আসসালামুয়ালাইকুম,
সবাই কেমন আছেন?আশা করি আল্লাহর মেহেরবানীতে সবাই ভাল আছেন। আর ভাল থাকেন সবসময় আমি এই দোয়া করি।
❤আমার বাংলা ব্লগ❤ মানে ব্যতিক্রমী একটি কমিউনিটি ❤আমার বাংলা ব্লগ❤মানে পরিবারের শান্তি খুঁজে পাওয়ার জায়গা।প্রতিনিয়ত ❤আমার বাংলা ব্লগে❤ এত সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে দেখে রীতিমতো আমি অবাক হয়ে যাই। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের না বলা কথা, তিক্ততার কথা এবং ভালোলাগার কথা গুলো প্রকাশ করা যায়। এছাড়াও এই প্রতিযোগিতার গুলোর মাধ্যমে ইউনিক জিনিস জানা যায়।আর এই সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে সত্যিই নিজেকে ধন্য মনে করি।
আজকের এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছেন আমাদের প্রিয় শ্রদ্ধেয় হাফিজ ভাইয়া।ভাইয়ার এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্কুল জীবনের অনেক না বলা তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা সবার কাছ থেকে জানতে পারবো। যেগুলো আমরা আমাদের মনের মধ্যে রেখে দিয়েছি এই তিক্ত অভিজ্ঞতা গুলো এখনো মনে হলে খারাপ লাগে।
স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কিছু কথা।।
প্রতিটা মানুষেরই স্কুল অথবা কলেজ লাইফে কিছু না কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে তার সাথে রয়েছে না-বলা অনেক ক্তিক অভিজ্ঞতা। আমার মতো স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা সবারই রয়েছে।তবে স্কুল জীবনের যে আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে সেগুলো ভুলার মত না,তার সাথে তিক্ত যে অভিজ্ঞতা গুলো রয়েছে সেগুলো এখনও মনে হলে মনকে নাড়া দেয়। আমার মত প্রত্যেকটা মানুষেরই জীবনে কিছু না কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে স্কুল জীবনে।
আমার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আমার বাবা সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন সেই সুবাদে বিভিন্ন জেলায় পোস্টিং হতেন। তবে বেশির ভাগই আমরা চট্টগ্রামে রয়েছিলাম।এক বছরের জন্য বাবা অন্য জেলায় পোস্টিং হওয়ার কারণে আমাদেরকে দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।তাই এক বছর গ্রামের বাড়ির স্কুলে পড়ালেখা করার সুভাগ্য হয়েছে। তখন ৪র্থ শ্রণিতে পড়ালেখা করতাম ভালোই আনন্দ ময়সময় কাটাতাম কারণ আমার ক্লাসে যারা ছিলেন ক্লাসমেট তারা আমার বয়সে অনেক বড় ছিলেন। সবাই খুব আদর করতেন আর সব সময় শহরে থাকার কারণে গ্রামের মানুষ গুলোকে খুব আপন মনে হতো। ছোটবেলায় খুব নাদুসনুদুস ছিলাম তাই সবাই আমাকে পছন্দ করতো।৪র্থ শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা হবে তার ১০-১৫ আগের একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আমার পরিবার গ্রামে থাকতাম না, আর আমি অনেক ছোট তাই গ্রামের হাবভাব সম্বন্ধে কিছু জানতাম না। গ্রামের স্কুলের ক্লাসমেট গুলো খুবই ভালো ছিল তবে তার মধ্যে কিছু সহপাঠী ছিল খুবই দুষ্টু।সবাইকে আমি বেশ আপন ভাবতাম সব সময় স্কুলে যাওয়া আসা করতাম টিফিনের সময় সহপাঠীদের সাথে খুব খেলাধুলা করতাম।যারা দুষ্টু সহপাঠী ছিলো তারা চাই তো তাদের সাথে খেলাধুলা করতে কিন্তু আমার সেটা ভাল লাগত না।
ক্লাসের মধ্যে কিছু সহপাঠী ভালো থাকে আবার কিছু সহপাঠী থাকে দুষ্টু টাইপের সেরকমই কিছু সহপাঠী আমার ক্লাসে ছিল। আমাকে বিভিন্ন রকম জিনিস দেখিয়ে অথবা বিভিন্ন কথা বলে ভয় দেখাতো।তখন বয়স কতোই বা হয়েছিল আমার। একসময় তারা খুব ভালো বন্ধুর মতো হয়ে যায় আমার সাথে।তারা একদিন টিফিনের সময় আমাকে বলে চলো তোমাকে নিয়ে ঘুরতে যাব।তাদের কথায় রাজি হলাম শহরের জীবন টা বন্দি জীবন ছিলো তাই গ্রামের পরিবেশটা আমার কাছে যেন স্বর্গের মতো লাগছিল।তাই তাদের কথামতো তাদের সাথে ঘুরতে গিয়েছি যাওয়ার পর একটা তেঁতুল গাছ দেখে ওই সহপাঠীদেরকে বললাম আমাকে কিছু তেতুল পেরে দেওয়ার জন্য আর তেতুল গাছটা ছিল পুকুর পাড়ে। তারা বলল ঠিক আছে পেরে দিবো তুমি গাছে উঠো আগে তখন তাদের কথায় গাছে উঠলাম। সমস্যা হলো যখন আমি গাছে উঠতে নিলাম পা পিছলে পরে যায় পুকুরে।আর পুকুরে পরে যাওয়ার সাথে সাথেই দুষ্টু যে সহপাঠী গুলো ছিল সেগুলো দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে আমি সাঁতার জানিনা,আমি পানির মধ্যে একবার ডোব ছি আবার উঠছি এরকম করতে করতে তেঁতুল গাছের একটা ছোট ঢাল ধরে কোনরকমে মুখটা উপরে তুলে শ্বাস নিচ্ছিলাম আর জোরে জোরে চিৎকার করছিলাম কেউ আমাকে বাঁচানোর জন্য কিন্তু ওই দুষ্টু সহপাঠী গুলো দূর থেকে দেখে হাসছিল। ৫ মিনিটের মত এই ভাবে পানির মধ্যে চিৎকার করছিলাম। আস্তে আস্তে আমি নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিলাম। গ্রামের রাস্তা দিয়ে আমার এক কাকা যাচ্ছিলো চিৎকার শুনে আমাকে দেখে জোরে চিৎকার শুরু করে দিয়েছে আশেপাশে বাড়ির মানুষ সবাই দৌড়ে আসে আমি দেখতে পেয়েছি তারপর কি হয়েছে তা আমার মনে নেই।
যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন দেখি স্কুলের মাঠে মাটির মধ্যে আমি শুয়ে আছি। আমাকে ঘিরে চারপাশে অনেক মানুষ এবং আমার আমমুও ছিল সবাই কান্নাকাটি করছিল। যাইহোক, আমার এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরেছি যদি ওই দিন মারা যেতাম তাহলে হয়তো আমার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা টি শেয়ার করা সম্ভব হতোনা।জীবন এখানেই সমাপ্ত হয়ে যেত। আজও এ কথাগুলো মনে হলে গা শিউরে ওঠে। যখন এই লেখাটি লিখছিলাম তখন চোখের সামনে যেন ওই দিনের স্মৃতিগুলো ছল ছল করে ভেসে উঠছিল 😔
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারলাম আপনার পোস্ট টি পড়ে। এরকম একটা ঘটনা আমার সাথে ওঘটেছিল আমার নানু বাড়িতে ঘটনাটি একদিন শেয়ার করব। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে কিছু খারাপ মানুষের জন্য অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু,আমার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাটি আপনার ভালো লেগেছে এছাড়াও আপনার জীবনে এ রকমই একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে আপনি লিখেছেন আর এই লেখাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। সে অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপু 🥰
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
They are very cute. The place is just like here in our country, very peaceful and relaxing.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you very much
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্কুল জীবনে তিক্ত অভিজ্ঞতার পুরো পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে অনুভূতিগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া,আমার স্কুল জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার লেখাটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া💐💐
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit