পেঁয়াজ পাতা দিয়ে বাঙ্গালী ভর্তা রেসিপি

in hive-129948 •  14 days ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

2024-12-08 07-30-59.png

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পেঁয়াজ পাতা দিয়ে বাঙ্গালী ভর্তা।আমাদের এলাকায় একে শীদল বা বাঙ্গালী বলে যা শুটকি ও কচু দিয়ে বাসায় বানানো হয়।এটা খেতে খুবই মজাদার।আমার খুবই পছন্দের খাবার
আমার মা প্রত্যেক বছর শীতের শুরুতে এটা বানায়।আজ পেয়াজ পাতা দিয়ে সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করি ভালো লাগবে।

উপকরণ সমূহ

1733621084772.png

শীদল
পেঁয়াজ পাতা
রসুন কুচি
পেঁয়াজ কুচি
মরিচ কুচি
লবণ
হলুদ
আদা বাটা
রসুন বাটা
জিরা বাটা

1733621144534.png

প্রথমে শীদল গুলোকে একটা একটা লোহার ভাজনির সাথে গেঁথে নিয়েছি।তারপর চুলা জ্বালিয়ে আসতে জ্বালে কিছুক্ষণ পুড়িয়ে নিয়েছি।

1733621174151.png

এরপর একটা বাটিতে পানি দিয়ে তার মধ্যে শীদল গুলোকে কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রেখেছি।নরম হয়ে এলে এবার হাতদিয়ে ভেঙে দিয়েছি।

1733621213743.png

এবার ফ্রাইংপ্যানে তেল গরম করে তাতে তেল দিয়ে রসুন থেঁতো করে দিয়েছি।

1733621261823.png

রসুনগুলো ভাজা হয়ে এলে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি মরিচ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।

1733621295818.png

সব কিছু ভাজা হয়ে এলে তাতে সব মশলাগুলো পরিমাণমতো দিয়েছি।

1733621340860.png

সবমশলাগুলো কষানো হয়ে এলে তাতে পেঁয়াজ পাতাগুলো দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।

1733621375396.png

পেয়াজ পাতার সাথে সব মেশানো হয়ে এলে তাতে শীদলগুলো দিয়েছি।সবকিছু সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঝোল দিয়েছি।

1733621415892.png

সবকিছু ভালো ভাবে ভেজে নিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।

2024-12-08 07-30-59.png

সবশেষে বাটিতে ঢেলে লেবু দিয়ে পরিবেশন করেছি।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই ধরনের ভর্তা রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আমাদের দিকে তেমন একটা প্রচলন নেই ।হয়তো শীতের সময় এই ধরনের ভর্তা রেসিপি খেতে বেশি সুস্বাদু লাগবে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার ভর্তা রেসিপি। যেটা বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

শিদল খুবই মজার একটি খাবার।তবে খুব বেশি খাওয়া হয়নি দুই একবার খেয়েছিলাম খুবই মজা লেগেছিলো।শিদল দিয়ে পেঁয়াজকলি ভর্তা এই রেসিপিটি একদম নতুন একটি রেসিপি মনে হলো আমার কাছে।রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে!অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাবি।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ও ইউনিক ভাবে পেঁয়াজ পাতা দিয়ে বাঙ্গালী ভর্তা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে এই ধরনের রেসিপি প্রায় দিন বাড়িতে খাওয়া হয়। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

কখনো পেঁয়াজ ভর্তা খাইনি।কিন্তু শুনেছি খেতে নাকি ভীষণ রকমের স্বাদ। আজকে আপনার তৈরি পেঁয়াজ পাতা দিয়ে বাঙালী ভর্তা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদ। মজাদার এই রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আজকের টাস্ক প্রুফ
Screenshot_20241207_153757.jpg

Screenshot_20241207_153504.jpg
টুইটার লিংক - https://x.com/RituAmin56700/status/1865330543103271136?t=e9ApDl2maqy9fVCO48P_hQ&s=19

খুবই মজাদার একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পেয়াজ পাতা দিয়ে ভর্তা এই রেসিপিটি দেখেই আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে আর এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনার আম্মা প্রত্যেক বছরের শীতের সময় এই রেসিপিটি তৈরি করে থাকে। বোঝাই যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য।

