আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম একটা একেবারে আলাদা রকমের লেখা শেয়ার করি। হয়তো অনেকের মতামত আমার মতামতের সাথে না ও মিলতে পারে। তাও ভাবলাম আমার মনের কথাগুলো শেয়ার করি এবং আপনারাও কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মনের কথাগুলো শেয়ার করবেন। এতে করে হয়তো আমরা একটা সঠিক তথ্যে পৌঁছাতে পারবো।
একটা সময় নারীদেরকে করুণার চোখে দেখা হতো এবং শুরু থেকেই আমি এটার একেবারে বিরুদ্ধে ছিলাম। কারণ নারীরা অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই নারীদেরকে করুণার চোখে দেখার কিছুই নেই। নারী-পুরুষ সমান অধিকার। নারীর যখন সমান পাচ্ছেই। তখন আসলে নারীদেরকে কোনো করুণার পাত্র করে রাখাটা আমি মনে করি প্রতিটি নারীর জন্যই অসম্মানজনক।
কারণ বর্তমানে এমন কিন্তু কোনো পরিস্থিতি নেই যেখানে নারীরা খুব একটা সুযোগ পাচ্ছে না। হ্যাঁ, অনেক অঞ্চলে এখনো নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। সেখানে নারীদেরকে যদি এক্সট্রা সাপোর্ট দেওয়া হয়। তাতে আমি তাহলে কোনো কিছু বলবো না। কারণ তারা সেটা ডিজার্ভ করে। কিন্তু একই অবস্থায় থাকার পরেও। অর্থাৎ আমি যদি বলি শহরাঞ্চলের অনেক ভালো ভালো জায়গার কথা। তাহলে সেখানে যদি নারীদেরকে আলাদা আসন দেওয়া হয়, শুধুমাত্র তারা নারী বলে এবং পুরুষদেরকে সেটা না দেওয়া হয়। তাহলে আমি একজন নারী হিসেবে মনে করছি যে, সেটা নারীদের জন্য অসম্মানজনক। কারণ নারীরা নিজেদের লড়াই নিজেরাই লড়তে পারে এবং তারা তাদের যোগ্য স্থানটা লড়াই করে জিততে পারে।
একটা গল্প পড়েছিলাম, সেখানে আসলে ব্যাপারটা অনেকটা এমন ভাবে লেখা ছিলো যে, " নারীকে দেবী বানিয়ে রাখাটাই হচ্ছে নারীকে অসম্মান করা। নারীকে সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখুন। তাহলে নারীকে আপনি যোগ্য সম্মানটা দিতে পারবেন। " এই কথাটার কিন্তু মানে অনেক বিশাল। এটা সাধারণ একটা অর্থ হলো, নারীকে আলাদা করে রাখার কিছু নেই। নারী একজন মানুষ। নারী আর দশটা মানুষের মতোন করেই বাঁচাতে পারবে লড়াই করে। যদি সে যোগ্য সুযোগটা পায়। অর্থাৎ সুযোগ মানে করুণা নয়। সুযোগ মানে হচ্ছে আর দশজন ছেলে যে সুযোগটা পায় সেটা। আর নারীর পুরুষ সমান অধিকার এটার যারা বাজে মন্তব্য বের করবে তারা হলো এ সমাজের কলঙ্ক।কারণ সমান অধিকার বলতে মৌলিক অধিকার এর কথাই বোঝানো হয়।আর সার্বিক ভাবে বুঝালে নারী পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। এটা মানবেন না মানেই হলো আপনি হয় নারী না হয় পুরুষ কে হেয় করছেন।