আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে একটা রিয়েলিটি নিয়েই কথা বলি। সব সময় কল্পনার বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে টুকটাক কথা বলা হয়, লেখালেখি করা হয়। সেসব আসলে সেসবের মতো। অর্থাৎ কল্পনা কল্পনার মতোন করে অনেক সুন্দর। কল্পনার সাথে বাস্তবের খুব একটা মিল হয় না। কিন্তু ভাবলাম আজকে একটা বাস্তব ব্যাপার নিয়েই আপনাদের সাথে আলোচনা করি। যে বাস্তব ব্যাপারটি আমি অনেকবার দেখেছি তবে আমার জীবনে এখনো ঘটেনি। কারণ আমি কল্পনার সাথে বাস্তব কে কখনোই মিলাই না। বাস্তবকে বাস্তবের মতোন করে কঠোরভাবেই দেখার চেষ্টা করি।
যাইহোক, আমাদের সকলের পরিবারে কিন্তু ছোট সদস্য রয়েছে। অর্থাৎ কমবেশি হয়তো অল্প কিছু পরিবারের কোনো ছোট সদস্য থাকে না। কিন্তু বেশিরভাগ পরিবারেই দেখবেন কোনো না কোনো এমন একটা ছোট সদস্য থাকে। যাকে আমরা আমাদের নিজেদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। কারণ ওই ছোট সদস্যটি পুরো পরিবারকে মাতিয়ে রাখে সারাক্ষণ। আর তাদের আমরা এতোটাই ভালবাসি যে, তারা কোনো কিছু আমাদের কাছে চাইলে। আমরা কখনোই বারণ করতে পারিনা এবং বারণ করতে চাইও না।
কিন্তু এটার একটা খারাপ কিংবা নেগেটিভ দিক অবশ্যই রয়েছে। অর্থাৎ আহ্লাদ করা ভালো। বাচ্চাদেরকে আহ্লাদ করা, বাচ্চাদেরকে অল্প প্রশ্রয় দেওয়া খুব ভালো। কিন্তু ওই প্রশ্রয়ের মাত্রাটা যদি দিনের পর দিনে অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাহলে সেটা একটা ভয়ংকর ব্যাপার হয়ে ওঠে। কারণ আহ্লাদ এর এক পিঠ অনেক সুন্দর অর্থাৎ আহ্লাদের একটা দিক হলো অনেক সুন্দর ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। কিন্তু অতিরিক্ত আহ্লাদের আরেকটা দিক অত্যন্ত ভয়ংকর। অর্থাৎ একটা বাচ্চাকে আপনি যেভাবে গড়বেন, সে সেভাবেই গড়ে উঠবে। ঠিক তেমনটাই, আপনি যদি একটা বাচ্চাকে সব সময় প্রশ্রয় দিতে থাকেন। তখন সে অন্যায় আবদার করতেও দুবার ভাববে না। আর আপনি যখন তার অভ্যাসটা ওভাবেই করে ফেলবেন। অর্থাৎ আপনি যখন আপনার অভ্যাসটা এমন ভাবে তৈরি করে ফেলবেন যে, আপনার বাচ্চা যা চাইবে আপনি তাকে তাই দিবেন তখন আসলে সে একরোখা কিংবা অসভ্য একজন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। যেটা আমাদের কারোর জন্য ই কাম্য নয়।
তাই বাড়ির ছোট সদস্যটিকে যেমন আমরা ভালোবাসি। ঠিক তেমনটাই তাদেরকে আদর স্নেহ,শাসন সবকিছু দিয়েই মানুষ করতে হবে। যেনো তারা আহ্লাদে নষ্ট না হয়ে যায়।