এদিকে তাদের কোনো থাকার ব্যবস্থা নেই খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। কি করবে সাব্বির তাই চিন্তা করতে থাকে। তারপর সাব্বির অনেক চেষ্টা চরিত্র করে একটা দোকানে সেলসম্যানের চাকরি নেয়। সেই দোকান থেকে কিছু টাকা এডভান্স নিয়ে সে বস্তির মতো একটা এলাকায় মাত্র একটা রুম ভাড়া নিয়ে তাদের সংসার পাতে। কিন্তু দোকানের সেলসম্যান হিসেবে তার বেতন এতোটাই কম ছিলো যে সেটা দিয়ে তাদের দুজনের চলা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিলো। সাব্বির অন্য আরও দু এক জায়গায় চাকরি করে। কিন্তু এই দুর্মূল্যের বাজারে দুজনের তিন বেলা খাওয়ার টাকা জোগাড় করাও তার জন্য মুশকিল হয়ে যায়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত একদিন রাস্তার পাশের এক হকার তাকে পরামর্শ দেয় আখের রস বিক্রি করার। সে জানায় এই ব্যবসাতে বেশ ভালো লাভ। তখন সাব্বির তার সমস্ত অহংকার বিসর্জন দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সে রাস্তার পাশের হকার হিসাবে আখের রস বিক্রি করবে। কিন্তু সেটা করতে হলেও তো পুঁজি দরকার। সাব্বির বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীর সাথে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করে। তার স্ত্রীর ও আইডিয়াটা পছন্দ হয়। কিন্তু টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে সাব্বির কিছুতেই সেটা বুঝে উঠতে পারে না।
নতুন এই শহরে তাকে কেউ টাকা ধার দেবে না। আবার কোনো চাকরি করে যে টাকা জমাবে সে উপায়ও নেই। কারণ চাকরি করে যে অল্প কিছু টাকা বেতন পায় সেটা দিয়ে তাদের খাওয়া পড়া চালানোই মুশকিল হয়ে যায়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর সাব্বিরের স্ত্রী হাসিমুখে সাব্বিরকে জানায় তোমার ব্যবসার টাকা ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। সাব্বির তখন অবাক হয়ে তাকে বলে তোমার কথার অর্থ আমি বুঝতে পারছি না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে টাকা পয়সা বেশি ইনকাম করতে না পারলে তো হিমশিম খেতে হয়। তবে ভালোবাসার মানুষের সাপোর্ট থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব হয়। বেশ ভালো লাগলো এই পর্বটি পড়ে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit