আসসালামু আলাইকুম,
ঈদ মোবারক সবাইকে। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্ট টি শুরু করছি। নিশ্চয় সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো আছেন।আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ অন্য রকম এক আনন্দের মূহুর্ত শেয়ার করব।
টাইটেল দেখে অনেকেই বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। আমার ছেলের নাম অনেকেই হয়তো জানেন বয়স এই ১৩ তারিখে ৬ মাস পূর্ণ হবে। ছয় মাস কথাটা শোনা গেলেও বেশ কয়েক মাস এবারে প্রথম শানিত তার দাদু বাড়ি আসছে। এর মাঝে শানিতকে নিয়ে আসা হয়নি। যদিও খুব বেশি দূরত্বে আমরা থাকি না। গোবিন্দগঞ্জ থেকে প্রায় দেড়গন্টার পথ। শানিত হওয়ার পরপরই শীত পড়ে গেছে।শীত শেষ হতে না হতেই। রোজা এ তো এজন্য ভেবেছিলাম দুটো খুশি একবারেই হোক শানিত ঈদে বাড়ি যাবে তাহলে ঈদ আর শানিতের বাড়ি যাওয়া একই সাথে হলে আনন্দটা বেশ দ্বিগুণ হবে। এই ভেবে এর মাঝে আর আসা হয়নি।
আমি তো প্রায় দেড় বছর পর আসছি শ্বশুর বাড়ি। আমার শ্বশুর বাড়িতে তেমন কেউ থাকে না।আমার শাশুড়ী আর নানি শাশুড়ী। আমার আনন্দ টাও কম নয়।অপেক্ষায় ছিলাম কবে ঈদের ছুটি হবে আর কবে যাব।জাহিরার ছুটি হয়েছে ৪ তারিখ কিন্তু জাহিরার বাবার তো ঈদের একদিন আগে থেকে ছুটি এজন্য আসা হচ্ছিল না। অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো।বাড়ি আসার শ্বশুর বাড়ি আসার আনন্দে আগের দিন রাত থেকে আমি ঘুমাতে পারিনি গোছগাছ সব মিলিয়ে সারা রাতটা কেটে গেছে। যেহেতু আমার দুজন বেবি এজন্য ব্যাগ ও হয় বেশি।অনেক কিছু ব্যাক করে নিতে হয় বাচ্চাদের খাবার ফিল্ডার কাপড় প্রয়োজনীয় অনেক কিছু।
আগের দিনই আমার পরিচিতি অটোর ড্রাইভার কে বলে রেখেছিলাম।অটো ওয়ালাও সময় মত সকাল সকাল চলে এসেছে।আমি তো সকালে সব গোছানো শেষ করে ছেলে মেয়েকে রেডি করিয়ে একদম রেডি।আমার মেয়ে তো বেশি এক্সাইটেড প্রায় দেড় বছর পর যাচ্ছে।অটোতে উঠে আমার মেয়ে আবার নতুন বায়না ধরেছে ওর বাবা তো বাইক নিয়ে যাচ্ছে তো সে ও বাবার সাথে যাবে বলছে।পরে কি আর করা সে তার বাবার সাথে বাইকে যাচ্ছে। আমি আর আমার ছেলে অটোতে যাচ্ছি। একবার বাইক বগে যাচ্ছে তো একবার অটো আগে যাচ্ছে। শীতল ঠান্ডা হাওয়া বইছিল।
বাড়ি থেকে আমার শাশুড়ী বার বার ফোন করছে কত দূর জানার জন্য। বাড়ি তে এসে দেখি অনেকে আসছে আশে পাশের বাড়ি থেকে।সবাই আমার ছেলে মেয়ে কে মাতামাতি করছে।অনেক ভালো লাগছিল সব কিছু দেখে। এই মূহুর্তগুলো আসলেই ভোলার নয়।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সবাইকে আবারও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।ধন্যবাদ সবাইকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit