ধেয়ে আসছে রাসেল ভাইপার, নিজে সাবধান থাকুন এবং অন্য কে সাবধান করে দিন

in hive-129948 •  3 months ago 

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ২০ ই জুন ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে রাসেল ভাইপার সাপ কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


Pink Watercolor Background Business Name Facebook Cover_20240620_085541_0000.png

আপনারা হয়তো সকলেই রাসেল ভাইপার শাপ কে চিনেন।আর যারা এই শাপ সম্পর্কে জানেন না, তারা আমার পুরো ব্লগ টি মনযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আসলে বেশ কিছু দিন ধরে রাসেল ভাইপার শাপ কে নিয়ে সোসাল মিডিয়ার বেশ কয়েকটি চ্যানেলের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে গিয়েছে।আমি বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এ শাপ সম্পর্কে দেখছিলাম। আবার শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, এই শাপের দংশনের কারণে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

মূলত রাসেল ভাইপার কী? বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিষধর সাপ রয়েছে। তারমধ্যে রাসেল ভাইপার শাপ প্রথমে স্থানে। কেননা অন্যান্য সাপের বিষের তুলনায় এই রাসেল ভাইপার শাপের বিষ অনেক ভয়ংকর। রাসেল ভাইপার শাপ যদি কোন মানুষ কে একবার দংশন করে, তাহলে সেই মানুষ টির‌ জীবন বাঁচানো আর সম্ভব নয়। কিন্তু অন্যান্য বিষধর সাপ দংশন করলে কিছুটা বাচার আশংকা থাকে। কিন্তু এই রাসেল ভাইপার শাপের দংশনে বাচার আশংকা নেই। রাসেল ভাইপার শাপের অবস্থান হচ্ছে পানি এবং স্থল।তারা পানি এবং স্থল দুটি জায়গায় বসবাস করে থাকে।

তবে, এই বিষধর সাপ কে পানির মধ্যে একটু বেশি দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় দুই যুগ আগে রাসেল ভাইপার সাপ কে বিলুপ্ত ঘোষণা করছিল। আবার দুই যুগ পর এই সাপের দেখা মিলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অনেক টা আতঙ্কে রয়েছে। এই সাপ টি বাংলাদেশে আবার চলে আসার মূল কারণ হলো বন্যা।তারা বন্যার পানির মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে আমাদের দেশে চলে এসেছে। বর্তমান বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার মধ্যে এই রাসেল ভাইপার শাপের দেখা মিলেছে। বিশেষ করে, ঢাকা, বগুড়া, কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট ইত্যাদি।

আর এই সাপ এক সাথে সত্তরের অধিক বাচ্চা দিতে পারে‌।আর এই শাপ ডিম ছাড়াই সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে। তাদের এতো বেশি বাচ্চা প্রসবের কারণে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পুরো বাংলাদেশের মধ্যে তাদের দেখা মিলবে। এখন বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ এই সাপের আতঙ্কে বাইরে বের হতে পারছে না। কেননা ইতোমধ্যে এই শাপের দংশনে বেশ কয়েকজন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বিশেষ করে আমাদের উত্তরবঙ্গের বগুড়া জেলার মানুষ একটু বেশি আতঙ্কে রয়েছে।তারা তাদের ফসলের মাঠে ফসল কাটতে পারছেন না এই সাপের ভয়ে।

যেহেতু পুরো বাংলাদেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত এই সাপ ছড়িয়ে পড়েনি।তাই আমাদের উচিত এই সাপ গুলো কে ধরে ধরে মেরে ফেলা।আর আমরা যদি এই সাপ গুলো কে মেরে না ফেলি, তাহলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পুরো বাংলাদেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। এতে করে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়ে যাবে।তাই আমাদের কে এখন থেকে এই সাপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা যারা এই শাপ সম্পর্কে জানি‌ বা চিনি তারা আমাদের এলাকার মানুষদের কে এই সাপ সম্পর্কে জানাবো।যাতে করে এই সাপ চোখের সামনে ভেসে আসলেই মারতে পারি।

নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্য কে সুস্থ রাখুন।

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6HzJaoPE9n3kyXHpVFScAadwSCVJpY84M3wWWzLLzELtQK2rSJtUL9pTj98dwsm1MP47up86HvqkxNUfovt7kXVd7M4Hk9jft.jpeg

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1699613681956.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হ্যাঁ এই বিষয়টা দুই তিন দিন ধরে নিউজে দেখছি আমি। আসলে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত সাপ রয়েছে। তবে এই সাপটা চন্দ্রবোড়া অথবা কালায় বোড়া সাপের মতোই। তবে আরো আশ্চর্যজনক বিষয় এটা পানির মধ্যেও চলাচল করে। তাই উপকূল এলাকার সহ সর্বোচ্চ এলাকার মানুষেরই সাবধান হয়ে চলা উচিত।

রাসেল ভাইপার পানির ভিতরেও থাকে এটা জানা ছিল না , যাই হোক এটা ঠিক বলেছেন যে এখন খবরে এটা নিয়ে অনেক তোলপাড় চলছে আর এই বিষাক্ত সাপ যদি একবার মানুষের কে কামড়ায় তাহলে বলা যায় প্রায়ই মৃত্যু নিশ্চিত । তাই অবশ্যই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং সবাইকে সতর্ক করতে হবে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

কি ভয়ংকর সাপ ভাইয়া। সাক্ষাৎ মৃত্যু এই সাপের ছোবলে।বেশ কিছু দিন থেকে খবরে এই রাসেল ভাইপার সাপ সম্পর্কে শুনছি।আজকে আপনার পোষ্টেও অনেক কিছু জানতে পেলাম রাসেল ভাইপার সম্পর্কে।এই রাসেল ভাইপার সাপ না কি এতোটাই ভয়ংকর যে মানুষ দেখলে না কি তেরে এসে কামড়ে দেয়।বন্যার মাধ্যমে এই সাপ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা ছড়িয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

কয়েকদিন ধরেই নিউজে এই সাপ সম্পর্কে দেখছি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আরো বিস্তারিত জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। কম থাকতে থাকতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে এটা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। আমাদের সবার নিজেদের জায়গা থেকে সচেতন থাকা উচিত।

দিন দিন সাপটির তান্ডব বেড়েই চলেছে আর এবারের বন্যার কারণে তা দেশের সব অঞ্চলে ছড়িয়ে যায় কি - না, তা অবশ্য দেখার বিষয়।
আমি মনে করি যে হারে এটি বংশবৃদ্ধি করছে তাতে বেশ কিছুটা উদ্বিগ্ন হওয়ার আছে। এটির এন্টিভেনম এখনো এ দেশে আসে নি আর তাছাড়া প্রতিরোধের জন্য সাপ নির্মূলের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়া উচিত।
আশা করি বন্যা কিংবা বর্ষা মৌসুম শেষ হলে এর প্রভাব বিস্তার নেমে আসবে, যেমনটি প্রচন্ড গরম কিংবা খরায় এ সাপের দংশনের খবর পাওয়া যায় নি।
তাই বর্ষা মৌসুমে সবাইকে সাবধান হতে হবে এবং সাবধান করতেও হবে।

রাসেল ভাইপার শাপ যদি কোন মানুষ কে একবার দংশন করে, তাহলে সেই মানুষ টির‌ জীবন বাঁচানো আর সম্ভব নয়।

এটা আমাদের পুরোপুরি ভুল ধারণা। বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ের প্রতিটা সদর হাসপাতালে রাসেল ভাইপার এর অ‍্যান্টিভেনম আছে। আর সাপ মারা কখনও কোন সমাধান না। আমাদের উচিত এগুলো কে রেসকিউ করে নির্দিষ্ট জায়গাই অবমুক্ত করা। রাসেল ভাইপার এর চেয়েও বেশি বিষধর সাপ আমাদের দেশীয় গোখরা এবং কালাচ।

বেশ কয়েকদিন রাসেল ভাইপার সাপটি আতঙ্ক ছড়িয়েছে।আসলে সবাইকে সাবধানে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।সরকার উদ্দ্যেগ না নিলে কোনোভাবেই এই সাপ নিধন সম্ভব না। আশা করি দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সাপটি ফসলি মাঠে ব্যাপক বিস্তার করছে।ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।