আপু আপনার রেসিপিটা খুবই ভালো লাগলো কিন্তু শিদল যে খাবারের নামটি বলেছেন এটি আজকে প্রথম দেখলাম এবং শুনলাম। এর আগে আমি কখনো এই নামটি শুনিনি বা দেখিনি। আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে ভীষণ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

শিদলটা আসলে কি আমার জানা নেই। তবে পিঁয়াজ পাতা দিয়ে এভাবে ভর্তা করলে খেতে অনেক মজা লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এই জাতীয় ভর্তাগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু ছিল আপনার এই ভর্তা।

শীদল কি তা আমি আগে কখনোই জানতাম না এবং আমার কোন আইডিয়াই নেই এই বিষয়টা সম্পর্কে। আপনার পোস্ট পড়েই প্রথম জানলাম। পেঁয়াজ পাতা বা পেঁয়াজকলি শীতকালের দিনে প্রচুর পাওয়া যায় এবং সেটা যেকোনো মার দিকে রান্না করলে খুবই সুস্বাদু হয়, আমরা মূলত মাছের তেল দিয়ে রান্না করে থাকি। আপনার এই রেসিপিটা অন্যরকম লাগলো। আশা করি খেতে ভালই হয়েছিল।

ভিন্ন স্বাদের এক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মাঝেমধ্যে এমন রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আশা করি অনেক সুস্বাদু হয়েছে এমন পেঁয়াজের রেসিপি।

এখন হতে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন এই টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে হবে এবং কমেন্টে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে।

https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important

পেঁয়াজ পাতা দিয়ে বাঙ্গালী ভর্তা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার সুস্বাদু রেসিপি আমার অনেক ভালো লেগেছে। এভাবে কখনো রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তাই ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তীতে তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।

খুবই মজাদার ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপির পরিবেশনে আমার অনেক ভালো লেগেছে। ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভর্তা মানেই বাঙ্গালীর পছন্দের তালিকায় নাম্বার ওয়ান।আজকে আপনি পেয়াজ কলি ও শীদল দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে ভর্তা করেছেন।যদিও বা শীদল কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি।ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

শীতকাল চলে আসলেই বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন সবজি চলে আসে।আর এই সব সবজি থেকেই বিভিন্ন ধরনের ভর্তা রেসিপি তৈরি করা যায়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পেঁয়াজ পাতা দিয়ে বাঙ্গালী ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা ভর্তা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।

অসাধারণ আপু আপনি অনেক সময় নিয়ে ধৈর্য্য সহকারে পেঁয়াজ পাতা দিয়ে সিদল ভর্তা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অবশ্য এই রেসিপিটা আমি আমার এক ময়মনসিংহের কলিগের বাসায় খেয়েছিলাম খুবই সুস্বাদু ছিল। তাছাড়া আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটাও অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম লোভনীয় একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

সিদল ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর এভাবে পুড়ে কখনো ভর্তা করা হয়নি। নতুন ভাবে এই ভর্তার রেসিপি শিখলাম আপু। দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। অনেক লোভনীয় লাগছে।

ভর্তা বাঙালির পছন্দের একটা খাবার। শীদল জিনিস টা আমার খুব একটা খাওয়া হয়নি। তবে ভর্তাটা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। দারুণ তৈরি করেছেন ভর্তাটা আপু। রেসিপি টার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।

ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি দেখতেছি পেঁয়াজ পাতা দিয়ে মজার ভর্তা রেসিপি করেছেন। তবে ভর্তা গরম ভাত এবং পান্তা ভাত যে কোন কিছু দিয়ে খেতে মজাই লাগে। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে ভর্তা রেসিপি করি খাওয়ার জন্য। সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

আপু শীদল কিসের তৈরি আর এটাকে কেন শীদল বলে জানাবেন। যাই হোক আপনার কাছ থেকে একদম ইউনিক একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। যদিও শীদল খেতে কেমন লাগে তা জানা নেই তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপু শীদল জিনিসটিকে চিনতে পারলাম না। আজকে আপনি মজার ভর্তা রেসিপি করেছেন। পেঁয়াজ পাতার ভর্তা খেতে বেশ মজাই লাগে। তবে বাজারে পেঁয়াজ পাতা বিক্রি করা হয়। সত্যি আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল খাওয়ার জন্য। সুন্দর করে ভর্তা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।