কোন সময় ছিল যেখানে বাংলাদেশে ছয়টি ঋতুর আলাদা আলাদা প্রভাব বুঝতে পারা যেত কিন্তু বিশ্বাস করেন বর্তমানে এমন একটি অবস্থায় আমরা দাঁড়িয়েছি, যেখানে শুধুমাত্র তিনটার ঋতুর দেখা পাওয়া যায়। সেটাও আবার ক্ষণিক সময়ের জন্য। বছরের বেশিরভাগ সময় কিন্তু থাকে গ্রীষ্মকাল হিসেবে। বর্ষাকাল এবং শীতকালের কথা নাই বললাম। সেটা অনেক সময় অনেকটাই বৃদ্ধি পায় আবার কোন কোন সময় বুঝতেই পারা যায় না যে, আমাদের এই বছরের কি কি ঋতু চলে গেছে।
কোন এক সময় বাংলাদেশ মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্গত ছিল। সেই সময় হয়তো ঋতুতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয়বস্তু আমরা উপলব্ধি করতে পারতাম। গ্রীষ্মকালে গরম লাগতো। আবার শীতকালে প্রচন্ড ঠান্ডা এবং বর্ষার মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতো। এই তিন ঋতুর মাঝে কিন্তু আরও তিন ঋতু আছে। যে তিনটে ঋতু মাধ্যমেই আমাদের এই প্রকৃতির হয়ে ওঠে এক সৌন্দর্যের চাবিকাঠি। কিন্তু বর্তমানে আবহাওয়া এবং জলবায়ু এত পরিমান পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, কখন কি হচ্ছে সেটা আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছি না। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই লেগেই রয়েছে। বিভিন্ন সময় নতুন নতুন ভাইরাস আক্রমণ করছে, যার কারণে বিশেষ করে বৃদ্ধো এবং শিশুরা বেশিরভাগ সাফার করে।
এই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে আমরা শুধুমাত্র বিপদে রয়েছি তা কিন্তু নয়। বরঞ্চ আমাদের এই প্রকৃতি ও ব্যাপক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ গ্রীষ্ম প্রধান দেশ। বছরের বেশিরভাগ সময় অনেকটা গরম থাকে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুদের বেঁচে থাকা এখন দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে অনেক প্রাণী প্রায় বিলুপ্তের পথে রয়েছে।এছাড়াও হঠাৎ বন্যা, হঠাৎ খরা এবং প্রচন্ড তাপ দাহর কারণে আমাদের জনজীবন একদম শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এবছর আমরা অনেক গরম অনুভব করতে পেরেছি এবং এমন কিছু রেকর্ড ভেঙেছেন যা গত ৭৫ বছরে এদেশে ঘটে নি। কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করবেন না, আগামী আসছে বছরগুলোতে এর থেকেও ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এখন থেকেই সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।