বাংলাদেশ পুলিশ মাঠ - ২০২৪|| চাকরি প্রতিযোগিতার আরেক নাম বাংলাদেশ পুলিশ চাকরি

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে পুলিশের চাকরির প্রাথমিক মাঠ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের মধ্যে‌ বেশ কিছু দিন ধরে পুলিশের (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) পদে নিয়োগ চলছে।আর এই নিয়োগ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলার মধ্যেই হচ্ছে। এবছর পুলিশের বিশাল একটি পদে নিয়োগ দিচ্ছে পুলিশ। বেশ কিছু দিন আগে আমাদের দেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) পদে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেছিল। এখন নিজ নিজ জেলার মধ্যে নির্দিষ্ট একটি জায়গার মধ্যে সেসব আবেদনকারী প্রার্থীদের প্রাথমিক মাঠ হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলার মধ্যে পুলিশের (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) পদে মাঠ সম্পন্ন হয়েছে।আর বেশ কয়েকটি জেলার মধ্যে মাঠ বাকি রয়েছে।

তবে, আজকে আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে পুলিশের (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) পদে প্রাথমিক মাঠ ছিল। আমরা এই মাঠ করার জন্য আজকে খুবই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাইক নিয়ে বেশ কয়েকজন বন্ধু সহ গিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় আমাদের কে বাসা থেকে আমাদের বাবা মা অনেক আশা নিয়ে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা যখন মাঠের মধ্যে গিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলাম, তখন আমরা দেখতে পারলাম আবেদনকারী প্রার্থীদের সংখ্যা অনেক।তাই, আমি মাঠের মধ্যে প্রবেশ করার বুঝতে পারছিলাম আমরা কখনোই এতো প্রার্থীর মধ্য থেকে সুযোগ পাবো বলে মনে হয় না।যে কোন চাকরির মাঠে প্রার্থী সংখ্যা বেশি হলে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধরে মাঠ থেকে আউট করিয়ে দেয়।

যাইহোক, আমরা তবুও অনেক আশা নিয়ে মাঠের মধ্যে প্রবেশ করলাম। আমাদের এই মাঠ টি রংপুর জেলার ক্রিকেট গার্ডেনের মধ্যে হচ্ছিল। আমরা যখন মাঠের মধ্যে প্রবেশ করলাম তখন মাঠের অর্ধেক ভর্তি হয়ে গিয়েছিল প্রার্থী দিয়ে। তখন বেলা সাড়ে আটটা বেজে ছিল। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় এলোমেলো থাকার পর লাইনের মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়লাম। লাইনের মধ্যে দাঁড়ানোর পর আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগুচ্ছিলাম। আমরা সকল বন্ধুরা একসাথেই ছিলাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের সিরিয়াল চলে আসে। আমার আগেই আমার দুজন বন্ধুকে মাপতে শুরু করে। কিন্তু তারা দুজনই হাইট এ উপযুক্ত নয়।তাই তারা মাঠ থেকে আউট হয়ে যায়।

এরপর আমার সিরিয়াল চলে আসে। তখন আমার মনের মধ্যে একটুখানি ভয় কাজ করছিল। কেননা, এটাই আমার প্রথম ডিফেন্সের মাঠ। অবশেষে আমাকে হাইট মাপার পর আমিও হাইটে টিকতে পারিনি। অবশেষে আমাকে ও মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয়। আমরা বন্ধুরা সকলেই মিলে এক সাথে বের হয়ে গেলাম মাঠের একদম সামনের দিকে। গিয়ে দেখতে পারলাম পুরো মাঠ ভর্তি হয়ে গিয়েছে। আবার মাঠের বাইরে ও অনেক প্রার্থী অপেক্ষা করছে ভিতরে প্রবেশ করার জন্য। যারা যারা মাঠ করতে এসেছিল তারা সকলেই মনের মধ্যে একটি আশা নিয়ে এসেছিল। আসলে এতো মানুষের মধ্যে নিজেকে টিকাতে পারা খুবই কষ্টকর।

আমাদের রংপুর জেলার মধ্যে মোট ৭৫ জন ছেলে এবং ১০ জন মেয়ে কে তারা বাছাই করে নিবেন। কিন্তু প্রার্থী সংখ্যা প্রায় বিশ হাজারের ও অধিক।এতো প্রার্থীর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নিজেকে টিকে রাখা খুবই কঠিন। যাইহোক, আমাদের মন খারাপের কিছুই নেই। কেননা, সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমাদের জন্য আরো অনেক ভালো কিছু রেখে দিয়েছেন। আমরা হয়ত আমাদের সময় মতো সেই জিনিস পেয়ে যাবো। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে তাদের সকলের মাঠ করা দেখছিলাম। যখন কোন প্রার্থী কে বের করে দিচ্ছিল, তখন সেসব প্রার্থীর মন অনেক টা খারাপ হয়ে যায়। যারা জীবনে একবার হলেও মাঠ করেছেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।