অপহরণকারী কে সেটা জানতে পেরে শামীম বেশ টেনশনে পড়ে গেলো। কারণ অপহরণকারীরা কোনো সাধারণ চোর না। তারা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আজিজুল হকের সাথে জড়িত। যিনি শামীমকে প্রায়ই বড় অঙ্কের টাকা পাঠান। এটা জানার পর শামীম দ্বিধায় পড়ে যায়। একদিকে তার ভেতরের সৎ পুলিশ যে একসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতো। অন্যদিকে সেই অপরাধের মায়াজাল যেখানে সে আটকে গেছে। সে জানতো আজিজুলের বিরুদ্ধে গেলে তার নিজের জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যাবে।
একদিন গভীর রাতে শামীম একা বসে ভাবছিলো। তার চোখের সামনে ভেসে উঠল নিজের পরিবারের মুখ। শামীমের একটি মেয়ে আছে, বয়স দশ বছর। মেয়েটা তাকে খুব ভালোবাসে এবং শামীমও তার মেয়েকে ভালোবাসে। সে চিন্তা করতে লাগলো এই দুর্নীতির টাকা দিয়ে তার মেয়েকে বড় করে তোলা কি ঠিক হবে? সে কি আদৌ একজন ভালো বাবা হতে পারবে? রাতে থানায় তার হাতে আজিজুলের বিরুদ্ধে একটি অডিও টেপ এসে পৌঁছাল। সেখানে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে আজিজুল বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত থাকার কথা বলছে এবং পুলিশের সঙ্গে তার যোগাযোগের প্রমাণ দিচ্ছে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।