আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আবারো নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আমার অনেক আনন্দ এবং অনেক ভালোলাগার একটি বিষয় আপনাদের সাথে তুলে ধরব। আমার অনেকদিন বিয়ের পর থেকে খুব ইচ্ছা করছিল আব্বু আম্মুর সাথে দূরে ঘুরতে যাব। কিন্তু সময় সুযোগ হয়ে উঠছিল না। আর আব্বু আম্মু সবসময় যেতে চায় না।আমার ফুফাতো ভাই হঠাৎ করে অনেক অসুস্হ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আর রড় একটা অপারেশনের হয়েছে।তাই আব্বু আম্মু দেখতে যাবে। এই সুযোগে আমি ও ভাবলাম আমি ও যাই
তাই ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করাও হবে আর ঘুরাও হবে। আমার আব্বু এবং আম্মু কিন্তু পরে আমি ভাবলাম আমার মেয়েও যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করছে এজন্য আমরা পাঁচজন যাচ্ছি ঢাকায় আমি আমার ছেলে মেয়ে আর আমার আব্বু আম্মু।
আব্বু তো যাওয়ার জন্য কোন ভাবে রাজি হচ্ছিল না কারণ আব্বু ঘুরতে যেতে পছন্দ করেনা বাসায় শুয়ে বসে রেস্ট নিতে পছন্দ করে। আমি অনেকটা জোর করে রাজি করে আনছি। অনেক কষ্ট করে আব্বুবুকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি করানো হয়েছে। আমরা সবাই ট্রেনে ঘুরতে বেশি পছন্দ করি। আমার ও মেয়ের খুবই ভালো লাগে। এজন্য আমি আর ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম আব্বু আম্মুর সাথে বেশ অনেকটা সময় ট্রেনে করে যাব বেশ অনেক গল্প হবে।
ঢাকা যাওয়ার কথা শুনে আমার মেয়ে তো অনেক খুশি।। তার প্ল্যান ঢাকায় গিয়ে অনেক ধরনের খেলনা কিনবে। আর কোন কিছুই চাই না। আমি ঢাকা যাব আরও একটা কাজ নিয়ে আমার যে বোন এক মাস আগে মারা গিয়েছিল তার পরিবারের সাথে দেখা করতে যাব। এসব মিলিয়ে ঢাকা যাওয়াটা আমার জন্য অত্যন্ত জরুরী। উপরে ছবিগুলোতে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন আমার বাবার সাথে আমার মেয়ে খুব আনন্দে জার্নি করছে। ট্রেন জার্নি সাথে আমার বাবা বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দিচ্ছিল আর আমার মেয়ে খুব আনন্দ করে খাচ্ছিল। আমার ছেলে তার নানীর কোলে ঘুম আর মেয়ে তার নানার কোলে বেশ ভালই লাগছিল খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি। আর এই সুযোগে আমার মায়ের হাতে খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়েছে।
সৃষ্টিকর্তার কা আমার বাবা-মার সাথে এত সুন্দর একটি সময় কাটানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা যেন সবাই সুস্থভাবে সব দায়িত্ব পালন করে নিজ ঠিকানায় ফিরে যেতে পারি। সবাই আমাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাবা মায়ের সাথে কোথাও যেতে খুব ভালো লাগে। আমি এখনো যেখানেই যাই বাবা মাকে সঙ্গে নিয়েই যেতে ইচ্ছে করি। এমনকি বাবা-মা এখন আর পাহাড়ে উঠতে পারে না বলে আমি খুব একটা পাহাড়ে বেড়াতেও যাই না। এই পোষ্টটি খুব ভালো লাগলো। বাবা-মা যতদিন বেঁচে থাকেন, ততদিন ছাতার মতো আমাদের মাথার উপর থাকেন। আপনার তাঁদের সঙ্গে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাবা মা একটা সময় আর কোথাও ঘুরতে যেতে চায় না। তখন তারা নিজের বাসায় থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। ভালো করেছেন আপু আপনার বাবা মাকে নিয়ে আপনার ফুফাতো ভাইকে দেখতে চলে গিয়েছেন। এই সুযোগে ঘোরাও হয়ে যাবে। ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাবা মা সাথে সময় কাটাতে পারলে অনেক ভালো লাগে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আব্বুকে রাজি করিয়ে শেষ পর্যন্ত একসাথে সবাই ঢাকা এসেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আপনার মেয়ে তো দেখছি আপনার বাবার পাশের সিটেই বসে আছে। ফ্যামিলি নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া ট্রেন জার্নি আমারও খুব পছন্দ। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit