আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ১৯ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
মেট্রোরেল আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের একটি শখের জিনিস।আর মেট্রোরেল প্রকল্প টি চালু হ ওয়ার পর থেকে আমাদের দেশের ঢাকা শহরের মানুষের চলাচল অনেক টা সহজতর হয়ে উঠেছে। যখন মেট্রোরেল ছিল না, তখন যাতায়াত করতে অনেক সময় লেগে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই সময় গুলো আর লাগছে না।আর সময়ের পাশাপাশি মেট্রোরেলের মাধ্যমে ঢাকার রাস্তা ঘাট গুলোর মধ্যে ভীড়ের সংখ্যা অনেক টা কমে গিয়েছে। ভীড় কমে যাওয়ার কারণে আমরা খুবই সুন্দর ভাবে চলাফেরা করতে পারছি। আগের সময় যখন মেট্রোরেল ছিল না, তখন আমাদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লেগে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে তা অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে যাচ্ছে।আর মেট্রোরেল আমাদের একটি স্বপ্ন এবং ইমোশানের জায়গা। আমরা যারা ঢাকার বাইরে থেকে বিভিন্ন ঢাকার মধ্যে কোন কাজে যাই, তখন আমাদের কে এই মেট্রোরেল আমাদের ভ্রমণ টা অনেক সহজ করে দেয়।
মেট্রোরেল প্রকল্প টি চালু হ ওয়ার প্রায় আজ এক থেকে দেড় বছর পার হয়ে গেল।আমি ইতিমধ্যে একবার মেট্রোরেল ভ্রমণ করেছিলাম। আজকে আমার জীবনের দ্বিতীয় মেট্রোরেল ভ্রমণ।আর আজকে আমি শেয়ার করবো শেওড়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে কিভাবে মতিঝিল গেলাম। প্রথমে আমরা রিকশায় করে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে চলে গেলাম। আমরা সেদিন চারজন লোক ছিলাম। সাথে আমার বেশ কয়েকজন চাচাতো ভাই ছিল।তো আমরা শেওড়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন চলে গেলাম, গিয়ে আমরা ম্যাপের মধ্যে গিয়ে দেখলাম, ঢাকা শহরের কোন জায়গার উপর দিয়ে মতিঝিল যাবো।তো আমরা সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম যে, আমরা ঢাকার বেশ কিছু জনপ্রিয় শহরের উপর দিয়ে মতিঝিল যেতে হবে।
আমরা মেট্রোরেলের স্টেশনের চারদিকে ঘোরাঘুরি করলাম বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে। ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে। আসলে বাংলাদেশের মেট্রোরেল স্টেশন গুলো দেখলে মনে এটা অন্য কোন একটি দেশ। এরপর আমরা টিকেট ক্রয় করার জন্য চলে আসলাম টিকেট কাউন্টারের মধ্যে । টিকেট কাউন্টারের মধ্যে গিয়ে দেখতে পারলাম প্রচুর পরিমাণে ভীড় জমিয়ে গিয়েছে। লাইনে সিরিয়াল নিতে গেলে অনেক সময় লেগে যাবে, তাই আমরা একটু সাইটে বেশ কিছুক্ষণ সময় দাঁড়িয়ে থাকলাম। এরপর আবার কিছুক্ষণ পরে মানুষ একদম হালকা হয়ে যায়। এরপর আমরা একজন গিয়ে চারটি টিকেট কেটে নিয়ে আসলাম।
এখন আমরা প্রত্যেকেই টিকেট নিয়ে মেট্রোরেলের একদম উপরের দিকে উঠলাম। এরপর আমরা আমাদের টিকেট কার্ড টি পাঞ্চ করলাম। আসলে মেট্রোরেলের প্রতিটি কাজ একদম ডিজিটাল। এরপর আমরা মেট্রোরেল লাইনের একদম পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। সেখানে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে একটি ট্রেন চলে আসে। এরপর আমরা সকলে মিলে ট্রেনের মধ্যে উঠে পড়লাম। আসলে মেট্রোরেলের ভিতরে একদম এসি। প্রবেশ করার সাথে সাথেই আমাদের শরীর একদম শীতল করে দেয়। তবে, মেট্রোরেলের ভিতরে বসার জন্য কোন সুযোগ ছিল না। মেট্রোরেলের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে জ্যাম ছিল।তাই আমাদের কে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে হয়েছিল। আসলে মেট্রোরেলের মধ্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করার মজাই একটু অন্যরকম।
কেননা, মেট্রোরেলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করলে, ঢাকা শহরের চারদিকে ঘোরাফেরা করে দেখা যায়।আর আমরা যখন মেট্রোরেলের মধ্যে উঠে পড়ি, তখন কেবলমাত্র সন্ধ্যা নেমে আসে।আর এই সময় ঢাকা শহরের সৌন্দর্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।আমি মেট্রোরেলের ভিতরে থেকে ব্যস্ত নগরীর সৌন্দর্য দেখছিলাম।আর আমার কাছে মেট্রোরেলের একটি জিনিস খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। সেটি হচ্ছে প্রতি এক মিনিট সময় পর পর স্টেশনের মধ্যে স্লো করে। এটা আমার কাছে অনেক বেশি বিরক্তিকর মনে হয়।আর সব দিক দিয়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আসলে, মেট্রোরেল আমাদের গর্ব। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় এর মধ্যে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছে যাই।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 12+12 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মেট্রোরেল ঢাকা বাসীদের জন্য কত বড় যে একটা পাওয়া তা কল্পনার বাহিরে।গতকালকে আমি হারে হারে টের পেয়েছি মেট্রোরেল ছাড়া এখন যাতায়াত করা কত কষ্টের।যারা মেট্রোরেলে যাতায়াত করে অভ্যস্ত হয়ে গেছে তাদের জন্য এখন মেট্রোরেল ছাড়া যাতায়াত অনেক কষ্টের।গতকাল সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত মেট্রোরেল বন্ধ ছিল।গতকালকে আমি আসাদগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে এসেছি।কি যে এক কঠিন অবস্থার ভিতর পড়েছিলাম ভাই।যাইহোক মেট্রোরেল যআমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ এটা মানতেই হবে। আপনার শেওড়াপাড়া থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোলে ভ্রমণ কাহিনীর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ট্রেন ভ্রমণের অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার এই ভ্রমণ পোস্ট করার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো। ট্রেন ভ্রমণ সম্পর্কে বেশ ধারণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আপনি। ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ট্রেন ভ্রমণ না ভাই। মেট্রোরেল ভ্রমণ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit