মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে (ঘোরাঘুরি পর্ব- ৩) || by ripon40

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক


  • মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে (ঘোরাঘুরি পর্ব- ৩)
  • ০৩, জুন ,২০২৩
  • শনিবার


আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে কাটানো মুহূর্তের দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।



_1685809059203-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি


আজকে আপনাদের সাথে মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে ঘুরাঘুরি মুহূর্তের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। এর আগে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম ।যাত্রাকালীন সময়ে সুন্দর এই রাস্তার দৃশ্যপট দেখতে কত সুন্দর সেটা উপভোগ করার পাশাপাশি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছিলাম। প্রথমবার যেহেতু গিয়েছিলাম ঘুরতে জায়গাটি এবং পরিবেশটা সত্যিই বলে দেয় সময়ের সাথে সাথে কিভাবে পাল্টায়। যাইহোক, আমরা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম পদ্মা সেতুর কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছেছিলাম সন্ধ্যাকালীন সময়ে। মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রা মুহূর্তে এক ঘন্টা সময় লেগেছিল।

IMG_20230402_203048-01.jpeg

IMG_20230402_202813-01.jpeg

IMG_20230402_202653-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
খেলনা অস্ত্র
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



আমরা সেখানে অবস্থান করে একটি হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষে ভাবলাম একটু পদ্মা নদীর তীরে গিয়ে আড্ডা দিই। এতদূর জার্নি করে এসেছি একটু রেস্ট নেয়া হয়ে যাবে অনেক মজা হবে। সেখানকার হোটেল থেকে খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা পদ্মা নদীর তীরে যাই ।সেখানে অনেক দোকানপাট বসেছে। নদীর ঘাটে একটা খেলনার দোকান ছিল আমাদের থেকে জুনিয়র সম্পর্কে ভাতিজা সে আবার আবদার করে বসলো আমাকে একটা খেলঅস্ত্র কিনে দিতে হবে। সেই খেলনার দোকানে গিয়ে অনেক বড় একটি খেলনা অস্ত্র পছন্দ করলাম।

IMG_20230402_203403-01.jpeg

IMG_20230402_203404-01.jpeg

IMG_20230402_212422-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
চাঁদা নিচ্ছে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



দোকানদারের কাছে দাম জিজ্ঞাসা করলাম তিনি বললেন দেড়শ টাকা আমরা তার সাথে অনেক দামাদামি করলাম ১১০ টাকা দিব। সর্বশেষ তিনি বললেন ১২০ টাকা দেন আচ্ছা ঠিক আছে ১২০ টাকা দিয়ে আমরা সেই অস্ত্র কিনে নিলাম। সেই খেলনা অস্ত্র কিনে নেওয়ার পর ঘটলো আসল ঘটনা। খেলনা অস্ত্রের জন্য ছিল প্লাস্টিকের বুলেট খেলনা অস্ত্রের সাথে প্লাস্টিকের গুলি বল ফ্রি দিয়েছিল। প্রথমে আমার বন্ধুরা রাজু সেই অস্ত্রের ভেতর প্লাস্টিকের বুলেট বল দিয়ে অস্ত্র লোড করে। তখন সে বলতে থাকে আমাকে চাঁদা দিতে হবে এখন হঠাৎ করেই প্রথমে আমাকে গুলি লোড করে পা বরাবর চালিয়ে দেয়। কখনো ভাবি নি এতটা ব্যথা পাব। তারপরে বলতে থাকে আমাকে চাঁদা দিতে হবে আমি বললাম কয় টাকা সে বলল ৫০ টাকা দিতে হবে আমি বললাম না সর্বোচ্চ ১০ টাকা দিতে পারব অবশেষে ২০ টাকা দিতে হয়েছিল আমাকে।😪😛 আমরা মোট চারজন ছিলাম সে বাদে সবার কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছিল।

IMG_20230402_212426-01.jpeg

IMG_20230402_214613-01.jpeg

IMG_20230402_214609-01.jpeg


Device : Redmi Note 11
মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে রাতের দৃশ্য
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..



