বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে একদিন

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে মোবাইল কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স বাংলাদেশের মধ্যে একটি বড় শপিং কমপ্লেক্স। বর্তমান সময়ে এটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ শপিংমল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স টি ২০০৪ সালের শুরুর দিকে চালু করা হয়।আর এই শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে প্রায় সব ধরনের জিনিস পত্র পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স রয়েছে, তার মধ্যে সর্বপ্রথম এই বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স টি তৈরি করা হয়।এটি ঢাকা কারওয়ান বাজার পান্থপথে অবস্থিত। আপনারা যারা ঢাকার মধ্যে বসবাস করে থাকেন, তারা হয়তো এই বিষয়ে সকলেই অবগত আছেন।ঢাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স সম্পর্কে বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের মানুষ বেশ ভালো ভাবেই পরিচিত।

আমি বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম যে, ঢাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে যাবো। কিন্তু কাজের জন্য যাওয়ার সুযোগ হচ্ছিল না।তাই একদিন হঠাৎ করে আমি রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে, ঢাকা যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি আইফোন কেনা। আমার দীর্ঘ দিনের একটি স্বপ্ন ছিল একটি আইফোন চালানো। আমার স্বপ্ন টি পূরণ করার জন্য আমার বাবা আমাকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিল এবং আমার কাছে ও বেশ কিছু পরিমাণ টাকা ছিল।আমি সব গুলো টাকা একত্রিত করে চলে গেলাম ঢাকায় একটি আইফোন কেনার জন্য। ঢাকায় গিয়ে আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের মেসে চলে গেলাম। আমার চাচাতো ভাই সাভারে থাকেন।সে মূলত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে লেখাপড়া করেন।

যেহেতু আমি সারারাত জার্নি করে ঢাকায় গিয়েছিলাম, তাই আমি সকাল বেলা আমার চাচাতো ভাইয়ের মেসে গিয়ে গোসল শেষ করে একটু খানি খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি।আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘুমানোর পর উঠে আবার ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স যাওয়ার জন্য। আমার চাচাতো ভাইয়ের মেস থেকে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের দুরুত্ব অনেকটা বেশি। আমরা প্রথমে সাভার থেকে লেগুনায় উঠে মিরপুর এক পর্যন্ত চলে গেলাম। আবার মিরপুর এক থেকে বাসের মাধ্যমে মিরপুর দশ পর্যন্ত চলে গেলাম। আমরা একটি রিকশার মাধ্যমে আমরা কাজিপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে চলে গেলাম। এরপর আমরা মেট্রোরেলের মাধ্যমে ঢাকার বাণিজ্যিক শহর কারওয়ান বাজার চলে গেলাম। সেখান থেকে আমার হেঁটে হেঁটে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে পৌঁছে গেলাম।

আমরা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে প্রবেশ করে সর্ব প্রথম ইলেকট্রনিক এর ফ্লোরে চলে গেলাম। আমরা সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম প্রচুর পরিমাণে মোবাইলের শপ।আর সেদিন মানুষের ভীড় ছিল প্রচুর পরিমাণ।আর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মধ্যে প্রায় সব সময় প্রচুর পরিমাণে ভীড় থাকে। আমরা মানুষের ভীড় কে উপেক্ষা করে আমার পছন্দের ফোন খুঁজছিলাম, কিন্তু আমার পছন্দের ফোন টি পাচ্ছিলাম। এরপর আমরা আবার একদম নিচের ফ্লোরে চলে গেলাম। সেখানে ও গিয়ে দেখতে পারলাম প্রচুর পরিমাণে ফোনের শপ। আমরা আবার আমার পছন্দের ফোন টি খুঁজতে শুরু করলাম। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর আমার পছন্দের ফোন টি পেয়ে যাই।

আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ফোন টি চেক করছিলাম। ফোন টি বেশ কিছু সময় ধরে চালানোর পর দেখতে পারলাম ফোনের সব কিছু একদম ঠিকঠাক রয়েছে। এরপর আমরা ফোনের দাম টি শুনে নিলাম। দাম টি আমাদের বাজেটের মধ্যে ছিল। এরপর আমি এই ফোন টি নেয়ার জন্য নিশ্চিত করে দিলাম। এরপর তারা অনলাইনের মাধ্যমে আমাকে মেমো করে দিলো। এরপর আমি আমার ফোনের সম্পুর্ন টাকা পেমেন্ট করে দিলাম। এরপর আমরা মোবাইল শপ থেকে বের হয়ে লিফটের মাধ্যমে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মাধ্যমে একদম উপরের দিকে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে আমরা বেশ কিছু খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা আবার আমার চাচাতো ভাইয়ের মেসে চলে আসি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।