একটি ফুটবল ম্যাচ, অতঃপর ...

in hive-129948 •  2 years ago 


কপিরাইট ফ্রি ইমেজ সোর্স : Pixabay


১৯৬৮ সালের এক শীতার্ত বিকেল । গ্রামে সেদিন হাটবার । আবার এই হাটবারেই পড়েছে এক গ্রাম্য ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ । আগেকার দিনে গাঁয়ে গঞ্জে হাটবারেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট থাকলে অনুষ্ঠিত হতো । যেমন ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি ম্যাচ, নৌকা বাইচ, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগ লড়াই এসব ।

সতের-আঠারো বছরের এক নাতিদীর্ঘ কিশোর চলেছে খেলার মাঠ পানে । দ্রুত পৌঁছানো চাই । আজকে যে ফাইনাল ম্যাচ । শীতের বেলা, সন্ধ্যে নেমে যায় ঝুপ করে । আর বিশেষ করে গ্রামের দিকে সন্ধ্যা নাম খুবই দ্রুত লয়ে । ছেলেটির কিন্তু স্কুল ফাইন্যাল চলছে (এখনকার দিনে যার নাম মাধ্যমিক পরীক্ষা) । আগামীকালই অঙ্ক পরীক্ষা । কিন্তু, এই মুহূর্তে ছেলেটির মাথায় পরীক্ষার চিন্তা বিন্দুমাত্রও নেই ।

তার সমগ্র চিন্তা চেতনা জুড়ে রয়েছে আসন্ন ফুটবল ম্যাচ । বিপক্ষদলের রক্ষণভাগ যথেষ্ঠ স্ট্রং। তাদেরকে কাটিয়ে গোল দেওয়া ভারী কঠিন একটা কাজ । সে হলো একজন স্ট্রাইকার । তাই তার চিন্তাটাও একটু বেশি । আবার এ বছরের স্কুল টিমের সেই হলো ক্যাপ্টেন । তাই দুঃশ্চিন্তাটা তার দলের অন্য সবার চাইতে বেশি ।

আমতলী গাঁয়ের ছোট্ট নদীটির পাড়ে আজকে হাটবার । দূরদূরান্ত থেকে মানুষ হাটে আসছে যাচ্ছে। এ তল্লাটের সব চাইতে বড় হাট এটি । নদীর ওপর ছোট্ট একটি কাঠের পুল আছে । দারুন সুন্দর এই আমতলী নদীটি । এই নদীর পাড়ে যে হাটতলা, তার ঠিক পরেই রয়েছে আমতলী হাই স্কুল এবং স্কুল সংলগ্ন বিশাল খেলার মাঠ ।

এই মাঠেই আজকে ফুটবল ম্যাচ । যথারীতি ম্যাচ শুরু হলো এবং দারুন উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে শেষও হলো । পুরো হাট ভেঙে পড়লো খেলার মাঠে । দারুন জমাটি একটা খেলা হলো । রুদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচে জিতলো ছেলেটির দল । ম্যাচের পুরস্কার বিতরণী হয়ে গেলো চটপট । কাপ মেডেল প্রদানের পরে টিমের সবাই মাঠের ঘাসে শুয়ে পড়লো টানটান হয়ে ।

সবারই বেশ খিদে পেরে গিয়েছে । কিন্তু কাছে তো পয়সা কড়ি কিছুই নেই । অতঃপর পরিচিত হকারদের কাছ থেকে চললো ধার নেওয়ার পালা । বাদাম, পাঁপড় আর ছোলা ভাজা কিনে গোল হয়ে সবাই বসে গেলো ভোজে । সূর্য ততক্ষনে অনেকটাই ঢলে পড়েছে পশ্চিমে । বেশ একটা হিমেল শিরশিরানি হাওয়া বইছে উত্তর দিক থেকে । মাঠের ঘাসে শিশির পড়া আরম্ভ হয়েছে । ঘাস ভিজে লাগছে । সবাই তাই দ্রুত খাচ্ছে । বাড়ি ফিরতে হবে ।

এমন সময় ক্যাপ্টেন লক্ষ করলো দশ-এগারো বছরের একটি ছোট ছেলে তাদের থেকে একটু দূরে ঘাসের উপরে বসে করুন চোখে তাদের খাদ্যবস্তুর দিকে তাকিয়ে রয়েছে । বেশ মায়া হলো ক্যাপ্টেন এর । ইশারা করে ডাকলো ছেলেটিকে । কাছে এলে তার হাতে ধরিয়ে দিলো ক্যাপ্টেন এর ভাগের খাবার টুকু । গোগ্রাসে খেতে থাকলো ছেলেটি ।

তার খাওয়ার ভঙ্গি দেখেই বোঝা গেলো কতটা ক্ষুধার্ত সে । খাওয়া শেষ হতে ছেলেটিকে কাছে ডাকলো ক্যাপ্টেন । নাম ধাম সব জিজ্ঞেস করলো । বেরিয়ে এলো এক করুন ইতিহাস । ছেলেটির মা মারা গিয়েছে জন্মের মাত্র এক মাস পরে । আর বাবা এক বছর পরে । সৎ মা আছে । কিন্ত, কেমন যত্ন আত্তি করে সেটা তো তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে । পিতৃ মাতৃহীন অনাথ ছেলেটির এক বেলা কোনোরকমে এক মুঠো ভাত হয়তো জোটে কিন্তু তাতে ক্ষুধা নিবৃত হয় না কোনোভাবেই ।

অনাথ হওয়ার কারণে অক্ষরজ্ঞানও হয়নি তার । দশ-এগারো বছরের এতবড় ছেলে একেবারেই নিরক্ষর । আত্মীয় শরিকেরা তাকে একটা গবেট হিসেবে ভবিষ্যতে দেখতে চাইছে যাতে পিতৃ সম্পত্তির সঠিক দাবী না করতে পারে । ক্ষুধাক্লিষ্ট অসহায় একটি বালকের মলিন মুখখানির দিকে কিছুক্ষন অপলক নয়নে তাকিয়ে রইলো ক্যাপ্টেন ছেলেটি ।

দু'মিনিট কি জানি ভাবলো সে । অতঃপর অসহায় ছেলেটির কাঁধে একটা হাত রেখে বললো -
"আমরা পাঁচ ভাই চার বোন, আজ থেকে হলাম ছ'ভাই । তুমিও আমার আরেকটি ভাই । বাড়ি চলো । আজ থেকে আমার বাড়িও তোমারই নিজের বাড়ি বলে জানবে । আমার মা তোমারই মা । চলো ।"

ছেলেটিকে নিয়ে কিশোর ক্যাপ্টেন বাড়ির পথ ধরলো । সূর্য তখন পশ্চিমাকাশে সম্পূর্ণভাবে ঢলে পড়েছে । আঁধার নেমেছে গাঁয়ের পথে ঘাটে। কিন্তু, সেই আঁধারে আলো খুঁজে পেলো অনাথ বালকটি । অসহায় সেদিনের ছেলেটি এক অন্য জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হতে দেখলো তার নিকষ কালো আঁধারের পথটি । বাঁচার স্বপ্নে বিভোর হয়ে সে পা বাড়ালো তার সদ্য পাওয়া বড় ভাইয়ের সাথে তার নিজেরই বাড়িতে ।

বি : দ্রঃ আকাশের মতো বিশাল হৃদয়ের সেই ক্যাপ্টেন আর কেউ নয়, আমার বাবা । সেই অসহায় ছেলেটিকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে নিজের ভাইয়ের মর্যাদা দান করেছিলেন এবং তাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন ।


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ২৫০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ২য় দিন (225 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 02)


trx logo.png



সময়সীমা : ২৮ অগাস্ট ২০২২ থেকে ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ২৯ আগস্ট ২০২২


টাস্ক ৪৪ : ২৫০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

২৫০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 268f96588c6285aefac36dcf3dfaa60c9ff5bb3f9dd97b12d00d0cf867121c41

টাস্ক ৪৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



আপনার বাবা নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ ছিলেন। একজন অপরিচিত মানুষকে নিজের ভাই করে তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।এজন্য সৃষ্টিকর্তা তাকে অনেক ভালো রাখবেন তিনি যেখানেই থাকুন না কেন।আর আপনিও অনেক ভাগ্যবান তাকে বাবা হিসেবে পেয়েছেন।আজকের দিনে এরকম মানুষ পাওয়াটা দুষ্কর। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা এতো সুন্দর একটি লেখা শেয়ার করার জন্য।

follow me please @ALBK

আপনার বাবা একটি ছেলেকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে নিজের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছেন জেনে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। সত্যি তিনি অনেক ভালো মনের একজন মানুষ। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেয়ে একজন ভালো মানুষ হওয়া সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাবা একজন ভালো মানুষ। তাইতো নিজের ভাগের খাবার তাকে দিয়েছেন এবং নিজের ভাইয়ের সম্মান দিয়েছেন। আপনার বাবার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো দাদা।

follow me please @ALBK

লেখার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ছোটো মুখে যাই বলি, সব কিছুই কম হয়ে যাবে। তবুও একটা কথা বলতেই হয় সেই মানুষটিকে শত সহস্র প্রণাম। 🙏🏽

follow me please @ALBK

Your father has a huge heart and great courage.

