আমরা সকলেই ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি সম্পর্কে বেশ কয়েক জায়গায় শুনেছি এবং এই বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন এইটার অস্তিত্বের প্রমাণ এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আমাদেরকে দিতে পারেনি। তবে এটা ধারণা করছে এই ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি নামক দুটো বস্তু রয়েছে। যার প্রভাবে আমাদের এই পুরো মহাবিশ্ব পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টা একটু অদ্ভুত তাই না! বিষয়টি আরেকটু বিস্তারিত বোঝার আগে আরেকটি উদাহরণ দিয়ে শুরু করতে চাই।
আমরা সকলেই তো ইন্টারনেট ব্যবহার করি। এই ইন্টারনেটের কয়েকটি ধাপ রয়েছে। যেমন সারফেস ওয়েব, ডিপ ওয়েব আরেকটি হচ্ছে ডার্ক ওয়েব। আমরা যতটুকুই ইন্টারনেট ব্যবহার করি না কেন সেটা সারফেস ওয়েবেই থাকে এবং সেটা মাত্র পুরো ইন্টারনেটের পাঁচ শতাংশ এবং বাকি ৯৫%ই হলো ডার্ক ওয়েব এবং ডিপ ওয়েব। এই বিষয়গুলো আমরা কিন্তু অনেকেই জানি।
এখন কাকতালীয়ভাবে এই বিষয়টির সাথে সাদৃশ্য রেখে আমাদের মহাবিশ্ব কিছুর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কোন এক বিজ্ঞানী ধারণা করেছেন আমরা মহাবিশ্বে যা কিছুই দেখি না কেন সেটা সম্পূর্ণ মহাবিশ্বের মাত্র ৫% এবং বাকি ৯৫%ই হলো ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি। এই ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জির মূল কাজ হচ্ছে এই মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তুকে একে অপরের সাথে আবদ্ধ করে রাখা।
আচ্ছা বিষয়টি আর একটু গুছিয়ে বলার চেষ্টা করি, আমরা যে সৌরজগতে বসবাস করি সেখানে সূর্যের ভর প্রায় ৯৮% এবং বাকি দুই শতাংশর মধ্যে আমাদের সৌরজগতের যত গ্রহ উপগ্রহ এবং বস্তু রয়েছে সেই সব কিছু সীমাবদ্ধ। কিন্তু একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের ভর সম্পূর্ণ গ্যালাক্সির ১ শতাংশেরর ও কম। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে সম্পূর্ণ গ্যালাক্সি কিভাবে এই এক পার্সেন্ট ভরের ব্ল্যাক হোলের কাছে সমর্পণ করে তাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে...! বিষয়টা কিন্তু অনেকটাই জটিলতম এবং এই বিষয়টার প্রমাণ হিসেবেই দেওয়া হয়েছিল যে, এই মহাবিশ্বের ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটার নামে দুটি বিষয়বস্তু রয়েছে। যার প্রভাবেই গ্যালাক্সি গুলোকে একে অপরের সাথে আবদ্ধ করে রাখে।
এখন যদি এক কথায় বলতে পারি তাহলে ডার্কম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জির কোন প্রমাণ বর্তমানে আমাদের হাতে নেই। তবে এই দুটো বিষয়ের রয়েছে এর অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মনে করুন, ব্ল্যাক হোল আছে কিন্তু ব্ল্যাক হোল আমরা কখনো দেখিনি কিংবা আবিষ্কার করতে পারিনি তার মানে কি ব্লাক হোল নেই? বিষয়টা একটু জটিলতার হলেও বিষয়টি যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করেন তাহলে ঠিকই বুঝতে পারবেন। বিষয়টি আরেকটু বুঝিয়ে বলছি, আমাদের যে মৌলিক পদার্থগুলো রয়েছে সেগুলো কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল তারা আবিষ্কারের আগে কি সেই ম্যাটার গুলো ছিল না? অবশ্যই ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম সেই বিষয়টি আবিষ্কার হওয়ার পরে, বিষয়টি ঠিক এরকম অবস্থায় রয়েছে।
যাই হোক ডার্ক মেটার এবং ডার্ক এনার্জি নিয়ে আপনারা কি ধরনের চিন্তাভাবনা করেন, সেই বিষয়টি অবশ্যই মন্তব্যে লিখতে পারেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।