটে চলেছে। এইতো কিছুদিন আগে বাইক নিয়ে রাতে এক্সিডেন্ট করেছিলাম। সেই বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম কিন্তু আজকে হাসপাতাল জীবনের কিছু দৃশ্যকল্প ঘটনাবলী আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

আমার বয়স যাই হয়েছে কখনো অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগে নি। কিন্তু এবার গভীর রাতে বাইক এক্সিডেন্ট করে হসপিটালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে দুইদিন থেকে অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হয়েছে আবার ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। হাসপাতাল জীবন এমন একটা জীবন যেখানে মানুষ ইচ্ছা করলেই যেতে পারে না। সবচেয়ে ভালো বিষয়টি হলো সরকারি হাসপাতালগুলো সব সময় ইমারজেন্সি রোগীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। আপনি যেকোন পরিস্থিতিতে হসপিটালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারবেন।

আমরা সেদিন রাত আড়াইটার দিকে অ্যাক্সিডেন্ট করি । যে জায়গাটিতে অ্যাক্সিডেন্ট করেছিলাম উপজেলার ৫০-সজ্জা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল ২ কিলোমিটার দূরে ছিল। আমরা খুব দ্রুত সেখানে যাই তাদেরকে ডেকে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট সম্পন্ন করি। তারা আমাদেরকে ভর্তি হতে বলে ভর্তির ফরম পূরণ করে হাসপাতালের দুইতলায় অবস্থান নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এত পরিমাণ রোগীর চাপ থাকে যে পা দেওয়ার জায়গা পর্যন্ত থাকে না। সেখানে গিয়ে কোন বিএফ পেলাম না খুবই খারাপ পরিস্থিতি তিন পিস বেডশিট ছিল কি আর করার সেখানকার অনেক মহিলা তাদের অনেক রোগী নিয়ে এসেছে তারা আমাদের এভাবে এক্সিডেন্ট অবস্থায় দেখে খুবই সহানুভূতি প্রকাশ করছিল। আসলে মায়েদের মন এতটাই উদার ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকে। যেটা বলে প্রকাশ করা যাবে না হয়তো তারা আমাদের অপরিচিত কিন্তু আমাদের জন্য খুবই দুঃখ প্রকাশ করছিল।

হাসপাতালের নার্স আমাদেরকে শুধু একটি বেডশীট দিয়েছিল কিন্তু কোন সিট পেলাম না মায়ের বয়সী অনেক মহিলা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে এ দৃশ্যটা দেখে সত্যিই তারা ভয় পেয়েছে এবং আমাদের কাছে এগিয়ে এসে সাহস জোগাচ্ছে। একজন বৃদ্ধ মহিলা তিনি আমাদেরকে একটি পাটি এনে দিলেন তারা তাদের জন্য এনেছিল কিন্তু তাদের কোন প্রয়োজন হয়নি। সেটা হাসপাতালের বারান্দায় পেরে তার উপর বেডশীট বিছিয়ে দিয়ে আমার ভাতিজাকে শুইয়ে দিলাম তার অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল। অবশেষে একটু শান্তি পেলাম আমার হাতে পায়ে কেটে গিয়েছিল খুবই দ্রুত ইনজেকশন এবং ড্রেসিং করে দিল পাশে একটি চেয়ার ছিল সেখানে আমি বসে পড়লাম।

কিন্তু কয়েকজন মহিলা আমাদের দিকে একই দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমাদের এই এক্সিডেন্টের কাটা দেখে অনেক কষ্ট পেয়েছে। তারপর বাড়িতে জানানো হলো তখন ফজরের আজান পড়ছে। সকালে কিছু বড় ভাই ব্রাদার খুবই দ্রুত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চলে আসে হসপিটালে। সেখানে এক দিন থেকে ছিলাম অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি মানুষ বিপদে পড়লে অসুস্থ হলে মানুষের মধ্যে ভালোবাসা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়।

অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে আবার নতুন কেউ হসপিটালে ভর্তি হচ্ছে দৃশ্যগুলো দেখলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে। অনেক মানুষের জীবনের ঘটে যাওয়া গল্পগুলো শুনে অনেক অবাক হয়েছি। সামান্য বিষয়ে নিয়ে মারামারি করে আহত হয়ে হসপিটালে ভর্তি আবার কেউ পারিবারিক অশান্তি আত্মহত্যার চেষ্টা এই ধরনের অনেক গল্প চারিপাশে শুনতে এবং দেখতে পেয়েছি। হসপিটাল থেকে যখন রিলিজ নিয়ে বাড়িতে ফিরব মনে হচ্ছে তাদের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাদেরকে ফেলে কিভাবে যাই সত্যি যে কোন পরিবেশ পরিস্থিতি আপনাকে আপন করে তুলতে পারে।

ধন্যবাদ সবাইকে



20211112_012926-01.jpeg

আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলে জীবনে চলার পথ সব সময় বক্র হয়ে থাকে।
মাঝে মাঝে আমাদের সাথে এমন অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়।
গভীর রাতে বাইক এক্সিডেন্ট তারপরে হাসপাতালে রোগীকে পাহারা দেয়ার দারুন অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন।
আসলে হাসপাতালগুলোর দুর্গন্ধ আর মশার কামড়ে জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে।
বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালের অবস্থা গুলো এতটাই খারাপ যে সেখানে ঠিকাই মুশকিল।

আপনি যে জায়গায় কখনো যান নাই সে জায়গায় মর্ম আপনি বুঝতে পারবেন না যতক্ষণ না সেখানে না যাবেন। প্রথমে আপনার জন্য দোয়া রাখি এবং দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আসলে ভাই হাসপাতাল এমন একটা জায়গা কেউ শখের বসে যায় না। আর হাসপাতালে গেলে বোঝা যায় মানুষ কতটা কষ্টে থাকে। আর সুস্থতা মানুষের জন্য কত বড় একটা নেয়ামত। আপনি হাসপাতালে দুইদিন থেকেই কিন্তু কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। বর্তমান এক্সিডেন্ট একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। প্রতিদিন অহরহ এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তা আমাদের চেষ্টা করা উচিত রাস্তা ঘাটের চলাফেরা খুব সাবধানতার সাথে করা।

Posted using SteemPro Mobile

মোটরসাইকেলের এক্সিডেন্ট গুলো খুবই খারাপ হয়। ভাগ্য ভালো যে আপনাদের অল্পের মধ্যে দিয়ে পার হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া সরকারি হাসপাতালগুলোতে ইমারজেন্সি ট্রিটমেন্টের জন্য খুব ভালো হলেও সেখানে রাত থাকা খুবই কষ্টকর। সিটি পাওয়া বেশ মুশকিল। আপনাদের অবস্থা খারাপ দেখে আশেপাশের মায়েদেরও মনে হয় খারাপ লাগছিল। এজন্যই তারা আপনাদেরকে সাহায্য করেছে। আসলে বিপদে একে অপরকে সাহায্য করাই তো মানুষের কাজ। যাক অল্পের মধ্যে দিয়ে বেঁচে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

আসলে এখন বাইক এক্সিডেন্ট টা একটু বেশি হচ্ছে। তাই প্রত্যেকের উচিত রাস্তাঘাটে সাবধানে চলাচল করা। আসলে আমরা যে জায়গায় কখনো যায়নি সেই জায়গার অবস্থা সেখানে না যাওয়া পর্যন্ত বুঝতেই পারি না। তবে সেখানে যদি আমরা একবার যাই তাহলে অনেক কিছুই জানতে পারি। যেমন আপনি দুই দিনের জন্য হসপিটালে ভর্তি ছিলেন এবং কি তখন অনেক কিছুই জানতে পেরেছিলেন। আশা করছি পরবর্তীতে সাবধানে চলাচল করবেন রাস্তাঘাটে। আর আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

আসলেই হাসপাতাল জীবনটা সব থেকে অন্যরকম হয়। আমরা যদি হাসপাতালে যাই তাহলে হাসপাতাল জীবন সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব। যদিও আপনি কখনো হাসপাতালে ভর্তি হননি কিন্তু এক্সিডেন্ট হওয়ার কারণে ভর্তি হতে হয়েছিল। আর তখন আপনি অনেক কিছুই জানতে পেরেছিলেন। গল্পটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।