follow me please @ALBK

আকাশের মতো বিশাল হৃদয়ের সেই ক্যাপ্টেন আর কেউ নয়, আমার বাবা । সেই অসহায় ছেলেটিকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনে নিজের ভাইয়ের মর্যাদা দান করেছিলেন এবং তাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন ।

প্রথম থেকে গল্পটা পড়া শুরু করার পর থেকে আমার মনের ভিতর শুধু একটা কৌতুহল হচ্ছিল, তাহল এই মহান ক্যাপ্টেন ব্যক্তিটি কে। তবে গল্পের শেষে এসে সাসপেন্স এর পরিসমাপ্তি ঘটলো। দাদা তোমাকে দেখেই বোঝা যায় আমাদের জেঠু কেমন হতে পারে। অন্তরের অন্তস্থল থেকে এই মানুষটির জন্য শত কোটি প্রণাম।

follow me please @ALBK

দাদা আপনার বাবাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। মনুষত্বই আসল ধর্ম। কোটি কোটি প্রণাম জানাই আপনার বাবার মানবতাকে। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য।। বেঁচে থাক মানবতা আজীবনের জন্য। শুভকামনা দাদা আপনার জন্য।

মানবিকতা পেয়েছেন ভাই পিতৃ সূত্রে এই জন্যই সবাইকে খুব সহজেই আপন করে নিতে পারেন। হয়তো আপনার গঠিত বাংলা ব্লগের আশ্রয়ে আমরাও আশ্রিত । বেঁচে থাকুক জীবন গুলো , মানবিকতা ছড়িয়ে যাক সর্বত্র।

মাঝরাতে লেখাটি পড়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে গেলাম ভাই । আপনার বাবার জন্য, নিরন্তর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল।

মানুষ কথায় বলে,কিছু ব্যাপার মানুষ পরিবার থেকেই নিয়ে আসে।আপনাকে দেখলেও তা বুঝা যায় দাদা।আপনি আপনার বাবার মনোভাবেই নিজেকে বড় করেছেন।

প্রিয় দাদা পৃথিবীতে একজন ভালো মানুষই হলো শ্রেষ্ঠ মানুষ। আমি মনে করি আপনার পিতা ছিলেন পৃথিবীর অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ। আপনার পিতার মহানুভবতা সত্যি দাদা আমাকে মুগ্ধ করেছে। রাস্তা থেকে একটি ছেলেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসে নিজের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়ে তাকে সযত্নে বড় করাটাই হলো মহৎ মানুষের কাজ। দাদা আপনার পিতার হৃদয়টা ছিল আকাশের মতোই বিশাল। আর এমন মহৎ এবং আকাশের মতো বিশাল হৃদয় সম্পন্ন মানুষের সন্তানকে আমাদের প্রিয় দাদা হিসেবে পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য হয়ে গেছি।

follow me please @ALBK

follow me, please @ALBK

যখন এই গল্পটি পড়েছিলাম তখন কখনোই ভাবেনি যে আকাশের মতো ভীষণ হৃদয়ের সেই মানুষটি আপনার বাবা হবে। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা নিছক কাল্পনিক কোন এক গল্প। সত্যিই কিছু বলার বা লেখার অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। সমাজের বুকে এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর এবং বিরল। ভালো লাগলো দাদা ঘটনাটি পড়ে।

follow me please @ALBK

আসলেই দাদা আপনার বাবা অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন।যে ব্যক্তি মন উদার, মানুষের জন্য ভাবে , সেই মানুষ গুলো চলে গেলে রেখে যায়, তাদের মহৎ কাজ গুলো মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে বেঁচে থাকে।মানুষ আজীবন স্মরণ করে।

