আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মাঝেমধ্যে নিজের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে লজ্জিত হতে হয়। কারণ বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা এখন এমন একটা অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আমাদের লজ্জিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় তারা আর রাখেনি। আজকে আমি আসলে আমাদের দেশের সম্পূর্ণ বিদ্যাপীঠ নিয়ে একেবারেই লেখালেখি করবো না। আজকে এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবো। অর্থাৎ আজকে আসলে আমি আমার বিদ্যাপীঠ নিয়ে লেখালেখি করবো।
আমি আমার বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়েছিলাম এটা ভেবে যে, যেহেতু আসলে পড়াশোনা করার ইচ্ছে রয়েছে। এবং পড়াশুনা নিয়ে আরো দূরে আগানোর ইচ্ছা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আসলে ভালো কোনো জায়গায় পড়াশোনা করাই উত্তম। কিন্তু প্রতিটি উত্তম জায়গাতেই অর্থাৎ প্রতিটি উত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা গিয়ে সবসময় হতাশ যেমনটা হয়েছি। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।
আমি আপনাদের কিছু খন্ড খন্ড ঘটনা বললে তাহলে আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে আরও বেশি ক্লিয়ার হবেন। যেমন বেশ কয়েকদিন আগে আমার ফাইনাল এক্সামের রেজাল্ট দিয়েছে এবং তার মধ্যে একটি রেজাল্ট দেখে আমি সত্যিই একেবারে হতাশ হয়েছি। কারণ সেই রেজাল্টটি আসলে দেখেই বোঝা গিয়েছে যে, তারা একেবারে খাতা না কেটেই রেজাল্ট দিয়েছে। কারণ একটা স্টুডেন্ট কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার পরে খুব ভালো করে সে নিজে নিজে জানে যে, সে ওই সাবজেক্টগুলোতে কতটুকু নাম্বার পেতে পারে।
যাইহোক, তারপরেও আসলে আমি ভেবেছিলাম যে আমার হয়তো কোথাও লেখালেখিতে ভুল হয়েছে। সে কারণেই আমার মার্কস কেটেছে। কিন্তু ওই সাবজেক্ট এর শিক্ষকদের সম্পর্কে একটু ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে একটা রহস্য খুঁজে পেলাম এবং পরে বুঝতে পারলাম যে, কেনো আমার রেজাল্ট এর এতো খারাপ অবস্থা।
এক সিনিয়র আপু বেশ অনেক আগে লিখেছিলেন যে, য়নার রেজাল্ট আসলে অনেকটা অদ্ভুত ধরনের হয়ে ছিলো একবার। অর্থাৎ অদ্ভুত ধরনের বলতে উনি রিটেক নেওয়ার জন্য পরীক্ষার খাতায় কিছুই লিখেননি। যাতে করে ফেইল আসলে উনি যেনো পরবর্তীতে পরীক্ষাটি আবার দিতে পারেন। কিন্তু রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পরে দেখলেন যে, উনি পাশ করে ফেলেছেন। এবার আপনি বলুন যে, শিক্ষক আসলে খাতা না দেখেই নাম্বার দিয়ে দেয়। তার কাছে আসলে আমি কি শিক্ষা গ্রহণ করবো?
এই কারণেই আসলে আমি বলেছি যে, আমার শিক্ষা ব্যবস্থায় যেনো একেবারে মরীচিকা পরে গিয়েছে। এটা শুধুমাত্র আমার বক্তব্য নয়। আমি আমার চারপাশের সকলের অবস্থাই দেখছি একই রকম। অর্থাৎ এটা শুধু আমার শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপার নয়। এটা সমগ্র জাতির শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা এবং প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন এই অবস্থা। অনেক সময় হয়তো আমরা বুঝতে পারি না এবং বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসে না। আবার অনেক সময় হুট করেই ব্যাপারগুলো সামনে চলে আসে। আমার কাছে আসলে মনে হয়। যদি একটা জাতিকে ধ্বংস করে দিতে হয়। তবেই একটা শিক্ষার এতোটা খারাপ অবস্থা হয়। তাও নিজের মধ্যে একটা সুপ্ত ইচ্ছা থেকেই যায় যে, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা অর্জন করে একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হবো।