তিনজনের কাছ থেকে চাঁদা উঠানোর পর ৮০ টাকা হলো। এখন এই টাকা কি করা যায় অবশেষে একটি সেভেন আপ কিনলাম খাওয়ার জন্য। নদীর পাড়ে বসে কিছু সময় আড্ডা দিতে থাকলাম হঠাৎ করে একটা বিষয়ে মাথায় চলে আসে। হাতের কাছে যেমন লাঠি থাকলে মাথা চুলকায় বিভিন্ন ধরনের দুষ্টামি করার জন্য ঠিক তেমনি খেলনা অস্ত্র হাতে পাওয়ার পরে সেটাই হয়ে ছিল। সবাই প্লাস্টিকের বুলেট বল লোড করে মজা করতে থাকলাম। তো আমি চিন্তা ভাবনা করেছিলাম পাশের একটি ফুচকা চটপটির দোকান ছিল সেখানে ঝালের একটি বোতল লক্ষ্য করে আমি গুলি করার চেষ্টা করি। সে দোকানটি অনেক দূরে ছিল নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গিয়ে বোতলে আঘাত করতে সক্ষম হই। সাথে সাথে বোতলটি পড়ে যায় সবাই তো অবাক। আমার দেখাদেখি সকলে ই চেষ্টা করে কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় সত্যি ই নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্যে যদি সফল হন অনেক ভালো লাগে। অনেকক্ষণ সেখানে মজা করার পর আমাদের আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে বেশি রাত হলে আবার সমস্যা। আমরা আবার সেখান থেকে ব্যাক করি। মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে রাতের বেলা দৃশ্যটি অনেক ভালো লেগেছিল। সত্যিই অনেকদিন পর এরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পেরে অনেক ভালো লেগেছিল।

ধন্যবাদ সবাইকে



20211112_012926-01.jpeg

আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

💞 আল্লাহ হাফেজ 💞

k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। আসলে এমন পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে খুবই ভালো লাগে। মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে আজকের ঘোরাঘুরি পর্ব দেখে ভালো লাগলো। ঘোরা ঘুরির অনুভূতি গুলো চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম ধন্যবাদ ভাই।

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কখনো যাওয়া হয়নি তবে ইচ্ছা আছে আগামীতে যাওয়ার। বন্ধু রাহুল রাজু এবং গিফারির সাথে বেশ ভালই মজা করেছেন। তিনজন মিলে ৮০ টাকা তুলে সেভেন আপ আছে খেয়েছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে ঘুরাঘুরি করে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ফটোগ্রাফি গুলা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।।
আসলে সন্ধ্যা বেলায় এমন একটি জায়গায় সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া এবং কিছু খাবার খাওয়া অনেক আনন্দের বিষয়।।

মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন দেখেই বুঝতে পারছি। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছিলেন আপনারা সেখানে গিয়ে, আপনার কাটানো এত সুন্দর এই পোস্টটা পড়ার সময় খুবই ভালোই উপভোগ করেছিলাম। সম্পূর্ণটা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন। দেখে এবং পড়ে ভালো লেগেছে ধন্যবাদ

ভাইয়া, আপনারা পদ্মার নদীর তীরে ঘোরাঘুরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো।প্লাস্টিকের বুলেট খেলনা অস্ত্র কিনে এভাবে ব্যথা পেয়েছেন পায়ে জেনে খারাপ লাগলো।প্লাস্টিকের বল দূর থেকে মারলে খুবই লাগে।প্রথমে মনে হয় রাহুল ভাইয়া গুলি টার্গেট করেছিল?আর চটপটির দোকানদার আপনাদের কিছু বলেনি?দারুণ উপভোগ করেছেন সবমিলিয়ে,ধন্যবাদ আপনাকে।

বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনি মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে ঘুরাঘুরি করার তৃতীয় পর্ব আজকে শেয়ার করেছেন, যা পড়ে খুব ভালো উপভোগ করেছি। বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলেন ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তের। বেশ ভালোই কাটিয়েছিলেন আপনারা ঘোরাঘুরি করার সময়, দেখে বোঝা যাচ্ছে। সম্পূর্ণটা খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। ৮০ টাকা তুলে সেভেন আপ খেয়েছিলেন তাহলে। এরকম মুহূর্ত অতিবাহিত করতে সবারই ভালো লাগে। পড়েও বেশ ভালো লাগলো।

নতুন কোন জায়গার মধ্যে ঘুরতে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আসলে সবাই কম বেশি ঘুরতে অনেক পছন্দ করে। সে হিসেবে আপনারা মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। এবং অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। এবং তিনজন থেকে চাঁদা ৮০ টাকা তুলে একটি সেভেন আপ কিনলেন। যাক আপনার লক্ষ্য মনে হয় অনেক ভালো সেজন্য দূর থেকে গুলি করে বোতলটি সই করেছেন। আপনার পোস্টে পড়ে অনেক ভালো লাগলো।