আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে এমন একটা লেখা শেয়ার করি। যেটা আসলে আমি আমার নিজের জীবনে ঘটতে দেখেছি। অর্থাৎ আমার জীবনে বলতে আমার আশেপাশের মানুষজনদের সাথে। আর তাই আমি খুব ভালো করেই জানি যে এই ব্যাপারগুলোর সত্যতা কতখানি। অর্থাৎ যদি আসলে অন্য কারো থেকে শুনতাম। তাহলে হয়তো ব্যাপারগুলো বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু আজকে যে কথাগুলো বলবো, সেটা আর কারো সাথে নয়। আমার খুব নিকট আত্মীয় একজন এর ঘটনা।
আমরা মানুষ হিসেবে দিন দিন কতো বেশি খারাপ হচ্ছি। তার একটা উদাহরণ হলো, আমরা সব সময় অন্য মানুষের অসহায়ত্বকে হাতিয়ার করতে চাই। অর্থাৎ আমরা যখন দেখি যে অন্য কোনো মানুষ আসলে কোনো না কোনো দিক দিয়ে কোনো না কোনো ভাবে দুর্বল। আমরা সবসময় সেদিকটাতেই আঘাত করি।
এবং আমি এর প্রমাণ হিসেবে যদি আমার নিজের পরিবারের সাথে ঘটায একটি ঘটনা বলি। তাহলে আমার ফুফুর ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমার ফুফুর হাজবেন্ড মারা যায় যখন উনার ছেলে মেয়েরা খুব ছোট ছিলো তখন। আর আমার ফুফুর জামাই নাকি এতোটাই ভালো ছিলো যে। পুরো গ্রাম উনাকে অনেক বেশি ভালোবাসতো। অর্থাৎ প্রচন্ড ভালো মানুষ ছিলো। এখন উনি তাই আসলে খুব একটা টাকা-পয়সা জমা রেখেও যাননি। অর্থাৎ উনি গরীব দুঃখীদের জন্য অনেক ভাবতেন। তাই কখনোই নিজের জন্য খুব একটা জমান নি। তাই উনার মৃত্যুর পরে উনার ছেলেমেয়েরা এবং বিশেষ করে উনার স্ত্রী খুব অভাব অনটনের মধ্যে পরে যায়।
এরপর থেকে শুরু হয় আশেপাশের লোকদের হিংস্র অত্যাচার। যেমন প্রথমেই শুরু করে আশেপাশের লোকেরা জায়গা জমি নিয়ে। যেহেতু আমার ফুফু একটা একলা মহিলা এবং সন্তানেরাও খুব ছোট। তাই প্রথমেই যেই বাজে ঘটনাটি উনারা তৈরি করে, সেটা হচ্ছে উনাদের হাটার রাস্তা কেটে ফেলে এটা বলে যে, উনাদের হাঁটার রাস্তাটা নাকি ওই অন্য লোকদের জমির মধ্যে পরেছে।
এরপরে এমনভাবে রাস্তাটা কাটে যে, উনারা উনাদের বাসা থেকে যেনো আর কোন দিক দিয়েই বের হতে না পারে। আপনারা চিন্তা করুন, একটা মানুষ কিছু ছোট ছোট অসহায় অনাথ বাচ্চা এবং একজন অসহায় নারীর সাথে কতোটা খারাপ আচরণ করতে পারলে , কেউ এরকম একটা কাজ করতে পারে। রাস্তাগুলো এমন ভাবে চারপাশ থেকে কেটেছিলো। যেনো আমার ফুফুর ওই ঘরটা দেখে তখন মনে হতো যে কোনো দ্বীপ। এর পরে তারা সেই রাস্তাগুলো কেটে বড় বড় দেয়াল তুলে দিয়েছিলো। যাতে উনারা হাঁটতে না পারেন।
এরপরে আসলে আমার বাবা, চাচা উনারা গিয়ে অনেক মামলা মোকদ্দমা করে। এরপরে এই ব্যাপার গুলো কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করে। আসলে একজনের পক্ষে কখনো সম্ভব হয় না। অন্য কারো সব সমস্যার সমাধান করার। তাই আসলে আমার ফুফু প্রায় অনেক বছর ধরে এই মানুষগুলোর সাথে অনেক বেশি লড়াই করেছে। বর্তমানে এখন কিছুটা ভালো আছে। কারণ বর্তমানে আসলে আমার বাবা, চাচা উনারা অনেকটা ব্যাকাপ দিয়েছে সে কারণে।
এবার আপনারাই ভাবুন যে, একটা মহিলা মানুষের অসহায়ত্বকে কিছু কিছু মানুষ শুধুমাত্র জায়গা জমির লোভের কারণে কিভাবে কাজে লাগালো!