গল্পটা প্রথম থেকে শুরু করে ভাবছিলাম আপনার জীবনের গল্প, আরেকটু পড়ে জানতে পারলাম একটি অচেনার ছেলের গল্প যে ফুটবল খেলায় পরাজয় লাভ করে কোন অঘটন ঘটিয়েছে, তারপর খেলা জয় লাভ করে অনাথ ছেলেটিকে বেভে ছিলাম জিন ভূত হবে, কিন্তুু তাও হলো না। তারপর ভাবলাম আপনার কাল্পনিক গল্প। কিন্তুু শেষের অংশ পড়ে রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম। কি মহান আপনার বাবা। সেলেউট আপনার বাবাকে। ধন্য আপনারা এমন বাবার ঘরে জন্ম নিয়ে। ধন্যবাদ দাদা।

কিছু কিছু মানুষের তুলনা হয়।কিছু কিছু মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না,পোস্ট পড়ে কি বলবো বুঝতেই পারছি না।ভালো থাকুক আপনার পরিবারের সকল মানুষ। ধন্যবাদ

আঁধার নেমেছে গাঁয়ের পথে ঘাটে। কিন্তু, সেই আঁধারে আলো খুঁজে পেলো অনাথ বালকটি ।

সেই ক্যাপ্টেনের কথা পড়ছি আর নিজের মনের মধ্যে তার জন্য একটি জায়গা করে নিচ্ছি। শেষের দিকে এসে আমার মনের অনেকটা জায়গা সেই ক্যাপ্টেন দখল করে নিয়েছে। আকাশের মত বিশাল হৃদয়ের সেই ক্যাপ্টেন যে আপনার বাবা, সেটা জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। গায়ের পথে ঘাটের অন্ধকারের মত ছেলেটির জীবনও অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ক্যাপ্টারে হাত ধরে আসলেই আঁধারে আলো খুঁজে পেল অনাথ বালকটি। এখন সমাজে এরকম ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাওয়া অনেক দুঃসাধ্য ব্যাপার। দাদা আপনার বাবার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।

follow me please @ALBK

মহানুভবতার এক অনন্য উদাহরণ। আপনার বাবার জন্য দোয়া রইল

1

দাদা আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে মানুষ মানুষের জন্য, মানুষের সেবাই পরম ধর্ম। আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো। আর আপনি বাবার সূত্রে নিজেকে তৈরী করেছেন। আপনার মাধ্যমে আপনার বাবাকে যেন খুঁজে পায় আমরা। সত্যি দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের এত সুন্দর একটি কমিউনিটি উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার এবং পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করি।

গল্পের শুরুতেই মনে হচ্ছিল যে হয়তো আপনার পূর্বপুরুষের কারো গল্প হবে। কিন্তু গল্পে যখন অনাথ ছেলেটির আবির্ভাব হলো তখন কেন যেন আমার বারবারই মনে হচ্ছিল এটি আপনার বাবা। শেষমেষ আমার ধারণাই ঠিক হলো। আপনার বাবা যে উদার মনের মানুষ ছিল তা আপনার আরও অনেক পোস্ট দেখেই বুঝতে পেরেছি। তার সেই স্বভাব আপনিও পেয়েছেন। অনেক অনেক শুভকামনা আপনাদের জন্য।

Google is paying $27485 to $29658 consistently for taking a shot at the web from home. I joined this action 2 months back and I have earned $31547 in my first month from this action. I can say my life has improved completely! Take a gander at what I do.....https://www.JioSalary.com

পশ্চিমে অস্ত যাওয়া সূর্যের সাথে যে কালো আধার নেমে এসেছিল ঠিক সেই কালো আধারের মাঝেই একটি ছেলে তার আলোর পথ দেখতে পেল। আর সেই আলোর পথের দিশারী হচ্ছেন আপনার বাবা। আর যাই হোক লেখার শেষ প্রান্তে এসে হৃদয়ে একটু হলেও তৃপ্তি পেয়েছি। বাস্তবতার মনিকোঠায় আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন কিভাবে মানুষের পাশে দাড়াতে হয়। সত্যি বলতে এত বড় হৃদয় পাওয়া বড়ই কঠিন। সেই মানুষ টিকে নিয়ে আরো না হয় দু চার বার লিখবেন দাদা। আপনার বাবা (ক্যাপ্টেন) কে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে প্রনাম জানাই। ভাল থাকবেন দাদা। শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।

