আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা শেয়ার করি।আসলে ব্যাপারটা এতো ভয়ঙ্কর ছিলো যে, আমি বর্তমানে আপনাদের সামনে আলোচনা করতেও আসলে কেমন ভয় ভয় করছে। কারণ ওই যে যে দৃশ্যটা চোখের সামনে দেখেছি। সত্যি কথা বলতে সেই দৃশ্য চোখের সামনে মোটেও দেখার মতোন ছিলো না। কথা না বাড়িয়ে কাহিনী কি বলা শুরু করি। তাহলেই আপনারা আমার ভয়ের কারণটি বুঝতে পারবেন।
কয়েকদিন আগে আমার ইউনিভার্সিটি তে ফাইনাল পরীক্ষা চলছিলো। যার কারণে সবাই আসলে খুব ব্যতিব্যস্ত ছিলাম। তাই কারো দিকে তাকানোর সময় পাচ্ছিলাম না। তাই পরীক্ষার হলে কে কি করছে, না করছে। সেসব দেখার কোনো অবকাশ ছিলো না। কারণ সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
ঠিক তেমনি একটা দিনের কথা। হঠাৎ আমরা সকলেই পরীক্ষা দিচ্ছি। সেদিন ছিলো আমাদের অংক পরীক্ষা এবং পরীক্ষার মাঝে হঠাৎ করে দেখি একজন টিচার পেছনের এক মেয়েকে উঠে দাঁড়াতে বললেন এবং আমরা সকলে কৌতুহলবশত সেদিকে তাকালাম। এবং দেখতাম যে ওই ম্যামের হাতে একটি মোবাইল ফোন এবং মোবাইল ফোনটি বুঝাই যাচ্ছে মেয়েটির।মূল কাহিনী হলো মেয়েটি মোবাইল থেকে দেখে দেখে পরিক্ষায় লিখছিলো। অর্থাৎ ইউনিভার্সিটির ফাইনাল পরীক্ষায়। আর সেটা ম্যাম ধরে ফেলে এবং সাথে সাথে তার খাতা নিয়ে আসে তাকে নিয়ে সামনে চলে যায়।
এবং তিনি যেহেতু একজন জুনিয়র টিচার ছিলেন। তাই তিনি একজন টিচারের খোঁজ করতে থাকলেন।তখন ঘটলো আরো একটি ঘটনা। তখন ম্যাম রাগের বসে মেয়েটিকে বলে বসলো যে। "তোমার কাছে আর কোনো কিছু আছে কিনা।" এখন মেয়েটি আসলে সেভাবে তার শরীর চেক করতে দিচ্ছিলো না। তো সেই পর্যায়ে একটা সামান্য হাতাহাতির মতোন হয়। যার জন্য ম্যাম আরো বেশি রেগে যায় এবং মেয়েটার হিজাব ঝাড়া দিতেই পরে আরো একটা কাগজের টুকরো অর্থাৎ লেখা কাগজ।
এরপর তাকে একটা টিচার এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ওর মোবাইল রেখে দেওয়া হয় এবং তাকে এক্সাম এ আর বসতে দেওয়া হয়নি এবং ওই সাবজেক্টটিতে সেই সেমিস্টারের জন্যে এক্সপেল করে দেওয়া হয়।
আমরা কেউ ভাবতেও পারিনি যে। আমাদের মধ্যে ওই মেয়েটি এই ধরনের কাজ করতে পারে। কারণ সে আসলে সব সময় অনেক বেশি ভালো প্রিটেন্ড করতো নিজেকে। আসলে কখনোই এতোটা বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। যে সে এসব করতে পারে এটা ভাবতেই যেনো একেবারেই সেটা আকাশ থেকে মাটিতে পড়তে হবে এমন ঘটনা। সবকিছুরই একটা লিমিটেশন রয়েছে এবং আমাদের কারোরই ওই লিমিটেশন পার করা উচিত নয়।