পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুঃ একটা জাতীয় সমস্যা

in hive-129948 •  9 months ago 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পত্রিকার পাতায় একটি খবর দেখে খুব খারাপ লাগলো। খবরটা যে একেবারে নতুন তা নয়। প্রতিবছর এরকম অসংখ্য খবর পত্রিকার পাতায় দেখতে পায়। খবরটি ছিলো চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে দুটি শিশু মারা গিয়েছে। তবে এই ধরনের খবর সবচাইতে বেশি দেখতে পাওয়া যায় বর্ষা মৌসুমে। যখন দেশে নদী-নালা খাল বিল সবখানায় কানায় ভরে ওঠে। প্রতিবছর দেশে প্রচুর শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। কিন্তু সেই বিষয় নিয়ে দেশে তেমন কোনো আলোচনা দেখা যায় না। অথচ প্রতিবছরই পানিতে ডুবে অসংখ্য শিশু মারা যাচ্ছে। ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে এমন যার বাচ্চা মারা যাচ্ছে ক্ষতিটা শুধু তার। এই জন্য অন্য কারো মাথা ব্যথা নেই। অথচ এই ব্যাপারে সচেতনতা গ্রহণ করলে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে আসতো। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এই দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল। তাই আমাদের দেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হারও অনেক বেশি।

IMG_20240413_141440.jpg

সেই শিশু মৃত্যুর হার কমানোর জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। তবে এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকেও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। প্রথমত যে কাজটা করতে হবে সেটা অভিভাবকদেরই পালন করতে হবে। বাচ্চারা যেনো সাঁতার শেখার আগে একা একা কখনো পানির কাছে না যায় সেই ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই তাদেরকে সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর এটা বাধ্যতামূলক করে দিলে শিশু মৃত্যুর হার এমনিতেই অনেক কমে আসবে। এই ব্যাপারে স্কুলগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। যদি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদেরকে সাঁতারের ট্রেনিং দিয়ে তাদের মাধ্যমে স্কুলের বাচ্চাদের সাঁতার শেখানো যায়। তাহলে দেশের বিপুল সংখ্যক বাচ্চারা খুব অল্প সময়ে সাঁতার শিখতে সক্ষম হবে। তবে এখানেও প্রশ্ন থেকে যায় সাঁতার শেখানোর মতো জায়গা কোথায়? গ্রামে হয়তো আপনি নদী নালা বা পুকুর পেয়ে যাবেন সাঁতার শেখানোর জন্য। কিন্তু শহরাঞ্চলে? শহরাঞ্চলে সাঁতার শেখানোর জন্য সরকারিভাবে কোন জায়গার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আর পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ করার জন্য


আমাদের সামাজিকভাবে একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু সাঁতার শেখানোর জন্য সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাপারটা তেমন নয়। স্থানীয়ভাবেও বাচ্চাদেরকে সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিরা যদি তাদের এলাকার বাচ্চাদের জন্য সাতার শেখানোর ব্যবস্থা করে দিতে পারে তাহলে সেটাও একটা ভালো ব্যবস্থা হতে পারে। আর ছোট বাচ্চারা যারা সাঁতার শেখেনি তাদেরকে ধীরে ধীরে সচেতন করে তুলতে হবে। তাহলে এই শিশু মৃত্যুর হার কিছুটা হলেও কমানো যাবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এটি যেন থামছেই না। এটি প্রাইমারি স্কুলে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়ে করানো যায়। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে সাঁতার শিখার প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাহিরে যা। যেখানে কোটি কোটি টাকা বাজেট করা হয়। কিন্তু তার বাস্তবায়ন হচ্ছে কতটুকু? তবে আপনার সাথে একমত পোষণ করে বলছি, সামাজিক উদ্যোগে সমাজ প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে কাজগুলো সফল করা সম্ভব।

অনেক সুন্দর একটি টপিকস নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে আমাদের দেশে অনেক শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। আর বর্তমানে এটা আমাদের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের সকল অভিভাবকের উচিত হবে তাদের ছোট ছেলেমেয়েদেরকে সব সময় সাবধানে রাখতে।

পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর অন্যতম কারণ এই সাঁতার না শেখা।বর্তমান বেশিরভাগ পরিবারের বাচ্চারা সাঁতার জানেনা।এজন্য আমাদের পরিবার সমাজ থেকে উদ্দ্যেগ নিতে হবে যাতে সাঁতার কাটা শিখতে পারে তারা।এটি জীবনের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা আমি মনে করি,ধন্যবাদ আপনাকে।