আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
গ্ৰামের মসজিদ গুলোর মধ্যে রমজান মাস চলে আসলেই অন্যরকম একটি আমেজ চলে আসে। কিন্তু শহরের মসজিদ গুলোর মধ্যে তেমন একটা আমেজ দেখা যায় না। প্রতিবছর ২৭ শে রমজান উপলক্ষে আমাদের মসজিদে বিভিন্ন ধরনের খাওয়া দাওয়া করার ব্যবস্থা করা হয়।আর এই খাওয়া দাওয়া করার জন্য আমাদের মসজিদের মধ্যে যতজন পুরুষ মানুষ আছে প্রত্যেকেই অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সাতাশে রমজান উপলক্ষে সকাল বেলা আমাদের মসজিদের আন্ডারে যতটি বাড়ি আছে প্রত্যেকের বাসা থেকে এক কেজি করে চাল উত্তোলন করা হয়েছিল, আর কেউ চাইলে একটু বেশি পরিমাণে দান করতে পারবে, এটা নিয়ে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। এটা আসলেই প্রতিবছর করা হয় মসজিদ কমিটির নির্দেশে।
সব মিলিয়ে প্রায় বিশ কেজির মতো চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয়। প্রতিবছরের থেকে এবছর একটু কম পরিমাণে চাল উত্তোলন হয়েছে। যাইহোক এটা কোন বিষয় নয়। এখন আমরা সন্ধ্যা বেলা বেশ কয়েকজন বের হলাম বাজার করার জন্য। এখন কথা হচ্ছে কি রকম আয়োজন করলে সকলেই একবেলা খেতে পারবে।এটা নিয়ে মসজিদ কমিটির সদস্যরা বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করলেন। আলোচনা শেষে জানা গেল, মাংস, ভাত এবং ডাল এর আয়োজন করা হলো। এখন আমরা বেশ কয়েকজন লোক মসজিদ ক্যাশিয়ার সদস্যের বাসায় গেলাম টাকা নিয়ে আসার জন্য।ক্যাশিয়ার সদস্যের কাছে থেকে পরিমাণ মতো টাকা নিয়ে আসলাম।
এখন আমরা বেশ কয়েকজন লোক বাজার করার জন্য বাজারে চলে গেলাম। বাজারে গিয়ে প্রয়োজন মতো সব কিছু জিনিস পত্র নিয়ে চলে আসলাম এশার নামাজের আগেই। আমরা ওজূ করে তারাবির নামাজ শুরু করলাম। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই তারাবির নামাজের সমাপ্তি ঘটে। এরপর আমরা বেশ কয়েকজন লোক সহ যাবতীয় উপকরণ গুলো তৈরি করার জন্য বসে পড়লাম। আমরা মোট ষাট জন মানুষের জন্য আয়োজন করবো। এরপর আমাদের সব কিছু তৈরি হয়ে গেল।
আমরা প্রথমে আমাদের উত্তোলন করা চাল গুলো ধুয়ে নিলাম।ভাতের জন্য আলাদাভাবে কোন চাল ক্রয় করা হয়নি।যেটি উত্তোলন হয়েছে এটি দিয়ে ভাত রান্নার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এখন আমরা চাল গুলো পরিস্কার করে ধুয়ে রান্নার পাতিলের মধ্যে ঢেলে দিয়ে ভাত রান্নার কাজ শুরু হয়েছে। আসলে রান্না করার জন্য স্পেশাল কোন রাঁধুনি ছিল না। আমাদের গ্ৰামের কয়েকজন লোক মিলে মিশে রান্না করেছেন।গ্ৰামের ছেলে মানুষেরা রান্না করতে একটু এগিয়ে আছে। যেহুতু গ্ৰামের মানুষেরই খাবে সেহেতু গ্ৰামের লোকেরাই রান্না করেছে।এই বিষয়ে কারো মনে কোন রকম সমস্যা ছিল না।
বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই ভাত রান্না হয়ে যায়। মাশাআল্লাহ গ্ৰামের মানুষেরা খুবই সুন্দর করে ভাত রান্নার কাজ শেষ করছে।কেউ কোন রকম ভুল ধরতে পারেনি। এখন মাংস রান্না করার জন্য মাংস গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিলাম আমি। ধুয়ে নিয়ে একটি ছোট পাতিলের মধ্যে ঢেলে দিলাম। এখন আরেকটি চুলোর মধ্যে মাংস রান্না শুরু করে দিলাম। একজন রান্না বিশেষজ্ঞ পরিমাণ মতো সব কিছু ঠিক ঠাক ভাবে দিয়ে দিলো। এখন আমি আগুন ধরিয়ে দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই রান্নার কাজ শেষ হয়। তখন বেজেছিল প্রায় ২ টা।
এখন সব কিছু পাতিল মসজিদের উঠানে নিয়ে আসলাম। বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই সেহেরির সময় হয়ে যায়। সেহেরি করার জন্য বেশ অনেক লোক চলে আসে। তাদের কে মসজিদের বারান্দায় সুন্দর করে বসিয়ে পরিবেশন করতে শুরু করলাম। আলহামদুলিল্লাহ রান্না প্রত্যেকের কাছেই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সবাই রান্না কারীর সুনাম করেছে। আমরা প্রায় তিন বছর ধরে এরকম একটি সুন্দর আয়োজনের ব্যবস্থা করে আসছি। এরকম আয়োজন গুলো পরিবেশন করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।আমি এই আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলাম।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
https://twitter.com/Riyad121710/status/1776852507572277536?t=dFKcvrobj2tGgl6EUjkl3g&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit