আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ৩১ ই মে ২০২৪ ইং
বর্তমান সময়ে ভ্রমণ করা আমার একটি নেশায় পরিনত হয়েছে। আমি একটু অবসর সময় পেলেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করি।আর ঘোরাঘুরি করার সময় সাথি হিসাবে কোন বন্ধু বান্ধব থাকলে একটু বেশি মজা হয়। বেশ কয়েকদিন আগে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম।এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার মূল কারণ হলো পাটগ্রাম এবং বুড়িমারী উপজেলার দর্শনীয় স্থান গুলো পরিদর্শন করা। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়ের মধ্যে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম এবং বুড়িমারী উপজেলার দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে পড়েছিলাম, কিন্তু কখনো আসা হয়নি। কিন্তু এবছর ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বন্ধু বান্ধব সহ এই সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে বুড়িমারী স্থলবন্দর নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করবো।
বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর রয়েছে। সেই স্থলবন্দর গুলো হতে বুড়িমারী স্থলবন্দর হলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর। বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারত এবং বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা হয়। এছাড়া ও বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত ও ভুটানের ব্যবসায়িক রুটে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর বুড়িমারী।এই বুড়িমারী স্থলবন্দর টি বাংলাদেশের বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার আট নং বুড়িমারী ইউনিয়নে এই বুড়িমারী স্থলবন্দর টি অবস্থিত।
এই বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত, ভুটান, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি জিনিস আমদানী ও রপ্তানি করা হয়।তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি পণ্য হলো পাথর, ভুট্টা, গম, পেঁয়াজ ইত্যাদি। এছাড়া ও আরো বিভিন্ন ধরনের নিত্য পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা হয়।এই চারটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য করার একমাত্র রুট হচ্ছে এই বুড়িমারী স্থলবন্দর। বুড়িমারী স্থলবন্দরের মাধ্যমে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
আমরা মূলত বুড়িমারী স্থলবন্দরে ঈদ উল ফিতরের পরের দিন গিয়েছিলাম। ঈদের পর দিন এই স্থল বন্দরে গিয়ে দেখতে পারলাম, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে মানুষ ভারতে চলে যাচ্ছে। হয়তো তারা কাজ করার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যাচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের একটি ব্যাগ এবং হাতের মধ্যে পাসপোর্ট ছিল। এরপর আমরা বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাশে একটি বিশাল বড় মাঠ রয়েছে। এখানে মূলত অন্য দেশ থেকে চলে আসা বিভিন্ন ধরনের পণ্য রাখা হয়।
স্থলবন্দরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম মাঠ টি একদম ফাকা পড়ে আছে। তবে, যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করছে তারা একটু দৌড়াদৌড়ি করছিল বিভিন্ন কাজে। বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকা টি সবুজ শ্যামল প্রকৃতিতে ভরপুর। চারদিকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবুজ গাছ পালা।এই গাছপালা গুলোর কারণে জায়গা টি অনেক টা ঠান্ডা রয়েছে। স্থলবন্দরের ভিতরে যে মাঠ টি রয়েছে, সেখানে ও বেশ অনেক গুলো সবুজ শ্যামল গাছ পালা রয়েছে। তবে, আমার কাছে এই গাছপালা গুলো একটু অপরিচিত মনে হয়েছে।
এরপর আমরা স্থলবন্দরের ভিতর থেকে বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে দেখতে পারলাম রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে ভিড় লেগে গিয়েছে।ভিড় লেগে যাওয়ার মূল কারণ হলো বিভিন্ন দেশ থেকে বড় বড় ট্রাক গুলো বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে আমাদের দেশে প্রবেশ করতেছে। এছাড়া ও আমাদের দেশ থেকে পাথর নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে চলে যাচ্ছে। এজন্য একটু বেশি ভিড় লেগে গিয়েছিল রাস্তার মধ্যে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় বুড়িমারী স্থলবন্দরের চারদিকে ঘোরাঘুরি করলাম। ঘোরাঘুরি করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।এই স্থলবন্দর থেকে আমি অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পেরেছি।
আপনাদের কাছে বুড়িমারী স্থলবন্দর টি কেমন লেগেছে, তা সকলেই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি এবং এখানে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন যা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবং এখানে আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন৷ এই স্থানটি সম্পর্কে আমি আজকে আপনার কাছ থেকে প্রথম জানতে পারলাম৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit