নেপচুন গ্রহ আসাতের সৌরজগতের অষ্টম এবং সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরের গ্রহ। এটি একটি বরফের দৈত্য। যদিও এই গ্রহটি গ্যাসের তৈরি তবে এই সূর্য থেকে এতটা দূরে অবস্থান করছে যাতে করে সেই গ্রহের ট্যাম্পারেচার -200 ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। এছাড়াও ইউরেনাসের মত এই গ্রহেও মিথেন গ্যাস রয়েছে যা সূর্যের আলোর কারণে অনেকটা নীল ভা রং ধারন করে। কেউ দূর থেকে দেখলে নীল গ্রহ বলে বিবেচিত করা হয়। এর গভীর নীল রঙ ও এই গ্রহের সবচেয়ে দ্রুত বায়ুপ্রবাহের জন্য বিখ্যাত।
এই গ্রহটিও সাধারণত ইউরেনাসের মতোই বড় তবে তার থেকে আয়তনে একটি ছোট। কিন্তু পৃথিবী থেকে প্রায় চার গুণ বড় এই গ্রহটি। এই গ্রহটি সাধারণত হাইড্রোজেন, হিলিয়াম এবং মিথেন গ্যাস দ্বারা তৈরি এবং এই গ্রহে আমাদের সৌর মন্ডলের সবথেকে জোরে বায়ু প্রবাহিত হয়। অনেক বিজ্ঞানের এই ধারণা করেন এটি গ্যাসীয় দানব হলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এর কোরে বরফের শিলা রয়েছে। এই গ্রহ সূর্য থেকে সবথেকে দূরে আছে তাই আর সূর্যকে একবার প্রদিক্ষ করতেও সবগুলো গ্রহের থেকে এই গ্রহের বেশি সময়, লাগে যা পৃথিবীর সময় অনুযায়ী প্রায় ১৬৫ বছরে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এছাড়াও নিজ অক্ষে ঘুরে আসতে ১৬ ঘন্টা ছয় মিনিটে সময় লাগে
এটি সৌরজগতের সবচেয়ে দ্রুত বায়ুপ্রবাহযুক্ত গ্রহ। যেখানে বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০০+ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। এমন বায়ু প্রবাহ অন্যান্য গ্রহে দেখতে পাওয়া যায় না। তাই এই গ্রহে সবথেকে বেশি বায়ুপ্রবাহের গ্রহ বলা হয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই জেনে অবাক হবেন, শনি গ্রহের মত এই গ্রহেও কিন্তু বলায় বা রিং রয়েছে। কিন্তু এটা দূর থেকে খুব একটা উজ্জ্বল নয় বিধায় আমরা দূর থেকে সেভাবে স্পষ্ট এই বলয় গুলো দেখতে পাই না। এই গ্রহে মোট চারটি স্তরের বলায় রয়েছে। এছাড়াও এই গ্রহের ১৪ টি চাদ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে।
আপনারা জেনে অবাক হবেন সূর্যের আলো এই গ্রহে পৌঁছাতে প্রায় চার ঘন্টার সময় লাগে। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন সূর্য থেকে এই গ্রহ কতটা দূরে অবস্থিত। যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেহেতু নেপচুন গ্রহে সূর্যের আলো পৌঁছাতে চার ঘণ্টা সময় লাগে এখান থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে নেপচুন গ্রহণ সূর্য থেকে কতটা দূরে অবস্থান করছে। আরো অবাক হয়েছি বায়ুর গতিবেগ ২২০০ প্লাস কিলোমিটার শুনে। এইবারও নেপচুন গ্রহ সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্যই জানতে পারলাম। নেপচুন গ্রহ সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit