ভ্রমণ বিষয়ক কিছু টিপস

in hive-129948 •  last month 

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমি ঘোরাফেরা করতে বেশ পছন্দ করি। এ কারণে ফেসবুকের বেশ কিছু ভ্রমণ বিষয়ক গ্রুপের সাথে যুক্ত রয়েছি। এই গ্রুপগুলোতে মাঝে মাঝে কিছু পোস্ট দেখতে পাই। সেই পোস্টে ঘুরতে গিয়ে অনেক পর্যটক নানা রকম বিড়ম্বনার কথা লেখেন। তবে সেই পোস্টগুলো পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি সমস্যাটা আসলে অন্য জায়গায়। মূল সমস্যাটা হয় ভ্রমণ বিষয়ক পরিকল্পনায়। আমাদের দেশের বেশিরভাগ পর্যটক সরকারি ছুটিকে কেন্দ্র করে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। এটা হচ্ছে সবচাইতে বড় ভুল। ছুটিকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ বিষয়ক পরিকল্পনা করলে সেখানে আপনার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক বেশি। কারণ আপনার মতো এই একই পরিকল্পনা আরো অসংখ্য মানুষ করে। সেই কারণেই দেখা যায় পর্যটন স্পট গুলিতে সরকারি ছুটির দিনে প্রচন্ড ভিড় হয়। সেখান থেকেই মূলত সমস্যা সমস্ত সমস্যার শুরু। আর এই উপচে পড়া ভিড়গুলোর সুযোগ গ্রহণ করে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা।

IMG_20240413_141512.jpg

ব্যবসায়ীরা তো এই ধরনের সুযোগ গ্রহণ করার চেষ্টা করবেই। এ কারণে ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের উচিত একটু খোঁজখবর নিয়ে তারপর ভ্রমণের পরিকল্পনা করা। সরকারি ছুটির দিকে তাকিয়ে না থেকে আপনি ভ্রমণের জন্য আলাদা করে ছুটি নেয়ার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন আপনার ভ্রমণটা অনেক ভালো হবে। চেষ্টা করবেন এমন সময় বাছাই করতে যেই সময়গুলোতে সাধারণত জনপ্রিয় পর্যটন স্পট গুলিতে কম ভিড় থাকে। তাহলে সেখানে আপনি কম ভাড়ায় পৌঁছাতে পারবেন। কম হোটেল ভাড়ায় থাকতে পারবেন এবং তুলনামূলক কম খরচে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন। তাছাড়া আপনি সেখানকার সৌন্দর্যটাও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে উপভোগ করতে পারবেন। ধরুন আপনি পরিকল্পনা করলেন থার্টি ফার্স্ট কক্সবাজারে কাটাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ভোগান্তি হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৮০ ভাগ। যদি আপনি আগে থেকে হোটেল বুকিং করেও থাকেন তাহলেও আপনাকে অনেক উচ্চ মূল্যে হোটেল ভাড়া করতে হবে। ধরে নিলাম আপনি হোটেল ভাড়া করে ফেলেছেন। তারপরেও গিয়ে দেখবেন হোটেলগুলোতে পর্যটকদের এত চাপ যে সেখান থেকে আপনি ভালো মতো সার্ভিস পাবেন না। রেস্টুরেন্ট গুলো খাবারের দাম বাড়িয়ে দেবে। আর নিরিবিলি পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার কথা তো ভুলেই যান।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যদি আপনারা চমৎকার একটি ভ্রমণ করতে চান। তাহলে প্রথমে এমন সময় নির্ধারণ করুন যে সময়টাতে পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য ভালোভাবে দেখতে পারবেন কিন্তু ভিড় কম থাকবে। চেষ্টা করুন সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো অ্যাভয়েড করে ভ্রমন করতে। তাহলে দেখবেন আপনার ভ্রমণের ঝামেলা অনেকটাই কমে যাবে। যদিও আমি জানি আমাদের দেশের অফিস গুলো এমপ্লয়ীদের ছুটি দিতে বেশ কার্পণ্য করে। সে ক্ষেত্রে আপনি ছুটির ব্যাপারে আপনার বসের সাথে আগে থেকেই কথা বলে রাখুন। তার সাথে পুরো ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে প্রয়োজন বোধে আলাপ করুন। দেখবেন তিনি আপনাকে ছুটি তে দেবেনই। সেই সাথে আপনাকে ভ্রমণের জন্য কিছু পরামর্শ ও দেবেন। তাতে করে আপনার ভ্রমণটা হয়ে উঠবে ঝামেলা মুক্ত এবং উপভোগ্য।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমিও লক্ষ্য করেছি ছুটির দিনে যে কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে একটু ঝামেলায় পড়তে হয় কারণ সবাই ছুটির দিনগুলোতেই ভ্রমণে বের হয়। হ্যাঁ ছুটির দিনগুলো একটু এভয়েড করলে ভ্রমণটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যাবে।

বাহ! চমৎকার একটি ধারণা দিয়েছেন। আসলেই সবাই টার্গেট থাকে ছুটির দিনে বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে যাবে। আসলে তো এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত। ছুটির দিনগুলোকে সবাই বেছে নেয় তাই অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার লুফে নেয়। এটি সুন্দর পরামর্শ দিয়েছেন যে, কোথাও ঘুরতে গেলে এবং সেটার ভিউ সুন্দরভাবে অবজারভ করতে গেলে আলাদা ছুটি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ। দারুন একটি পোস্ট পড়তে পেরে ভালো লাগলো।

২০১৯ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আমরা তিন বন্ধু কক্সবাজার এবং সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে গিয়েছিলাম। প্রচুর পর্যটক তখন ঘুরতে গিয়েছিল কক্সবাজারে। তাই হোটেল ম্যানেজ করতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। তারপরে ২০২২ এবং ২০২৪ সালে কক্সবাজার গিয়েছি সপ্তাহের মাঝখানে। মানে শনি/রবিবারে গিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাক করবো, এমন চিন্তা ভাবনা করে গিয়েছিলাম। তাই মোটামুটি নিরিবিলি পরিবেশে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। সবার উচিত সম্ভব হলে সপ্তাহের মাঝখানে দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণ করা। যাইহোক এতো চমৎকার টিপস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।