গল্পের শেষটা এমনভাবে শেষ হবে সেটা চিন্তাও করতে পারি নাই, সত্যি দাদা আপনার বাবার মাঝে দারুণ ব্যক্তিত্ব ছিলো, যেমন খেলায় দারুণ ভূমিকা রেখে বিজয়ী হয়েছিলেন, ঠিক তেমনি বাস্তব জীবনে মানবতার লড়াইয়ে দারুণভাবে বিজয়ী হয়েছেন, উনাদের মতো ব্যক্তিরা এই সমাজে গর্ব আর আমাদের অহংকার, আমাদের অনুপ্রেরণা। আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আরো বেড়ে গেলো, দোয়া রইল অন্তর হতে।

followme

প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত গল্পটি পড়ে কি লিখবো তা ভাষা একেবারেই হারিয়ে ফেলেছি।আপনার পিতা কতটা মহান ছিলেন তা বলে নয় কাজেই দেখিয়ে দিয়েছিলেন। রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া একটা ছেলেকে নিজের ভাইয়ের মর্যাদা দেওয়া যে কত মহত্বের সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এমন মহান পিতার প্রতি রইল শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।এবং যদিও এমন গ্রেট মানুষকে দেখিনি কিন্তি উনার মতো বিশাল আকাশের ন্যায়র উদার মনের দাদাকে আমরা পেয়েছি।

আমাদের এলাকায় ফুটবল টুর্নামেন্টে আয়োজিত হয়। বিশেষ করে ফুটবল খেলা আমাদের এলাকায় খুব বেশি জনপ্রিয় তবে সেই ছেলেটির কথা শুনে অনেকটা অবাক হলাম। পরবর্তীতে যখন জানতে পারলাম সেই ক্যাপ্টেন আপনার বাবা ছিলেন, গর্বে বুকটা যেন ফেটে যাচ্ছিল। সত্যিই এরকম মানুষ আছে জন্যই পৃথিবীটা এখনো টিকে রয়েছে।

দাদা আজ ফুটবল ম্যাচের পোস্টের মধ্য দিয়ে আমরা আপনার বাবা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আমরা জানলাম তিনি কতটা মহান মানুষ ছিলেন। অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্ট টি।

আপনার বাবা একজন মহৎ মানুষ যার আসলে তুলনা হয় না। রাস্তার একটি ছেলেকে নিজের ভাই বানিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা চারটে খান কথা না। আপনার বাবার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা ও দোয়া রইল। আমি মনে করি আপনার বাবার ছায়া আপনার উপর আছে। ধন্যবাদ দাদা।

বি : দ্রঃ আকাশের মতো বিশাল হৃদয়ের সেই ক্যাপ্টেন আর কেউ নয়, আমার বাবা

এজন্যই বলে বাপকা বেটা আপনি আপনার এই মহৎ স্বভাব আপনার বাবার থেকেই পেয়েছেন। সত্যি দারুণ একটা অনূভুতি হচ্ছে। তা আপনার ঐ বাবার ভাই বা আপনার ঐ কাকা এখন কী করে কোথায় আছে সেটা সম্পর্কে আরেকদিন বলবেন দাদা।।

শেষ অংশ টুকু পড়ে চোখে পানি এসে গেল । একটা সময় মানুষের অনেক অভাব ছিল কিন্তু তাদের মাঝে মানবতার কোন অভাব ছিল না । এখন চিন্তা করাও যায়না অনেকের কাছে যে, পকেটে টাকা থেকেও কাউকে সাহায্য করতে চাইনা সামান্য খাবারের জন্যেও । আর তখন এমন একটি বাস্তব ঘটনার আজ স্বাক্ষী হলাম । ধার করে কেনা খাবার টুকুও ক্ষুধার্ত বালককে দিয়ে দেওয়া অতঃপর তাকে ভাই বানিয়ে পরম যত্নে বড় করে তোলা । অনেক শ্রদ্ধা জানাই সে মহান প্রাণে ।

বিঃদ্রঃ আমাদের এখানেও একটা গ্রাম আছে যার নাম আমতলী, এবং পার্শবর্তী নদী ও আছে যার নাম মাথাভাঙ্গা কিছুদিন আগেই সেখানে আমি একটা ফুটবলন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে দেখেছিলাম ।
গল্প পড়তে পড়তে কল্পনায় বার বার আমার সেই খেলার দৃশ্য মনের এক কোণে ভেসে উঠছিল ।
WhatsApp Image 2022-08-30 at 10.51.51 AM.jpeg