আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ৯ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম যে, ঢাকায় ঘুরতে যাবো। কিন্তু যাওয়ার তেমন একটা সুযোগ হচ্ছিল না। তবে, সেদিন সকল ধরনের কাজ সেরে একদম ফ্রি হয়ে নিলাম ঢাকা ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আমাদের রংপুর থেকে ঢাকার দূরুত্ব প্রায় তিন শত কিলোমিটার। তবে, আমাদের রংপুর থেকে প্রায় সব ধরনের বাস গাড়ি ঢাকায় যায় প্রতিনিয়ত।তো, আমি সন্ধ্যা বেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যাই রংপুর। প্রথমে আমরা রংপুর খামার মোড় চলে যাই। আসলে আমার এক আনকেল ও গিয়েছিল ঢাকায়।আর আমাদের রংপুর শহরের খামার মোড় থেকে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস যায়।তো আমরা খামার মোড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বেশ কয়েকটি বাসের টিকিট কাউন্টারে ঘোরাঘুরি করলাম। কিন্তু তেমন কোন ভালো বাস পেলাম না আমরা।তো আমরা এসি বাসে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম।
তো আমরা বেশ কিছুক্ষণ পরে বেশ কয়েকটি এসি বাসের টিকিট কাউন্টারে ঘোরাঘুরি করে দেখলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমরা আমাদের একটি পরিচিত এসি বাস টিকিট কাউন্টারে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম একটি এসি এবং স্লিপার বাস রয়েছে।তো আমরা এই বাসের মধ্যেই যেতে রাজি হয়ে গেলাম। অন্যান্য বাসের থেকে এই বাসের সিট ভাড়া কিছু টা কম ছিল।তো আমাদের বাস ছিল রাত সাড়ে এগারোটার দিকে।তো আমরা দুজন একটি হোটেলে গিয়ে বেশ কিছু নাস্তা করে নিলাম এবং তার সাথে চা খাইলাম।বাসে উঠার আগে চা খেলে একটু ভালো লাগে।তবে, বাসে উঠে বমি করার অভ্যাস আমার নেই।আমি ছোট বেলা থেকেই বাসে যাতায়াত করি।
অনেকেই আছেন যারা বাসের ভ্রমণ করতে পারেন না, আসলে তাদের জন্য লং জার্নি করা অনেক টা কষ্ট হয়ে যায়। এদিক থেকে আমি অনেক বেশি ভালো আছি। আমাদের বাস আসার কথা ছিল সাড়ে এগারোটার দিকে, কিন্তু বাস সাড়ে এগারোটার দিকে আসতে পারেনি।বাস চলে এসেছে রাত বারোটার দিকে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। আসলে আমরা এই বাসের জন্য অপেক্ষা অপেক্ষা করতে করতে এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম।আর অপেক্ষা করা জিনিস টা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগে না।যাই হোক অবশেষে অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে আমরা বাসের মধ্যে উঠে পড়লাম। বাসের মধ্যে উঠার পর বেশ ভালো লাগছিলো। বাসের উপর তলায় ছিল স্লিপার এবং নিচ তলায় ছিল সিট। আমরা সিটের জন্য টিকেট কেটে ছিলাম।
আমরা কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসলাম সিরাজগঞ্জ।আর আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি গাড়ি বগুড়া ফুড ভিলেজ কিংবা আরো ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ফুড ভিলেজ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে যায় খাওয়া দাওয়া করার জন্য।তো আমাদের গাড়ি টি সিরাজগঞ্জ হানিফ ফুড ভিলেজের মধ্যে দাঁড়ায়। এখানে আমাদের গাড়ির সকল যাত্রীরা নেমে পড়ে এবং হানিফ ফুড ভিলেজের মধ্যে খাওয়া দাওয়া করে।তো আমরা ও নেমে খাওয়া দাওয়া করলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার সকল যাত্রীরা উঠে পড়ে গাড়ির মধ্যে। গাড়ির সুপার ভাইজার গাড়ির সকল যাত্রীদের দেখে সব কিছু ঠিক আছে কি না। এরপর তারা আবার গাড়ি ছেড়ে দেয় ঢাকার উদ্দেশ্যে।
গাড়ি তার নিজ গতিতে বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু সেতুর একদম কাছে গিয়ে লেগে গেল এক বিশাল জ্যাম।আর এই জ্যামের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সময় আটকে থাকতে হলো আমাদের কে। আসলে জ্যামের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে আমার কাছে অনেক বিরক্তিকর মনে হয়। তবে, দিনের বেলায় এমন জ্যামের মধ্যে পড়লে একটু বেশি বিরক্তিকর মনে হয়। রাতের বেলায় তেমন কিছু মনে হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে জ্যাম খুলে যায়। এরপর আবার গাড়ি তার নিজ গতিতে চলতে শুরু করে। এরপর আবার যখন সেতু পার হলাম, তখন আবার শুরু হলো জ্যাম।তবে, এই জ্যাম বেশি সময় ধরে ছিল না। এরপর গাড়ি তার নিজ গতিতে এগিয়ে চলতে থাকে। এরপর আমি বেশ কিছু সময়ের মধ্যে আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছে যাই।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit