ঈদের দ্বিতীয় দিন

in hive-129948 •  9 months ago 

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যরা কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রতিদিনকার মত আজও আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ঈদের দ্বিতীয় দিন টা আমার কাছে মনে হয় প্রত্যেকটা বিবাহিত মেয়ের কাছে অনেক বেশি আনন্দের এবং অনেক বেশি ভালোলাগার একটা দিন। ঈদের দ্বিতীয় দিনের সাধারণত বিবাহিত মেয়েরা তাদের শ্বশুর বাড়ির সব দায়িত্ব শেষ করে বাবার বাড়ি যায়।আমার শ্বশুরবাড়িতে যেহেতু তেমন কেউ থাকেনা আমার শাশুড়ি ছাড়া। সেরকম কোন জোরজবর দস্তি নেই যে শ্বশুর বাড়িতে ঈদ করতে হবে। আমি যদি চাই আমার বাবার বাড়িতেও ঈদ করতে পারি কিন্তু আমি আমার নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই ঈদের দিনটা শ্বশুরবাড়িতেই কাটাই। কারন আমার হাজবেন্ড ও জানে যে আমি আমার বাবা আমার একমাত্র মেয়ে তাই তাদের কাছে যেতেও আমার খুব ইচ্ছা করে। খুব বেশি ইচ্ছা করে তাহলে আমি ঈদের দিন বিকেলে চলে যাই নয়তো ঈদের দিন যাই।

তবে এবার যেহেতু দেড় বছর পর শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছি এজন্য ঈদের দিনটা আমি আমার শ্বশুর বাড়িতেই ছিলাম। ঈদের পরের দিন বাবার বাড়িতে যাব এটাই ঠিক করেছি।ছোট ছেলে মেয়েদের কে নিয়ে তো অনেক ব্যাগপ্যাক করতে হয়। তো ঈদের দ্বিতীয় দিন ঘুম থেকে উঠেই আমি খাওয়া-দাওয়া করে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম । আমি রেডি হয়ে বসে আছি আমাদের কথা ছিল আমরা সকাল 11 টার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হব। জাহিরার বাবা ছোট একটা কাজ করতে গিয়ে তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আটকা পরে যায়।তার আসতে অনেক দেরি হয় আর সেদিন এত বেশি গরম ছিল যা বলে বুঝানোর মতো নয়। তারপরেও জাহিরার বাবা আমার আম্মুকে কথা দিয়েছিল যে দুপুরের খাবার আমাদের বাড়িতে গিয়ে খাবে তার কথা রাখার জন্য আমরা দুপুরে খাওয়ার আগেই পৌঁছে যাই। যদি একটু দেরি হয়েছিল গিয়ে দেখি আম্মু আমার ভাই সবাই বাড়ির বাইরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে এবং সবাই না খেয়ে আছে। দেখে একটু খারাপই লাগছিল তবে আমারও প্রচন্ড ক্ষুধা লাগছিল আর অনেক গরম লাগছিল।জাহিরার কোনরকম বাসায় ঢুকেই টেবিলে বসে গেছে। আসলে এত বেশি ক্ষুধা লেগেছিল যে টেবিলে এত ভালো ভালো খাবার দেখে আর ছবি তোলার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। আমি যদি ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করি আমার জন্য আম্মু ইলিশ মাছ, রোস্ট , ডিম,মাংস, সালাদ আরো অনেক কিছু রান্না করেছিলাম। ঈদে জামাই আদর বলে কথা।

দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই মিলে একটু রেট নিয়েছি। এরপর বিকেল বিকেল বের হয়েছি ঘোরার জন্য কারণ শ্বশুরবাড়িতে ঘুরতে পারেনি এখানে যে কয়দিন আছি ঘুরব।ঘুরতে যাওয়ার সময় সানিতকে বাসায় রেখে গিয়েছিলাম কারণ বাইরে অনেক গরম ওর অনেক অস্বস্তি হবে। জাহিরা ওর বাবা মিলে বেঅর হয়েছি গিয়ে প্রথমেই চটপটি খেয়েছি কারণ ফুসকা অথবা চটপটি না খাওয়া পর্যন্ত মনটা আকুপাকু করবে।তাই আগে পেট ঠান্ডা করে নিয়েছি।এবার মেয়েকে নিয়ে আমাদের গাইবান্ধার পৌরপার্কে ঠুকেছি।মেয়ের আবদারের তো শেষ নেই। প্রথমে দোলনা,নাগরদোলনা আরও কতকিছু তে উঠতে হবে।সব আবদার মেটানো হল।তারপর আর বাইরে থাকতে ইচ্ছে করল না।

সারাটা দিন বেশ ভালোই কাটলো। এবার বাড়ি গিয়ে বাবা মা কে সময় দেওয়ার পালা।আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপনি কিন্তু এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু আমিও গিয়েছিলাম মায়ের বাসায়। ঈদের দিন তো যাওয়ার সুযোগ হয়নি। ঈদের পরের দিন গিয়েছিলাম এরপর দুই তিন দিন থেকে এসেছি। যায় হোক খুবই ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

বিয়ের পরে বিশেষ দিনগুলোতে বাবার বাড়ি আর শ্বশুড়বাড়িতে কাটানোর দোটানা টা প্রতিটা বিবাহিত মেয়েই রিলেট করতে পারবে আপু। বাবার বাড়িতে যাওয়ার আনন্দ যেন অন্যরকম! কারণ প্রিয় মানুষ গুলো অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে৷ বিবাহিত মেয়ের বাবা-মায়েদের আসল ঈদ তো মনে হয় মেয়ে-জামাই আসলেই শুরু হয়! খুবই ভালো লাগলো আপনাদের একত্রে ঈদের ২য় দিন কাটানোর মূহুর্তের কথা জানতে পেরে।

ঠিক বলেছেন আপু ঈদের দিনে তেমন রান্না ও করে না আমরা নেই বলে।অনেক ধন্যবাদ আপু।

আসলে ঈদের দিন যতটা আনন্দের থাকে ততটা ব্যস্তময় হয়ে থাকে। তবে তার পরের দিন প্রত্যেক মেয়েরা চায় নিজের বাবার বাড়িতে বেড়াতে যেতে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে যেতেও ভালো লাগে। ঠিক তেমনি অনুভূতিতে গড়া আপনার আজকের এই পোস্ট। ঈদের এই সুন্দর মুহূর্ত আপনারা কি ভাবে প্রতিবাহিত করেছেন তা কিছুটা হলেও দেখার সুযোগ মিললো এবং ধারণা পেলাম।

একদম ঠিক বলেছেন ভাবি, ঈদের দ্বিতীয় দিনটা সব বিবাহিত মেয়েদের জন্য একটু বেশি আনন্দের। যদিও আমি ঈদের দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি না ঈদের দিন বিকেলেই চলে যাই বাবার বাড়ি।আপনার ঈদের দ্বিতীয় দিনের মুহূর্ত দেখে বেশ ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।

ঈদের দিনটি খুব মজার ভাবে কাটিয়েছেন দেখছি।ঠিক বলেছেন বিবাহিত মেয়েদের ঈদ আনন্দের হয়ে থাকে কারন শ্বশুর বাড়ির সব দায়িত্ব পালন করতে হয়।শ্বশুড় বাড়িতেই ঈদ করতে হবে এমন বাঁধা ধারা নিয়ম আপনার না থাকলেও আপনি আপনার দায়িত্ববোধ থেকে শ্বশুড় বাড়িতেই ঈদ কাটিয়েছেন এবং ঈদের পর দিন বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন ও খুব লোভনীয় ও আপনার পছন্দের খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।বিকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিল এবং গাইবান্ধা পৌর পার্কে ঘুরেছেন মেয়ের সব আবদার মিলিয়েছে।সব মিলিয়ে ভীষণ সুন্দর করে ঈদের দিনটি কাটিয়েছেন আপনি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সময় গুলো কাটানোর মুহুর্তের অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।