আপনারা সকলেই ইতোমধ্যে জানেন যে আমি বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম কোন এক কাজে। আসলে আমার মাঝে মধ্যে ঢাকায় যেতে হয়। আমি এবার ঢাকায় গিয়ে আমার আপুর বাসায় ছিলাম। আমার আপুর বাসা মূলত ঢাকার রায়েরবাগের পাশেই। রায়েরবাগ থেকে মেট্রোরেলের দুরুত্ব প্রায় ত্রিশ মিনিটের রাস্তা। আমি ঢাকায় আসার আগেই আমার ভাইয়া অর্থাৎ আমার আপুর জামাই কে বলেছিলাম এবার ঢাকায় গিয়ে এক সাথে ঘুরবো। আমার ভাইয়া মূলত পেশায় একজন (এন এস আই)।তার ডিউটি মূলত দিনের মধ্যে। কিন্তু আমি তাকে বিউটি রাতের মধ্যে নিতে বলেছিলাম, কেননা আমরা দিনের বেলা ভাইয়া সহ একটু ঘোরাঘুরি করবো। পরবর্তীতে ভাইয়া আমার কথা মতো দিনের ডিউটি রাতের মধ্যে নিয়ে নেয়।
আমরা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখতে পারলাম ১০ টা বেজে গিয়েছে। এরপর আমরা গোসল করে বের হয়ে গেলাম মেট্রোরেলে যাওয়ার জন্য। ভাইয়া সহ আমরা রায়েরবাগ রাস্তায় বের হয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ এর মধ্যেই একটি গাড়ি চলে আসে। এরপর আমরা দুজন এই গাড়ির মধ্যে উঠে পড়লাম। গাড়িটি বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের কে গুলিস্তানের মধ্যে নেমে দেয়। এরপর আমরা হেঁটে হেঁটে মেট্রোরেলের উদ্যেশে যাইতে শুরু করলাম। হেঁটে যাওয়ার পথে আমাকে আমার ভাইয়া অনেক কিছু দৃশ্য দেখাচ্ছিল, কেননা আমি এই জায়গার এর আগে আর কোন আসিনি। আমি চারদিকের পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম আর সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমরা মেট্রোরেল স্টেশনের মধ্যে চলে আসলাম।
আমরা বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনে প্রবেশ করলাম। আসলে আমি এর আগে কখনো মেট্রোরেল স্টেশনে আসিনি। প্রথমে আমরা সিঁড়ি দিয়ে প্রথম তলার মধ্যে উঠে দেখতে পারলাম খুবই সুন্দর করে স্টেশনটি ডেকোরেশন করেছে। এরপর আমরা টিকেট কাটার জন্য একটি লাইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়লাম। লাইনের মধ্যে আমাদের সামনে প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক ছিল। তাদের পর আমাদের সিরিয়াল। ধীরে ধীরে সকলে টিকেট নিয়ে চলে যাচ্ছে, আর আমরা আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাদের টিকেট কাটার সিরিয়াল চলে আসে।এর ভাইয়া বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে মিরপুর -১০ এর দুটি টিকেট নিয়ে নেয়। টিকেট মূল্য ছিল ৬০ টাকা।
এরপর আমরা টিকেট গুলো নিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠে পড়লাম। আসলে মেইন স্টেশন দ্বিতীয় তলার মধ্যে। আমরা দ্বিতীয় তলার মধ্যে উঠে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বেশ কয়েক মিনিটের মধ্যেই ট্রেন চলে আসলো। ট্রেনটি দাঁড়ানোর কিছু সময়ের মধ্যে স্টেশনের দরজা এবং ট্রেনের দরজা একত্রে খুলে যায়। এই জিনিস টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরপর আমরা ট্রেনের ভিতরে প্রবেশ করলাম। ট্রেনের ভিতরে প্রচুর মানুষের ভিড়।আর ভিতরে এসির জন্য একটু ঠান্ডা লাগছিলো।আর এই মেট্রোরেলের গতি দেখে আমি পুরাই অবাক। একটি স্টেশন থেকে অপর একটি স্টেশনে চলে আসে মাত্র ১-২ মিনিটের মধ্যে। এটি আসলেই আমাদের জন্য একটি সুবিধাজনক বাহন। বেশ কয়েক মিনিটের মধ্যেই ট্রেন টি মিরপুর -১০ এর মধ্যে চলে আসে। এরপর আমরা নেমে পড়লাম।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছুদিন আগে ঢাকাতে এসে মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আমিও এর আগে মেট্রোরেল ভ্রমণের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। মেট্রোরেল ভ্রমণটা সত্যিই সবার জন্যই স্বপ্নের মত ব্যাপার। আপনার মেট্রোরেল ভ্রমণ পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছুদিন আগে ঢাকায় এসে মেট্রোরেলে উঠেছেন জেনে ভালো লাগলো। মেট্রোরেল হওয়ার কারণে আমাদের ঢাকায় যাতায়াত করা অনেক সুবিধা হয়েছে। আমি যেদিন প্রথম মেট্রোতে উঠেছিলাম আমি প্রায় অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এই স্পিড দেখে। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে অনেক দূরত্ব অতিক্রম করে যা বাসে করে গেলে প্রায় দিনের অর্ধেক সময় লেগে যাবে জ্যামের কারণে। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছুদিন আগে ঢাকায় এসে মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ তবে আমার এখনো সময় হয়ে ওঠেনি৷ আজকে যেভাবে আপনি মেট্রোরেলে ভ্রমণের খুব সৌন্দর্য সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷ অবশ্য চেষ্টা করব সময় করে মেট্রোরেল থেকে ঘুরে আসার৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit