পেশাদারিত্ব বজায় রাখা নয় সহজ!

in hive-129948 •  2 months ago 
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমি আপনি পেশাদারিত্ব কি এটা খুব ভালোভাবে জানি এবং আমি মনে করি আমাদের চারপাশে অর্থাৎ আমরা সকলেই পেশাদারিত্ব ব্যাপারটা খুব ভালো করেই জানি। কিন্তু আমরা কোনো কোনো ব্যাপার খুব ভালো করে জানা সত্ত্বেও, কেনো যেনো সেটা নিজেদের জীবনে কিংবা নিজেদের কর্ম ক্ষেত্রে কখনোই ইমপ্লিমেন্ট করতে চাই না। আর এই না চাওয়ার পেছনে হয়তো কোথাও না কোথাও খুব সূক্ষ্মভাবে আমাদের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করাটা লুকিয়ে থাকে। আমি বলছি না আমাদের সবার অবস্থা একই রকম। আমি আসলে আমাদের মধ্যে থাকা গুটি কয়েক মানুষকে নিয়েই বলছি।

পেশাদারিত্ব ব্যাপারটি আমরা সকলেই জানি কি।অর্থাৎ নিজের পেশার যে গাম্ভীর্য, নিজের পেশার যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্ববোধ টাকে নিজের মধ্যে আনা এবং সেই দায়িত্ববোধ অনুযায়ী নিজেকে চালিত করা খুব ই একটা কঠিন ব্যাপার বলা চলে। কারণ ধরুন আপনি এমন একটি পরিস্থিতির শিকার হলেন, যে পরিস্থিতিতে আপনার সামনের মানুষ আপনাকে অনর্গল কটু কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। তাও এমন ভাষায় কিংবা এমন ভঙ্গিমাতে আপনার সাথে কথা বলছে যে, ওইখানে আসলে কোনো একজন সাধারন মানুষের মাথা ঠান্ডা রাখা অনেকটা অসম্ভব।

এখন এমন একটি পরিস্থিতিতে দুইটি ব্যাপার হতে পারে। ব্যাপারগুলো হলো, হয় ওই মানুষটি তার পেশাদারিত্ব ভুলে ওই সামনের মানুষটিকে সামনাসামনি কটু ভাবে জবাব দিয়ে দিবে। অর্থাৎ ওই মানুষটি যেটা ডিজার্ভ করে। আবার আরেক রকম হতে পারে। যেখানে যাকে কথা শোনানো হচ্ছে, সে এতোটাই মাথা ঠান্ডা রেখে ওই মানুষটিকে হ্যান্ডেল করলো যে, সামনের মানুষ যতোই খারাপ কথা বলুক না কেনো।যাকে বলা হচ্ছে সে একটা খারাপ শব্দ ও উচ্চারণ করলো না।

এটাই হলো মূলত পেশাদারিত্ব। অর্থাৎ সে যতোই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে যাক না কেনো। সে যতোই কঠিন পরিস্থিতিতে পরুন না কেনো। কখনোই সে মানুষটি তার নিজের পেশাদারিত্বকে ভুলে না। নিজের কর্তব্য, নিজের দায়িত্ব, নিজে কতোটুকু চরিত্র দেখাতে পারবে সেটা সে কখনোই ভুলে না এবং এটাই মূলত মূল পেশাদারিত্বের লক্ষণ। যেটা আমরা অনেকেই নিজেদের আবেগের জন্য হারিয়ে ফেলি। অর্থাৎ পেশাদারিত্বের বড় একটি ব্যাপার হলো, নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করতে পারা। সে সাথে নিজের পেশার ফর্মালিটি ১০০% মেইনটেইন করা। যেটা আমরা বেশিরভাগ মানুষ করে উঠতে পারি না।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!