লাইফস্টাইল পোস্ট: সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে একদিন

in hive-129948 •  5 days ago 

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শুক্রবার, ১৫ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে আমার এক বন্ধুর সার্টিফিকেট সংশোধন করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


IMG-20241114-WA0000.jpg

আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। সেসব শিক্ষা বোর্ড গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি শিক্ষা বোর্ড হচ্ছে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। বিশেষ করে আমাদের উত্তর বঙ্গের প্রতিষ্ঠান গুলো দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে বর্তমান। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে মোট এগারো টি শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। এগারোটার মধ্যে একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং আরেকটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।আর বাকি সব গুলো মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আসলে একজন ছাত্র ছাত্রীর সার্টিফিকেট কিংবা অন্যান্য কোন ধরনের জেনারেল সমস্যা গুলো শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে সংশোধন করতে হয়। যারা ইতোমধ্যে সার্টিফিকেট সংশোধন করেছিলেন তাঁরা হয়তো এই বিষয়ে অবগত আছেন।

IMG-20241114-WA0004.jpg

সার্টিফিকেটের মধ্যে কোন ধরনের ভুল করে থাকলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন যে কোন ধরনের চাকরির আবেদনের সময় একটু বেশি সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আমার এক বন্ধুর উচ্চ মাধ্যমিকের সার্টিফিকেটের মধ্যে তার নিজের নাম এবং তার মায়ের নামে বিশাল বড় ধরনের একটি ভুল ছিল। আসলে এই ভুল টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী লেখার সময় ভুল করেছিল। বেশ কিছু দিন ধরে সে তার সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য বেশ কিছু জায়গায় ঘোরাঘুরি করছিল। কিন্তু কোথাও গিয়ে তেমন একটা সমাধান খুঁজে পায়নি।তাই সে শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে তার সার্টিফিকেটের ভুল সংশোধন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার জন্য সে আমাকে বলে।আর আমার কলেজের পাশেই শিক্ষা বোর্ড।

তাই একদিন দুই বন্ধু মিলে চলে গেলাম দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে। আসলে আমার কলেজের পাশে শিক্ষা বোর্ড থাকা সত্ত্বেও কোনো দিন যাওয়া হয়নি। কেননা, শিক্ষা বোর্ডে আমার তেমন কোন ধরনের কাজ ছিল না।তাই আমি কোন দিন শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে প্রবেশ করিনি। যাইহোক, আমি সেদিন প্রথম আমার বন্ধুর সাথে শিক্ষা বোর্ডে গিয়েছিলাম। আমরা প্রথমে শিক্ষা বোর্ডের মেইন গেইটে গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা বলি। দারোয়ান আমাদের কে চতুর্থ তলায় যেতে বলে। এরপর আমরা দুজন চলে গেলাম চতুর্থ তলায়। ভবনটির মধ্যে লিফট থাকায় অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমরা চতুর্থ তলায় উঠতে পারছিলাম।

IMG-20241114-WA0003.jpg

চতুর্থ তলায় উঠে দেখতে পারলাম বেশ কয়েকটি রুমের মধ্যে সংশোধন করার কাজ চলছে। আমরা একটি রুমের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম বেশ কিছু মানুষ তাদের ভুল গুলো সংশোধন করার জন্য এসেছে। সেদিন তেমন একটা ভীড় ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ সময় পরে আমাদের সিরিয়াল চলে আসে, এরপর আমরা আমাদের কাগজ পত্র গুলো জমা দিয়ে দিলাম। অফিসের স্যার বেশ কিছু সময় ধরে আমার কাগজ পত্র গুলো দেখলো। এরপর আমরা আমাদের সকল ধরনের সমস্যার কথা তাকে জানালাম। বেশ কিছু সময় কাগজ পত্র গুলো দেখার পর, সে আমাকে একটি ফরম দিয়ে দেয়।আমি অফিসের এক কোণে চলে এসে ফরম টি পূরণ করলাম।

IMG-20241114-WA0001.jpg

ফরম পূরণ করে আমরা তাকে ফরম টি জমা দিলাম। এরপর সে আমাদের কে ব্যাংকের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার জন্য ব্যাংকে যেতে বলে। ব্যাংক টি ছিল নিচ তলায়। আমরা লিফটের মাধ্যমে নিচে নামলাম এবং ব্যাংকের মধ্যে প্রবেশ করে একহাজার টাকা পরিশোধ করলাম। ব্যাংক থেকে আমাদের কে একটি ফরম দিলো, এই ফরম টি আমরা আবার অফিসে জমা দিলাম। এরপর আমাদের সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। সেদিন আমাদের বেশ কিছু সময় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছিল। আসলে এই ধরনের কাজ গুলো ঝামেলার। আপনারা যখন কোন ধরনের সার্টিফিকেট সংশোধন করার জন্য শিক্ষা বোর্ডে যাবেন, তখন অবশ্যই তৃতীয় পক্ষের লোকজনের থেকে দূরে থাকবেন।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceiPhone 11
Camera11+11 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovbg6Xhy9M3FKC2zkkPgGggdUesBd1baM559FaAhdHPXxhgVZ7ZHJMsuNqgvZwx8E57nBhNzF2DU9b3GUX2FoV76n.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেটগুলোতে লক্ষ্য করা যায় কারোর নামের ভুল কারোর বাবার নামের ভুল আবার কারোর মায়ের ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো মূলত অফিস সহকারীর গাফিলতির কারণে হয়ে থাকে। যার ফলে স্টুডেন্টদের অনেক হয়রানি শিকার হতে হয়। যেমন আপনার বন্ধু বেশ পেরেশানির মধ্যে সময় পার করছিল সার্টিফিকেটের তার মায়ের নাম সংশোধনের জন্য। যাইহোক অবশেষে আপনারা আপনাদের কাজ সম্পূর্ণ করেছিলেন বেশ ভালো লাগলো। আশা করি কিছুদিন পর পুনরায় আপনার বন্ধু সংশোধন সম্পূর্ণ সার্টিফিকেট পাবে।

এ ধরনের ভুল থাকলে তা অবশ্যই অতি দ্রুত সংশোধন করে নেয়াটাই ভালো। তবে আমার রাগ লাগে যে অনেকের ই এমন ভুল চলে আসে, তাদেরই সহকারীদের ভুলের বা অসতর্কতার কারণে। আবার বাড়তি টাকা পরিশোধ করে, বাড়তি সময় ব্যয় করে তা সংশোধন করতে হয়! এমন নিয়ম থাকলে ভালো হতো যে অভিভাবকরা যে ফর্ম জমা দিয়েছিলো তা মিলিয়ে তাতে যদি দেখা যায় যে শিক্ষা বোর্ডের কারোর ভুলের কারণে এই ভোগান্তি, তবে উলটো জরিমানা দেওয়া লাগবে- তাহলে এমন ভুল অনেকটাই কমে যাবে বলে আমার ধারণা।

গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজগুলোতে ভুল থাকা সত্যিই অনেক ঝামেলার ব্যাপার। আর এগুলো সংশোধন করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমার সার্টিফিকেটেও এরকম ভুল ছিল। অনেকদিন যাবত এটা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। এটা ঠিক বলেছেন এই ব্যাপারগুলোতে তৃতীয় পক্ষের থেকে দূরে থাকাই ভালো।

আসলে যদি সার্টিফিকেটের মধ্যে এরকম কোন ভুল হয়ে যায় তাহলে তা একেবারেই কষ্টের একটি ব্যাপার৷ আপনি এটি সংশোধনের জন্য বোর্ডে গিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ আসলে তাদের অসতর্কতার কারণেই এরকম ভুলগুলো হয়ে থাকে যা আমাদেরকেই বয়ে বেড়াতে হয়৷ ভালো লাগলে আপনার কাছ থেকে পোস্ট পড়ে৷ ধন্যবাদ আপনাকে৷

আসলে কাছে কোন জিনিস হলে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না তবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে আপনার কলেজের পাশেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। আমি আজও কখনো শিক্ষা বোর্ডে যায়নি যদিও আমার সার্টিফিকেট একটু গড়মিল রয়েছে ইনশাল্লাহ একদিন এমন একটা শিক্ষা বোর্ডে ঘুরে আসব।